ভাঙড়, 15 অগস্ট: স্বাধীনতা দিবসের দিনও নতুন করে অশান্তি শুরু ভাঙড়ে । এবার জাতীয় পতাকার উত্তোলন ঘিরে গোলমালের অভিযোগ ভাঙড়ে । ভাঙড়ের বেশ কিছু এলাকায় আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । অভিযোগের তির তৃণমূলের একাংশের দিকে । ভাঙড়-1 অঞ্চলে আইএসএফ'কে দু’টি জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর । আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর ।
শুধু তাই নয়, পতাকা উত্তোলন করলে খুন করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি আইএসএফ বিধায়কের । এদিন ভাঙড়-1 ব্লকের নলমুড়ি এলাকায় আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । পরবর্তী সময়ে পুলিশি নিরাপত্তায় পতাকা উত্তোলন করেন নওশাদ । পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানান তিনি ৷ পুলিশ তাঁকে আশ্বস্ত করেছে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে । নওশাদ পুলিশকে পদক্ষেপের জন্য 48 ঘণ্টার চরমসীমা বেঁধে দিয়েছেন । বলছেন, যদি 48 ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে কোন কোন দফতরে বিষয়টি জানাতে হয়, সেটি তিনি দেখবেন । নওশাদের বক্তব্য, "এটা তো কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা তো স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি ।"
আরও পড়ুন: 77তম স্বাধীনতা দিবসে ব্যারাকপুর গান্ধিঘাটে তেরঙা উত্তোলন রাজ্যপালের
একইসঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়কের দাবি, তৃণমূলের ব্যানারের আশ্রয়ে যে দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে, তারা আসলে কারা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখুক পুলিশ । নওশাদ বলছেন, "দেশবিরোধী কোনও শক্তি, কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে এদের যোগ আছে নাকি, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার । তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে এরা লালিত-পালিত । তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাদের সুপ্রিমো এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিন । দলীয় স্তরে তারা তদন্ত করুক । প্রশাসন তদন্ত করুক । এরা সমাজ বিরোধী নয় তো? শুধু শাসকের ব্যানারকে ব্যবহার করে দেশবিরোধী শক্তি এই কাজ করছে না তো? এটা তদন্ত হওয়া দরকার ।" তবে নওশাদ সিদ্দিকীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা । তাঁর বক্তব্য, সব ভাঁওতা মানুষ পাশে নেই তাই প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছে । এই সব প্রতারণা । মানুষের সমর্থন আর নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে নেই । সেটা আড়াল করতে এসব কথাবার্তা বলছেন ।