নৈহাটি, 26 মার্চ : "শুধু ভোটের সময় নয়, সবসময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।" বলছেন নৈহাটির দু'বারের বিধায়ক ও আসন্ন নির্বাচনে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। মানুষের বিচার বিবেচনার ওপর আস্থা রেখেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী পার্থবাবু ।
2011 সাল থেকে নৈহাটির বিধায়ক পদ সামলেছেন। ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী নৈহাটি সড়কপথ, রেলপথ ও জলপথের সঙ্গমস্থল। পশ্চিমদিকে গঙ্গা , ওপারে চুঁচুড়া। উত্তরে হুগলির ব্যান্ডেল থেকে রেলপথ নৈহাটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ স্থাপন করেছে। যা দক্ষিণে কলকাতামুখী । পূর্বে ও উত্তরে বাংলাদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যে কারণে এই নৈহাটির গুরুত্ব বেশি । জলপথে, সড়কপথে হাজারো মানুষ নিত্যদিন যাতায়াত করে। যার ফলে বাইরের প্রচুর মানুষের যাতায়াত এলাকায়। বামেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও খুব সহজেই তৃণমূল এখানে প্রভাব বিস্তার করেছে ।
আরও পড়ুন : আপনার কেন্দ্রে ভোট কবে ? জানতে ক্লিক করুন ইন্টারঅ্যাক্টিভ ম্যাপে
ফের ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী পার্থবাবু জানান, জেতার পরে নৈহাটি হাসপাতাল তৈরিই হবে তাঁর মূল লক্ষ্য । যাতে নৈহাটির মানুষকে বাইরে চিকিৎসা করাতে না যেতে হয় ।
তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তিনি মনে করছেন বিজেপি ও সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীকে । 2019 লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা অনুযায়ী তৃণমূল বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল। সেই হার স্বীকার করে নিয়ে পার্থবাবু বলেন , "সেই সময় নৈহাটিতে একদম সময় দিতে পারিনি । তারপর থেকে একশোভাগ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি । এমনকি করোনা পরিস্থিতিতেও মানুষের পাশে থেকেছি সবসময় ।"
তিনি সবসময় বিরোধীদের সঙ্গে সহাবস্থান করে রাজনৈতিক শিষ্টাচার পালন করে থাকেন । মানুষের পাশে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবে কাজ করেন বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু ।
তাঁর একসময়ের অভিভাবক মুকুল রায়ের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাকে কটাক্ষ করে বলেন, "তিনি বিধানসভা নির্বাচনে খুব ভালো করে লড়ুন , তারপর হেরে মনখারাপ করবেন না , রাজনীতিতে থাকুন।"