দেগঙ্গা, 19 জানুয়ারি : কর্মতীর্থ প্রকল্পে দোকানঘর বিতরণে স্বজনপোষণের অভিযোগ । সোমবার তৃণমূল পরিচালিত দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন আবেদনকারীরা । কর্মতীর্থ প্রকল্পে গড়ে ওঠা স্থানীয় দোকান ঘরের সামনেও চলে বিক্ষোভ । উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকা । দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, "কর্মতীর্থ প্রকল্পে প্রকৃত দাবিদারদের বঞ্চিত করা হয়েছে । পরিবর্তে এই প্রকল্পে দোকানঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের আত্মীয়,পরিজনদের । সরকারিভাবে প্রাপকদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানেও রয়েছে বিস্তর গড়মিল ।" যদিও স্বজনপোষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চাকলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মৌমিতা দাস কাহার ।
বেকার যুবকদের স্বনির্ভর করে তুলতে কর্মতীর্থ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার । এই প্রকল্পে আবেদনকারী প্রকৃত বেকারদের দোকানঘর দেওয়া হয় পঞ্চায়েতের তরফে । দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও কর্মতীর্থ প্রকল্পে গড়ে উঠেছে প্রায় চল্লিশটি দোকানঘর । কিন্তু সেই দোকানঘর বিতরণ ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক । অভিযোগ, প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে সেই দোকানঘরের অধিকাংশই বিতরণ করা হয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের আত্মীয়-পরিজনদের । পঞ্চায়েতের তালিকাতেও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । অথচ সমস্ত প্রমাণ ও তথ্য দেওয়া সত্বেও আবেদন কারীদের একাংশের জায়গায় হয়নি সেই তালিকায়। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে । সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে সোমবার ।
যদিও বিক্ষোভ কারীদের অভিযোগ মানতে নারাজ চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মৌমিতা দাস কাহার । তিনি বলেন,"সরকারি নিয়মে কোথাও বলা নেই পঞ্চায়েতের পদাধিকারি কিংবা পঞ্চায়েত সদস্যদের আত্মীয়রা সরকারি প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না । তাই নিয়ম মেনেই সবকিছু হয়েছে । স্বজনপোষণের অভিযোগ ঠিক নয় । তৃণমূলের বদনাম করতেই চক্রান্ত করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে ।"
আরও পড়ুন : কর্মতীর্থ প্রকল্প নিয়ে বিভ্রান্তি, গোবরডাঙায় ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিচার্জ
প্রসঙ্গত,আমফান ক্ষতিপূরণের টাকা বন্টন ঘিরে দেগঙ্গার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল । বেশকিছু পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। এবার কর্মতীর্থ প্রকল্পেও উঠল স্বজনপোষণের অভিযোগ ।