বসিরহাট, 9 অক্টোবর : আদালতের নির্দেশে নাবালিকার মৃতদেহ দ্বিতীয়বার কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাল প্রশাসন ৷ শনিবার ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়ব্রত দত্তের নির্দেশে বিডিও জয়দীপ চক্রবর্তী, চিকিৎসক সুকদেব বিশ্বাস ও মাটিয়া থানার পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে নাবালিকার দেহ কবর থেকে তোলা হয়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ৷
পরিবারের অভিযোগ ছিল, ওই নাবালিকার মৃত্যু স্বাভাবিক নয় ৷ তাকে ধর্ষণের পর খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ নাবালিকার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা ৷ শেষমেশ আদালতের নির্দেশে ২০দিন পর এদিন কবর থেকে তোলা হল নাবালিকার মৃতদেহ ৷
জানা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল নিজের ঘর থেকে ৷ পনেরো বছরের ওই নাবালিকা স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া। ঘটনার দিন বসিরহাটের মাটিয়া থানা এলাকার বাড়িতে একাই ছিল সে। তার বাবা-মা ব্যারাকপুরে কর্মস্থলে ছিলেন। স্থানীয়দের কাছ থেকেই মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা জানতে পারে দম্পতি ৷ অভিযোগ, তাঁরা বাড়িতে আসার আগেই না-জানিয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় ময়নাতদন্তের জন্য ৷ ময়নাতদন্তের পর নাবালিকার মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে ৷ পরে বাড়ির কাছেই কবর দেওয়া হয় নাবালিকার দেহ ৷
আরও পড়ুন : ধর্ষিতা নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল তেলাঙ্গনা হাইকোর্ট
এদিকে এই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ জানান নাবালিকার বাবা-মা। অভিযোগ তোলেন, তাঁদের নাবালিকা মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না ৷ নাবালিকার পরিবারের ধারণা, এই মৃত্যু রহস্যজনক ৷ নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বাবা-মা ৷ এরপরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে বসিরহাট মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হন নাবালিকার পরিবার ৷ সম্প্রতি পরিবারের দাবি মেনে আদালত নির্দেশ দেয়, নাবালিকার মৃতদেহ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করবে প্রশাসন ৷ সেইমতো এদিন প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কবর থেকে নাবালিকার দেহ তুলে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।