বারাসত, 25 অগস্ট: স্ত্রীর কুপ্রস্তাবের বদলা নিতে যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছিল স্বামী (Life sentence In Barasat) । সেই হত্যার ঘটনায় সাত বছর পর খুনের আসামী আবির আলিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল বারাসত আদালত । বুধবার এই খুনের ঘটনায় ধৃত আসামীকে 302 ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল সপ্তম অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক । বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত এই আসামীর সাজা ঘোষণা করেন তিনি । আদালত সূত্রে খবর, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামী আবির আলিকে দশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে এদিন । এই রায়ে খুশি নিহত জহিরুল ইসলামের পরিবার ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটে 2015 সালের 30 এপ্রিল । ওইদিন স্ত্রীর কুপ্রস্তাবের বদলা নিতে আমডাঙার আদহাটায় জহিরুল ইসলাম নামে এক যুবকক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন আবির আলি । ঘটনার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ । কিন্তু, হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে ধৃত আসামী পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ । পরে অবশ্য ভিন রাজ্য থেকে পলাতককে ধরে এই রাজ্যে নিয়ে আসে তদন্তকারী অফিসারেরা । এরপর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় বারাসত আদালতে । পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের ওপর ভিত্তি করে বিচারক খুনের আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে । বৃহস্পতিবার তারই সাজা ঘোষণা হল সপ্তম অতিরিক্ত দায়রা আদালতের এজলাসে ।
আরও পড়ুন: 20 দিনের মাথায় ফের সদ্যোজাত খুন হাওড়ায়, আটক 2
এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, "সাজাপ্রাপ্ত আবির আলি উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে মাছের ব্যবসা করতেন । দু-তিন মাস অন্তর সে আমডাঙার বাড়িতে আসত । তারই মধ্যে আবির জানতে পারেন, বাড়ির পাশে ট্রেলারের দোকানের কর্মচারী জহিরুল তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে । ট্রেলারের দোকানের মালিককে সে বিষয়টি জানালে কাজ খোয়াতে হয় জহিরুলকে ৷" এরপরও সে আবিরের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে । বিষয়টি আবারও কানে যায় তার । এরপর উত্তরপ্রদেশ থেকে বাড়িতে ফিরে কামারের থেকে একটি ধারালো অস্ত্র বানিয়ে সে জহিরুলকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে ৷"
সরকারি আইনজীবীর কথায়, "302 ধারায় বিচারক দুটি সাজা ঘোষণা করেছেন খুনের আসামীকে । একটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ।অন্যটি পাঁচ বছরের জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ৷"