বারাসত, 30 জানুয়ারি : কেন্দ্রীয় কৃষি ও বিদ্যুৎ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার বারাসতের রাজপথে নামে সারা ভারত কিষাণ ও ক্ষেতমজুর সংগঠন । এই ইস্যুতে এদিন বিকেলে বারাসত শহরে মিছিল করেন সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা । কিছু সময়ের জন্য, শহরের কলোনি মোড়ের 34 নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধও করা হয় । মোদির কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ দেখানো হয় । এর জেরে থমকে যায় জাতীয় সড়কের যানচলাচল । পরে,পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি সীমান্ত এলাকায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা । কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের আলোচনা হলেও, কোনও রফা সূত্র বেরোয়নি এখনও । এরই মধ্যে সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র ধুন্ধুমার লাগে আইটিও এলাকায় । পুলিশের বাধা দেওয়া সত্ত্বেও লালকেল্লায় ঢুকে নিজেদের পতাকা ওড়ায় আন্দোলনকারিদের একাংশ । এরপরই কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় দিল্লি পুলিশকে । একাধিক কৃষক সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা রুজু করে পুলিশ । যদিও সেদিনের ঘটনার দায় নিতে নারাজ কৃষক সংগঠনের নেতারা । সাধারণতন্ত্র দিবসের ঘটনার পর থেকেই, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লি সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ বাহিনী । পুলিশের এই সক্রিয়তা নিয়েও এদিন সরব হয় সারা ভারত কিষাণ ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা । দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয় তারা ।
আরও পড়ুন : সিঙ্ঘু সীমান্তে তলোয়ার নিয়ে পুলিশের উপর হামলা, গ্রেপ্তার 44
এ বিষয়ে সারা ভারত কিষাণ ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, "মোদি সরকার বলপ্রয়োগ করে কৃষকদের আন্দোলন ভাঙতে চাইছে । প্রতারণার আশ্রয় নিতে হচ্ছে তাঁদের । তবে, এসবের মধ্যেও কৃষকরা তাঁদের আন্দোলনে অনড় । তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা ছাড়া ওঁদের কাছে কোনও বিকল্প নেই । " জেলা সভাপতি আরও বলেন,"কৃষি ও বিদ্যুৎ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এদিন গোটা দেশে প্রতিবাদ দিবসের ডাক দেওয়া হয় । তারই অঙ্গ হিসেবে আমরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছি । অবরোধ করে মোদির কুশপুতুল দাহ করলাম ।" কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন স্বপন বাবু।