বনগাঁ, 14 জানুয়ারি: মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ । ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল । বনগাঁ থানার ঘাটবাওড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়ুইগাছি গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত । স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ পেয়ে হাওড়া ময়দান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ থানার পুলিশ । পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে ভিন রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার ছক ছিল বিশ্বজিতের । ধৃতকে আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চড়ুইগাছির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে নবদ্বীপের পূর্ণিমার বিয়ে হয়েছিল । অভিযোগ, জুয়া ও মদের নেশায় আসক্ত ছিলেন বিশ্বজিৎ । ঠিক মতো কাজ কর্ম করতেন না । সংসার চালাতে লোকের বাড়িতে কাজ করতেন পূর্ণিমাই । যাকে কেন্দ্র করে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকতো । মদ্যপ অবস্থায় পূর্ণিমাকে মারধর করতেন বিশ্বজিৎ বলেও অভিযোগ । সম্প্রতি বিশ্বজিতের সঙ্গে পূর্ণিমার অশান্তি চরমে পৌঁছলে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিকল্পনাও নিয়েছিলেন তাঁরা । অশান্তির জেরে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ণিমা বনগাঁ কালোপুর খড়ের মাঠ এলাকায় তাঁর বড় মেয়ের বাড়িতে চলে আসেন ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে বিশ্বজিৎ তাঁর এক প্রতিবেশীকে নিয়ে আসেন এবং পূর্ণিমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন । তখন পূর্ণিমা তাঁকে জানান, তিনি আর বিশ্বজিতের সঙ্গে সংসার করবেন না । অভিযোগ, এই কথা শুনে বিশ্বজিৎ পূর্ণিমাকে ছুরি দিয়ে একাধিকবার এলোপাথাড়েভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যান । তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজিতের সঙ্গে আসা সদানন্দ মণ্ডল । তাঁর চিৎকারে পূর্ণিমার বড় মেয়ে এসে দেখে মা খাটে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছেন । তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় পূর্ণিমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
পরবর্তীতে শনিবার বিশ্বজিতের নামে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে তাঁর মেয়ে মৌ মণ্ডল । অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে হাওয়া ময়দান থেকে বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: