ETV Bharat / state

পেটিএম সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হাবরায় জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত - পেটিএম সূত্র ধরে গ্রেপ্তার

পলাতক তন্ময় বরের সঙ্গের টাকা ফুরিয়ে এসেছিল । পরিচিত একজনকে পেটিএমে টাকা পাঠানোর কথা বলে সে । সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় নীলগঞ্জ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।

arrested main accused
arrested main accused
author img

By

Published : Sep 18, 2020, 9:26 PM IST

বারাসত, 18 সেপ্টেম্বর: পেটিএমের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হাবরার জোড়া খুনে অভিযুক্ত তন্ময় বর । বৃহস্পতিবার সন্ধের পর বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের নীলগঞ্জ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে । শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

বুধবার ভোর-রাতে হাবরার কুমড়া পঞ্চায়েতের টুনিঘাটা গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন দম্পতি রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও লীলা মণ্ডল । সেই খুনে মূল অভিযুক্ত তন্ময় বর ঘটনার পরেই বেপাত্তা হয়ে যায় । তাকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয় । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর ও DSP (সদর) রোহেদ শেখের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয় । শুরু হয় ফোন ট্র্যাক করা । যার মাধ্যমে গোয়েন্দা জানতে পারেন, তন্ময় প্রথমে কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল । তারপর সেখান থেকে দুর্গাপুরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় । সেখান থেকে ব্যারাকপুরের নীলগঞ্জ এলাকায় ফিরে আসে । এর মধ্যে তন্ময়ের সঙ্গে থাকা টাকা ফুরিয়ে এসেছিল । পরিচিত একজনকে পেটিএমে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিল সে । সেই পেটিএম সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার সন্ধের পর নীলগঞ্জ থেকে তন্ময় বরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।

কী বললেন পুলিশ সুপার ৷

পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "খুনের মোটিভ জানতে ধৃতকে হেপাজতে নিচ্ছি । তারপরই সমস্ত বিষয়টি পরিষ্কার হবে ।"

হাবরায় দম্পতিকে কেন গুলি করে খুন করা হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে । পুলিশের অনুমান, নিহত রামকৃষ্ণ মণ্ডলের ভাইঝি মুনমুনের সঙ্গে তন্ময়ের সম্পর্ক ছিল । বছর দু'য়েক আগে তন্ময়-মুনমুন পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল । পরে তারা রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছিল । যদিও পারিবারিক বাধায় তাদের সংসার করা হয়নি । মুনমুন বাপেরবাড়িতে ফিরে যান । তারপর থেকে তন্ময় ও মুনমুনের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় ৷ যাতে রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও লীলা মণ্ডলের ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছে পড়শিরা । সেই আক্রোশে তম্ময় দম্পতিকে খুন করতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান । তবে খুনের নেপথ্যে অন্য কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । এমত অবস্থায় তন্ময়কে হেপাজতে নিয়ে রহস্যের জাল গোটাতে চাইছে পুলিশ ।

বারাসত, 18 সেপ্টেম্বর: পেটিএমের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হাবরার জোড়া খুনে অভিযুক্ত তন্ময় বর । বৃহস্পতিবার সন্ধের পর বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের নীলগঞ্জ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে । শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

বুধবার ভোর-রাতে হাবরার কুমড়া পঞ্চায়েতের টুনিঘাটা গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন দম্পতি রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও লীলা মণ্ডল । সেই খুনে মূল অভিযুক্ত তন্ময় বর ঘটনার পরেই বেপাত্তা হয়ে যায় । তাকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয় । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর ও DSP (সদর) রোহেদ শেখের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয় । শুরু হয় ফোন ট্র্যাক করা । যার মাধ্যমে গোয়েন্দা জানতে পারেন, তন্ময় প্রথমে কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল । তারপর সেখান থেকে দুর্গাপুরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় । সেখান থেকে ব্যারাকপুরের নীলগঞ্জ এলাকায় ফিরে আসে । এর মধ্যে তন্ময়ের সঙ্গে থাকা টাকা ফুরিয়ে এসেছিল । পরিচিত একজনকে পেটিএমে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিল সে । সেই পেটিএম সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার সন্ধের পর নীলগঞ্জ থেকে তন্ময় বরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।

কী বললেন পুলিশ সুপার ৷

পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "খুনের মোটিভ জানতে ধৃতকে হেপাজতে নিচ্ছি । তারপরই সমস্ত বিষয়টি পরিষ্কার হবে ।"

হাবরায় দম্পতিকে কেন গুলি করে খুন করা হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে । পুলিশের অনুমান, নিহত রামকৃষ্ণ মণ্ডলের ভাইঝি মুনমুনের সঙ্গে তন্ময়ের সম্পর্ক ছিল । বছর দু'য়েক আগে তন্ময়-মুনমুন পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল । পরে তারা রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছিল । যদিও পারিবারিক বাধায় তাদের সংসার করা হয়নি । মুনমুন বাপেরবাড়িতে ফিরে যান । তারপর থেকে তন্ময় ও মুনমুনের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় ৷ যাতে রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও লীলা মণ্ডলের ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছে পড়শিরা । সেই আক্রোশে তম্ময় দম্পতিকে খুন করতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান । তবে খুনের নেপথ্যে অন্য কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । এমত অবস্থায় তন্ময়কে হেপাজতে নিয়ে রহস্যের জাল গোটাতে চাইছে পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.