সন্দেশখালি, 6 জানুয়ারি: সন্দেশখালি কাণ্ডে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করল উত্তর 24 পরগনার ন্যাজাট থানার পুলিশ । এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে শুক্রবার না জানিয়ে এবং ওয়ারেন্ট ছাড়াই ইডি আধিকারিকরা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন । সূত্রের খবর, ইডির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকার । পুলিশ পরবর্তীতে সেটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে মামলা রুজু করে ৷
এছাড়াও সন্দেশখালির ঘটনায় আরও দু’টি মামলা মামলা রুজু হয়েছে ন্যাজাট থানায় । ইডির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর । বেপরোয়া অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত আরেকটি মামলা রুজু করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ । সেখানে সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে ।
এদিকে, এর আগেই সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি । শুক্রবার রাতে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি রাজীব কুমার ও বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি জবি থমাসের কাছে ই-মেল মারফত অভিযোগ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি । অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কোর্ট ওয়ারেন্ট নিয়ে শুক্রবার রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা । এরপরই হামলায় আক্রান্ত হন তাঁরা । যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির বিরুদ্ধে উলটো সুরই বলা হয়েছে পুলিশের এফআইআর-এ ।
অন্যদিকে, সন্দেশখালি কাণ্ডে এখনও অধরা হামলাকারীরা । শুক্রবার সকালের ঘটনা৷ শনিবার বেলা পর্যন্ত পুলিশের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ । ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কেবলমাত্র পাঁচজন-কে আটক করা ছাড়া কোনও গ্রেফতারি নেই এখনও অবধি । স্বভাবতই পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে । তবে, ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে ঠিকই । কিন্তু, এই তৎপরতা পুলিশ আগে দেখালে এই 'লজ্জাজনক' ঘটনা এড়াত যেত বলেই মনে করছেন অনেকে ।
যদিও, সন্দেশখালি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড 'বালু' ঘনিষ্ঠ দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের হদিস মিলছে না ঘটনার পর থেকেই ! বাড়িতেও নেই তিনি । কার্যত বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন সন্দেশখালির এই 'ত্রাস' ! কিন্তু প্রশ্ন হল, হঠাৎ কোথায় উবে গেলেন ? পালিয়ে যাননি তো অন্য কোথাও ? কেনই বা কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের আটকাতে তিনি ও তাঁর অনুগত দুষ্কৃতীরা এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই এখন খুঁজছেন তদন্তকারীরা । আর তার উত্তর মিলতে পারে একমাত্র হামলাকারী অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলেই ।
আরও পড়ুন: