ETV Bharat / state

নাবালিকা ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তর 10 বছরের কারাদণ্ড - prasenjit Mondal

লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে সাত বছরের ওই নাবালিকা ভিক্ষা করছিল। নতুন জামা কিনে দেওয়ার নাম করে তাকে খালধারের একটি জায়গায় নিয়ে যায় ওই যুবক। সেখানেই ধর্ষণ করে।

দোষী সাব্যস্ত প্রসেনজিৎ
author img

By

Published : Apr 12, 2019, 6:52 AM IST

বারাসত, 12 এপ্রিল : বছর সাতেকের নাবালিকাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত প্রসেনজিৎ মণ্ডল ওরফে বাচ্চাকে 10 বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিল বারাসত আদালত। বুধবার অভিযুক্ত প্রসেনজিৎকে POCSO আইনের 6 নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা POCSO কোর্টের বিচারক দুলাল কান্তি কর।

গতকাল দুপুরে অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে নিয়ে আসা হয়। বিচারক কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজা ঘোষণা করেন। সাজা শোনার পর প্রসেনজিৎ কাঁদতে কাঁদতে বলে, "আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।" জেলা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু যদিও জানিয়েছেন, সাক্ষ্য প্রমাণ ও তথ্য থেকে পরিষ্কার প্রসেনজিৎই এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি 2017 সালের 9 জানুয়ারির। সেদিন লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে সাত বছরের ওই নাবালিকা ভিক্ষা করছিল। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ স্থানীয় যুবক প্রসেনজিৎ মণ্ডল সেখানে হাজির হয়। এরপর, নতুন জামা কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দক্ষিণদাঁড়ির খালধারের একটি জায়গায় নিয়ে যায় নাবালিকাকে। সেখানেই ধর্ষণ করা হয়। নাবালিকার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। পরিস্থিতির আঁচ করতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে প্রসেনজিৎ। কিন্তু,এলাকার লোকজনের হাতে ধরা পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় লেকটাউন থানার পুলিশকে। পুলিশ প্রসেনজিৎকে গ্রেপ্তার করে POCSO আইনে মামলা শুরু করে। দু-বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলাটি চলার পর বুধবার প্রসেনজিৎকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক দুলাল কান্তি কর। গতকাল সাজা ঘোষণা হয়।

এবিষয়ে বারাসত জেলা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু বলেন, "এই মামলায় মোট 11জন সাক্ষ্য দিয়েছে। প্রত্যেকেই নৃশংস ওই ধর্ষনের ঘটনায় প্রসেনজিৎ মণ্ডল ওরফে বাচ্চার জড়িত থাকার কথা বলেছে। এটা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। POCSO আইনের 6 নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আজ দোষীর 10 বছরের সাজা দিয়েছেন বিচারক। জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। সেই টাকা না দিতে পারলে আরও একমাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বারাসত, 12 এপ্রিল : বছর সাতেকের নাবালিকাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত প্রসেনজিৎ মণ্ডল ওরফে বাচ্চাকে 10 বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিল বারাসত আদালত। বুধবার অভিযুক্ত প্রসেনজিৎকে POCSO আইনের 6 নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা POCSO কোর্টের বিচারক দুলাল কান্তি কর।

গতকাল দুপুরে অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে নিয়ে আসা হয়। বিচারক কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজা ঘোষণা করেন। সাজা শোনার পর প্রসেনজিৎ কাঁদতে কাঁদতে বলে, "আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।" জেলা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু যদিও জানিয়েছেন, সাক্ষ্য প্রমাণ ও তথ্য থেকে পরিষ্কার প্রসেনজিৎই এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি 2017 সালের 9 জানুয়ারির। সেদিন লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে সাত বছরের ওই নাবালিকা ভিক্ষা করছিল। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ স্থানীয় যুবক প্রসেনজিৎ মণ্ডল সেখানে হাজির হয়। এরপর, নতুন জামা কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দক্ষিণদাঁড়ির খালধারের একটি জায়গায় নিয়ে যায় নাবালিকাকে। সেখানেই ধর্ষণ করা হয়। নাবালিকার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। পরিস্থিতির আঁচ করতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে প্রসেনজিৎ। কিন্তু,এলাকার লোকজনের হাতে ধরা পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় লেকটাউন থানার পুলিশকে। পুলিশ প্রসেনজিৎকে গ্রেপ্তার করে POCSO আইনে মামলা শুরু করে। দু-বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলাটি চলার পর বুধবার প্রসেনজিৎকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক দুলাল কান্তি কর। গতকাল সাজা ঘোষণা হয়।

এবিষয়ে বারাসত জেলা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু বলেন, "এই মামলায় মোট 11জন সাক্ষ্য দিয়েছে। প্রত্যেকেই নৃশংস ওই ধর্ষনের ঘটনায় প্রসেনজিৎ মণ্ডল ওরফে বাচ্চার জড়িত থাকার কথা বলেছে। এটা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। POCSO আইনের 6 নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আজ দোষীর 10 বছরের সাজা দিয়েছেন বিচারক। জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। সেই টাকা না দিতে পারলে আরও একমাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

sample description
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.