বারাসত, 27 মার্চ : চলন্ত ট্রেনে অ্যাসিড আতঙ্ক । ঝাঁঝালো গন্ধে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আতঙ্কিত যাত্রীদের মধ্যে । শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখার কড়েয়া কদম্বগাছি স্টেশনের ঘটনা । রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে আপ হাসনাবাদগামী লোকালের পিছনের দিকের মহিলা কামরায় অ্যাসিডের ব্যারেল পড়ে যাওয়ার ফলেই এই বিপত্তি ঘটে । পরে, মহিলা যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে জল ঢেলে পরিস্থিতি সামাল দেয় রেল পুলিশ । সেইসঙ্গে ওই মহিলা কামরায় লাল ফিতে লাগিয়ে যাত্রী ওঠানামাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। অ্যাসিড আতঙ্কের জেরে এদিন হাসনাবাদ শাখায় সাময়িক ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে । তবে, ঘটনায় কেউ অসুস্থ কিংবা আহত হয়নি বলেই জানা গেছে রেলপুলিশ সূত্রে ।
এদিন দুপুর দুটো এক মিনিটে আপ হাসনাবাদ লোকাল প্রবেশ করে কড়েয়া কদম্বগাছি স্টেশনে । তখন ওই ট্রেনের পিছনের দিকের মহিলা কামরায় শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি । ঝাঁঝালো গন্ধে ভরে যায় স্টেশন চত্বর ও তাঁর আশেপাশের এলাকা । আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মহিলা যাত্রীদের মধ্যে । ট্রেন থামিয়ে সেখানে ছুটে আসেন চালক । আসে স্থানীয় লোকজনও । তাঁরা এসে লক্ষ্য করেন, ওই মহিলা কামরায় অ্যাসিডের ব্যারেল পড়ে রয়েছে । সেখান থেকে বের হচ্ছে ঝাঁঝালো গন্ধ । দেরি না করে কামরায় জল ঢেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয় । অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পরে লাল ফিতে দিয়ে ওই কামরা বন্ধ করে দেওয়া হয় । যাতে যাত্রীরা সেই কামরায় ওঠানামা করতে না পারে । এর জেরে কড়েয়া কদম্বগাছি স্টেশনে ওই লোকাল ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে । ফলে,হাসনাবাদ শাখার ট্রেন চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে ।
![ট্রেনের কামরায় লাল ফিতে দেওয়া হয়](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-n24-03-acidatankotrain-vis-byte-raju-10009_27032021185913_2703f_1616851753_453.jpg)
আরও পড়ুন, প্রথম দফায় কতটা মানা হল করোনাবিধি ?
এই বিষয়ে শুভ অধিকারী নামে এক ট্রেনের হকার বলেন, "দু’পয়সা রোজগারের জন্য সারাদিনই বাড়ির বাইরে থাকতে হয় আমাদের । হকারি করতে হয় ট্রেনের মধ্যেই । কীভাবে চলন্ত ট্রেনে অ্যাসিডের ব্যারেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেটাই বুঝতে পারছি না । যারা নিয়ে যাচ্ছে,সেই কাজে যারা সহযোগিতা করছে সবাই সমান দোষী । আমরা চাইব রেল যাত্রী সহ সকলেই নিশ্চিন্তে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে । সেদিকে নজর দেওয়া উচিত রেল প্রশাসনের ৷"
এদিকে, চলন্ত ট্রেনে অ্যাসিড বহন করা নিষিদ্ধ হলেও কীভাবে নজরদারি এড়িয়ে সেই অ্যাসিড নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ৷ এক্ষেত্রে রেল পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যাত্রীদের একাংশ ।