দেগঙ্গা, 24 মার্চ : পরিবারে বাবা-মায়ের নিত্য অশান্তি । তার জেরে অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ এক তরুণী (Deganga Suicide Case )। ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ৷
মৃতের নাম ইন্দ্রানী ঘোষ (২৭)। জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার চাকলা পঞ্চায়েতের বল্লভপুর ঘোষপাড়ায় বাবা ও মায়ের সঙ্গে থাকতেন ইন্দ্রানী । পরিবারের একমাত্র সন্তান তিনি । এমএ পাস করে ইদানিং চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি ৷ কিন্তু, কিছুতেই তাতে মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না তিনি । কারণ, বাবা ও মায়ের নিত্য অশান্তি লেগে থাকত । অশান্তির মীমাংসা করার চেষ্টাও করেছিলেন ইন্দ্রানী । কিন্তু, তারপরও সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত। তার জেরেই অভিমানী তরুণী আত্মঘাতী হন।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর নিজের ঘরে শুতে চলে যান ইন্দ্রানী । এরপর সকাল হয়ে গেলেও ঘরের দরজা খোলা না দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের । অনেক ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে শেষে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা । দেখেন,ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলছে ইন্দ্রানীর দেহ । এই দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন পরিজনেরা । তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে । খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে । পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে ।
আরও পড়ুন : মায়ের বকুনি, অভিমানে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীমায়ের বকুনি, অভিমানে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
এই বিষয়ে মৃতার প্রতিবেশী বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, "ইন্দ্রানী একজন উচ্চশিক্ষিত এবং সুশ্রী। বাবা ও মায়ের নিত্য অশান্তির জেরেই অভিমানে সে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। শিক্ষিত হয়েও তাঁর এমন সিদ্ধান্তে হতবাক আমরা। পারিবারিক অশান্তি থাকলেও এমন ঘটনা কাম্য নয় কখনওই ৷"