বসিরহাট, 23 নভেম্বর: বসিরহাট গুলিকাণ্ডে (Basirhat Shootout Case) পুলিশের জালে আরও আট । বুধবার ভোরে বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করা হয়েছে এই আট তৃণমূল কর্মীকে (Another eight people arrested) । ধৃতদের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাঁধা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ।
এর আগে গুলিকাণ্ডে তৃণমূল নেতা সিরাজুল ইসলাম-সহ মোট 41 জনকে গ্রেফতার করেছিল বসিরহাট থানার পুলিশ । এবার গ্রেফতার হলেন আরও আট জন । ফলে এই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 49 ।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে (TMC Factionalism) রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর 24 পরগনার বসিরহাটের শাকচূড়া বাজার সংলগ্ন এলাকা । চলে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও । সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন বসিরহাট থানার পুলিশ কনস্টেবল । প্রভাত সরদার নামে ওই কনস্টেবলের গুলি গিয়ে বাঁ কাঁধে লাগে । মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ ওই কনস্টেবলের অস্ত্রোপচার হয়েছে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে । তিনি এখন অনেকটাই বিপদমুক্ত বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে ।
জানা গিয়েছে, জেলাপরিষদ সদস্য তথা তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি শাহানুর মণ্ডল এবং বসিরহাট 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নজরুল হক ঘনিষ্ঠ সিরাজুল ইসলামের গোষ্ঠীর বচসা থেকেই এই সংঘর্ষ ও তার জেরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে । ঘটনার দিন সিরাজুলের লোকজনই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ভিড়ের মধ্যে গুলি চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ । তাঁদের লক্ষ্য ছিল শাহানুর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা আসরাফুল জামান বুলবুলকে গুলি করে খুন করা । কিন্তু কোনও কারণে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বরাত জোরে সেদিন বেঁচে যান তিনি । সেই গুলিই গিয়ে লাগে বসিরহাট থানার পুলিশ কনস্টেবল প্রভাত সরদারের বাঁ কাঁধে । ঘটনার পরপরই বসিরহাট থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বসিরহাটে ধুন্ধুমার, গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল; গ্রেফতার 41
এদিকে ঘটনার একদিন পরও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে । চলছে পুলিশের টহলও । সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে চিরুনি তল্লাশিও চালানো হচ্ছে পুলিশের তরফে । অন্যদিকে ধৃত এই আটজনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে বুধবার দুপুরে তাদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ ।