ETV Bharat / state

মধ্যমগ্রামে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, খুনের চেষ্টা BJP কর্মীকে ; অভিযুক্ত তৃণমূল - tmc bjp clash

মধ্যমগ্রামে BJP কর্মী আরাফাত রহমানকে বেধড়ক মারধরের পর খুনের চেষ্টা ৷ অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কয়েকদিন ধরেই তাঁর পরিবারের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিল ৷ আরাফাতের দিদিকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ৷ গতকাল দুপুরে তাঁর উপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ গুরুতর অবস্থায় আরাফাতকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷ বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 31, 2019, 11:15 AM IST

বারাসত, 31 জুলাই : এক BJP কর্মীকে বেধড়ক মারধরের পর খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । আক্রান্ত BJP কর্মীর নাম আরাফাত রহমান (২৭) । গুরুতর অবস্থায় তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । ঘটনাটি মধ্যমগ্রামের কেমিয়া খামারপাড়ার বাঁকড়ার ।

গতকাল দুপুরে আরাফাত বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন ৷ অভিযোগ, সেইসময় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়৷ প্রথমে বাঁশ,লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় । রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারতে থাকে ৷ পরে গুলি করতে গেলে পরিবারের লোকজন চলে আসেন ঘটনাস্থানে ৷ আরাফাতকে বাঁচাতে এসে তাঁর দাদা হাবিবুল রহমানসহ পরিবারের কয়েকজনও হেনস্থা শিকার হন ৷ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হতেই জড়ো হন স্থানীয়রা ৷ পালিয়ে যায় হামলাকারীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ গুরুতর অবস্থায় আরাফাতকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷

হাবিবুল রহমান বলেন, "আমাদের গোটা পরিবার BJP-র সঙ্গে যুক্ত । এই আক্রোশেই মিজানুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, ইউসুফ আলি, সাদ্দাম হোসেন সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবারের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে । মাস তিনেক আগে আমাকে ও আমার জামাইবাবু জিয়াউল হোসেনকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল ওরা । দিদিকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় । সেই সময় পুলিশের কাছে গেলেও আমরা কোন‌ও সহযোগিতা পাইনি । পরে কোর্টের দ্বারস্থ হলে, সেই চাপে শুধুমাত্র ডায়েরি নেয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ । ফলে, কোর্ট থেকে সহজেই জামিন পেয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ৷" তিনি আরও বলেন,"জামিন পাওয়ার পর ফের এলাকায় ঢুকে BJP কর্মীদের বাড়িতে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে ৷ আমার ভাই আরাফাতকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে খুনের চেষ্টা করা হয় । ওকে বাঁচাতে গিয়ে আমরাও আক্রান্ত হ‌ই ৷" ঘটনার পর‌ই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্ত BJP কর্মীর পরিবার । যদিও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন‌ও সম্পর্ক নেই বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বর । তাদের কথায়, "এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ । তৃণমূলকে বদনাম করতেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে ।"

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।

বারাসত, 31 জুলাই : এক BJP কর্মীকে বেধড়ক মারধরের পর খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । আক্রান্ত BJP কর্মীর নাম আরাফাত রহমান (২৭) । গুরুতর অবস্থায় তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । ঘটনাটি মধ্যমগ্রামের কেমিয়া খামারপাড়ার বাঁকড়ার ।

গতকাল দুপুরে আরাফাত বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন ৷ অভিযোগ, সেইসময় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়৷ প্রথমে বাঁশ,লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় । রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারতে থাকে ৷ পরে গুলি করতে গেলে পরিবারের লোকজন চলে আসেন ঘটনাস্থানে ৷ আরাফাতকে বাঁচাতে এসে তাঁর দাদা হাবিবুল রহমানসহ পরিবারের কয়েকজনও হেনস্থা শিকার হন ৷ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হতেই জড়ো হন স্থানীয়রা ৷ পালিয়ে যায় হামলাকারীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ গুরুতর অবস্থায় আরাফাতকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷

