ETV Bharat / state

Arms Recover in Basirhat : পুলিশি অভিযানে বসিরহাটে মিলছে একের পর এক অস্ত্র ভান্ডারের খোঁজ

author img

By

Published : Apr 2, 2022, 6:09 PM IST

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই সীমান্ত ঘেঁষা বসিরহাটে মিলল অস্ত্রের ভান্ডার (Arms Recovered in police operation at Basirhat) । গত সাতদিনে পুলিশি অভিযানে উদ্ধার 27টি বন্দুক, 1টি কার্বাইন এবং 45 রাউন্ড কার্তুজ । পাকড়াও কয়েকজন দুষ্কৃতীও ।

Arms Recover in Basirhat
Arms Recover in Basirhat

বসিরহাট, 2 এপ্রিল : ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা বসিরহাট বরাবরই খ‍্যাত অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য । আর তা সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে পাচার হোক কিংবা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস এদেশে নিয়ে আসাই হোক । বারবার তা খবরের শিরোনামে এসেছে ।

তবে, বিএসএফ ও পুলিশের তৎপরতায় সেই সমস্ত অপরাধ বহু ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে । ধরাও পড়েছে অপরাধীরা । তারই মধ্যে বগটুই কাণ্ডের পর অপরাধ ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যজুড়ে অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন পুলিশ প্রশাসনকে । এরপরই শুরু হয়েছে তল্লাশি, অভিযান । লক্ষ্য, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করা ।

পুলিশের অভিযান এবং তল্লাশিতে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোনও না কোনও জায়গা থেকে অস্ত্র,বোমা-গুলি উদ্ধার হচ্ছে (Arms Recovered in police operation at Basirhat) । যার থেকে বাদ নেই উত্তর 24 পরগনা জেলাও । তবে সবচেয়ে বেশি পুলিশের সাফল্য এসেছে সীমান্ত ঘেঁষা বসিরহাট মহকুমায় ।

সূত্রের খবর, অভিযান ও নাকা তল্লাশিতে গত সাতদিনে বসিরহাটের মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, হাড়োয়া সহ পাশ্ববর্তী বেশ কয়েকটি থানা এলাকা থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ । বাজেয়াপ্ত হওয়া 27টি বন্দুক, 45 রাউন্ড কার্তুজ এবং 1টি কার্বাইনের পাশাপাশি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কয়েকজন দুষ্কৃতী ।

আরও জানা গিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে । সেখানে নাকা তল্লাশিতে মিলেছে 4টি ওয়ানশটার, 1টি কার্বাইন, 2টি বন্দুক-সহ 15 রাউন্ড কার্তুজ । ধরা পড়েছে দুই অস্ত্র সরবরাহকারীও ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ 24 পরগনার কোনও জায়গা থেকে অত্যাধুনিক এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছিল হাড়োয়াতে । সেখানে কারওর হাতে অস্ত্রগুলো তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের । বড়সড় কোনও অপরাধ সংগঠিত করার উদ্দেশ্যেই অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছিল বলে নিশ্চিত জেলা পুলিশের কর্তারা । এর পিছনে অস্ত্র পাচার চক্রের কোনও যোগ আছে কিনা,তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বসিরহাট মহকুমাজুড়ে ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে । বিশেষ করে মাছের ভেড়ি, সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে । যাতে অপরাধের আগেই দুষ্কৃতীদের নাগাল পাওয়া যায় ।

আরও পড়ুন : Student Tortured in Hostel : উস্তির হস্টেলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার 14 বছরের ছাত্র

বসিরহাট, 2 এপ্রিল : ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা বসিরহাট বরাবরই খ‍্যাত অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য । আর তা সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে পাচার হোক কিংবা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস এদেশে নিয়ে আসাই হোক । বারবার তা খবরের শিরোনামে এসেছে ।

তবে, বিএসএফ ও পুলিশের তৎপরতায় সেই সমস্ত অপরাধ বহু ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে । ধরাও পড়েছে অপরাধীরা । তারই মধ্যে বগটুই কাণ্ডের পর অপরাধ ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যজুড়ে অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন পুলিশ প্রশাসনকে । এরপরই শুরু হয়েছে তল্লাশি, অভিযান । লক্ষ্য, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করা ।

পুলিশের অভিযান এবং তল্লাশিতে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোনও না কোনও জায়গা থেকে অস্ত্র,বোমা-গুলি উদ্ধার হচ্ছে (Arms Recovered in police operation at Basirhat) । যার থেকে বাদ নেই উত্তর 24 পরগনা জেলাও । তবে সবচেয়ে বেশি পুলিশের সাফল্য এসেছে সীমান্ত ঘেঁষা বসিরহাট মহকুমায় ।

সূত্রের খবর, অভিযান ও নাকা তল্লাশিতে গত সাতদিনে বসিরহাটের মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, হাড়োয়া সহ পাশ্ববর্তী বেশ কয়েকটি থানা এলাকা থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ । বাজেয়াপ্ত হওয়া 27টি বন্দুক, 45 রাউন্ড কার্তুজ এবং 1টি কার্বাইনের পাশাপাশি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কয়েকজন দুষ্কৃতী ।

আরও জানা গিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে । সেখানে নাকা তল্লাশিতে মিলেছে 4টি ওয়ানশটার, 1টি কার্বাইন, 2টি বন্দুক-সহ 15 রাউন্ড কার্তুজ । ধরা পড়েছে দুই অস্ত্র সরবরাহকারীও ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ 24 পরগনার কোনও জায়গা থেকে অত্যাধুনিক এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছিল হাড়োয়াতে । সেখানে কারওর হাতে অস্ত্রগুলো তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের । বড়সড় কোনও অপরাধ সংগঠিত করার উদ্দেশ্যেই অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছিল বলে নিশ্চিত জেলা পুলিশের কর্তারা । এর পিছনে অস্ত্র পাচার চক্রের কোনও যোগ আছে কিনা,তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বসিরহাট মহকুমাজুড়ে ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে । বিশেষ করে মাছের ভেড়ি, সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে । যাতে অপরাধের আগেই দুষ্কৃতীদের নাগাল পাওয়া যায় ।

আরও পড়ুন : Student Tortured in Hostel : উস্তির হস্টেলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার 14 বছরের ছাত্র

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.