হাবিবুল রহমান বলেন, "আমাদের গোটা পরিবার BJP-র সঙ্গে যুক্ত । এই আক্রোশেই মিজানুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, ইউসুফ আলি, সাদ্দাম হোসেন সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবারের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে । মাস তিনেক আগে আমাকে ও আমার জামাইবাবু জিয়াউল হোসেনকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল ওরা । দিদিকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় । সেই সময় পুলিশের কাছে গেলেও আমরা কোন‌ও সহযোগিতা পাইনি । পরে কোর্টের দ্বারস্থ হলে, সেই চাপে শুধুমাত্র ডায়েরি নেয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ । ফলে, কোর্ট থেকে সহজেই জামিন পেয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ৷" তিনি আরও বলেন,"জামিন পাওয়ার পর ফের এলাকায় ঢুকে BJP কর্মীদের বাড়িতে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে ৷ আমার ভাই আরাফাতকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে খুনের চেষ্টা করা হয় । ওকে বাঁচাতে গিয়ে আমরাও আক্রান্ত হ‌ই ৷" ঘটনার পর‌ই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্ত BJP কর্মীর পরিবার । যদিও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন‌ও সম্পর্ক নেই বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বর । তাদের কথায়, "এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ । তৃণমূলকে বদনাম করতেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে ।"

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।

Intro:বিজেপি করার অপরাধে এক কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধরের পর খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃনমূলে আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।ঘটনার জেরে ব‍্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যমগ্রামের কেমিয়া খামার পাড়ার বাঁকড়ায়।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-বিজেপি করার অপরাধে এক কর্মীকে বেধড়ক মারধরের পর খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীর নাম আরাফাত রহমান(২৭)। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনাটি মধ্যমগ্রামের কেমিয়া খামার পাড়ার বাঁকড়ার।জানা গেছে,আজ দুপুরে আরাফাত যখন বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন তখন আচমকাই তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় তাঁর ওপর। প্রথমে বাঁশ,লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে বন্দুক বের করে ওই বিজেপি কর্মীকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। আরাফাতকে বাঁচাতে এসে তাঁর দাদা হাবিবুল রহমান সহ পরিবারের কয়েকজন হেনস্থা হন হামলাকারীদের হাতে।এরপর, চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলে তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যান সেখান থেকে। ঘটনার জেরে ব‍্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকড়া এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী-সর্মথকরা।পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়। এদিকে, গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে।সেখানেই এখন চিকিৎসা চলছে তাঁর।ব‍্যাপক মারধরের ফলে ওই বিজেপি কর্মীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আক্রান্ত আরাফাতের দাদা, বিজেপি কর্মী হাবিবুল রহমান বলেন,"আমাদের গোটা পরিবার বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত।এই আক্রোশে মিজানুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, ইউসুফ আলী, সাদ্দাম হোসেন সহ তৃনমূলের বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবারের ওপর অত‍্যাচার চালাচ্ছে।মাস তিনেক আগে আমাকে ও আমার জামাইবাবু জিয়াউল হোসেনকেও ওরা মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল।আমার দিদিকেও ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়। সেই সময় পুলিশের কাছে গেলেও আমরা কোন‌ও সহযোগিতা পায়নি।পরে, কোর্টের দ্বারস্থ হলে, সেই চাপে শুধুমাত্র জেনারেল ডায়রি নেয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। ফলে, কোর্ট থেকে সহজেই জামিন পেয়ে যায় তৃণমূলের ওই দুষ্কৃতীরা"। তিনি আরও বলেন,"জামিন পাওয়ার পরই আবার এলাকায় ঢুকে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে তান্ডব চালাতে শুরু করে তৃনমূল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা। আজকেও আমার ভাই আরাফাতকে বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে খুনের চেষ্টা করা হয়।ওকে বাঁচাতে গিয়ে আমরাও আক্রান্ত হ‌ই তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে। শুধু, বিজেপি করার অপরাধেই টার্গেট করে আমাদের পরিবারের ওপর তৃনমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হাবিবুল। যদিও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন‌ও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তৃনমূল নেতৃত্ব। তাঁদের কথায়,"এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। তৃনমূলকে বদনাম করতেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে"।অন‍্যদিকে,ঘটনার পর‌ই তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীর পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।Conclusion:ঘটনায় বিজেপি ও তৃনমূলের মধ্যে চাপান‌উতোর শুরু হয়েছে। বিজেপি তৃনমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও শাসকদল অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার পিছনে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে বলে দাবি করেছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.