ETV Bharat / state

তৃণমূলকে 'অনুদান' ও পুলিশকে 'মাসোহারা'-র জেরেই কী চলত অবৈধ বাজি কারখানা ? - দেবক গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে

দেবক গ্রামে শাসকদল ও পুলিশের মদতে বেআইনি বাজি কারখানাগুলি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "দলের কেউ এই কাজে যুক্ত থাকলে তাঁকে ছেড়ে কথা বলা হবে না । আইন আইনের পথেই চলবে ।"

bisforon
bisforon
author img

By

Published : Jan 4, 2020, 8:07 PM IST

Updated : Jan 4, 2020, 11:56 PM IST

নৈহাটি, 4 জানুয়ারি : দেবক গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে । কোনও রাজনৈতিক দলের মদতে ওই কারখানা চলছিল কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে । স্থানীয়দের একাংশের তরফে অভিযোগের আঙুল উঠছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশের বিরুদ্ধে । তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে 'মাসোহারা চুক্তি' ছিল কারখানার মালিক নুর আলমের । তা ছাড়া অবৈধ কারখানা চলার পেছনে মদত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, যে কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি ছাড়াও আরও ছয়টি বেআইনি বাজি কারখানা চলছে ওই এলাকায় । পাশাপাশি গ্রামের প্রায় 200 বাড়িতেও অবৈধভাবে বাজি তৈরি হয় । প্রশাসন বিষয়টি জেনেও না কি পদক্ষেপ করেনি । বাসিন্দাদের একাংশ বলেন, "এলাকার বেআইনি বাজি কারখানাগুলির সঙ্গে পুলিশের মাসোহারা চুক্তি রয়েছে । মাস গেলে পুলিশকর্তাদের কাছে পৌঁছে যায় টাকা । তাই সব জেনেও পুলিশ এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি । তা ছাড়া শাসকদলের নেতাদেরও কারখানার মালিকরা টাকা দেন । তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনুদানের একটা বড় উৎস হল দেবগ্রামের বাজিপাড়া । কার্যত শাসকদলের অলিখিত সমর্থনে চলছে ওই বেআইনি বাজি কারখানাগুলি ।" তাঁদের প্রশ্ন, মামুদপুর পঞ্চায়েত অফিসের থেকে ঢিল-ছোড়া দূরত্বে কীভাবে এমন বেআইনি কারখানা চলছিল ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছে, নুর আলম বাম জমানায় CPI(M)-এর ছত্রছায়ায় ছিল । তবে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সে তার রাজনৈতিক আনুগত্য পরিবর্তন করে । নৈহাটিতে তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলের নেতাদের পাশে নুর আলমকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে। দেবগ্রামে গত তিন বছর ধরে সে ওই বেআইনি বাজি কারখানা চালাচ্ছে । ২৯ জন কর্মী কাজ করেন ওই কারখানায় । তবে শুক্রবার নমাজ পড়ার জন্য কারখানায় মাত্র পাঁচ শ্রমিক কাজে এসেছিলেন । নুর আলমের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "দলের কেউ এই কাজে থাকলে তাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না । আইন আইনের পথে চলবে । পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ।"

উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর 12টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয় নৈহাটির দেবক গ্রামে । বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, গঙ্গার ওপারে হুগলিতেও তা অনুভূত হয় । বিস্ফোরণের জেরে উড়ে যায় কারখানাটির ছাদ । গুরুতর জখম হন একাধিক । তাঁদের ব্যারাকপুর, নৈহাটি ও কল্যাণীর হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরে তাদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে । একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক । স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । একবছর আগেও ওই কারখানায় বিস্ফোরণ হয় । সেবার মৃত্যু হয়েছিল ছয় জনের । এবার বিস্ফোরণের পর থেকে কারখানার মালিক পলাতক । তার বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে পুলিশ ।

নৈহাটি, 4 জানুয়ারি : দেবক গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে । কোনও রাজনৈতিক দলের মদতে ওই কারখানা চলছিল কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে । স্থানীয়দের একাংশের তরফে অভিযোগের আঙুল উঠছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশের বিরুদ্ধে । তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে 'মাসোহারা চুক্তি' ছিল কারখানার মালিক নুর আলমের । তা ছাড়া অবৈধ কারখানা চলার পেছনে মদত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, যে কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি ছাড়াও আরও ছয়টি বেআইনি বাজি কারখানা চলছে ওই এলাকায় । পাশাপাশি গ্রামের প্রায় 200 বাড়িতেও অবৈধভাবে বাজি তৈরি হয় । প্রশাসন বিষয়টি জেনেও না কি পদক্ষেপ করেনি । বাসিন্দাদের একাংশ বলেন, "এলাকার বেআইনি বাজি কারখানাগুলির সঙ্গে পুলিশের মাসোহারা চুক্তি রয়েছে । মাস গেলে পুলিশকর্তাদের কাছে পৌঁছে যায় টাকা । তাই সব জেনেও পুলিশ এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি । তা ছাড়া শাসকদলের নেতাদেরও কারখানার মালিকরা টাকা দেন । তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনুদানের একটা বড় উৎস হল দেবগ্রামের বাজিপাড়া । কার্যত শাসকদলের অলিখিত সমর্থনে চলছে ওই বেআইনি বাজি কারখানাগুলি ।" তাঁদের প্রশ্ন, মামুদপুর পঞ্চায়েত অফিসের থেকে ঢিল-ছোড়া দূরত্বে কীভাবে এমন বেআইনি কারখানা চলছিল ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছে, নুর আলম বাম জমানায় CPI(M)-এর ছত্রছায়ায় ছিল । তবে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সে তার রাজনৈতিক আনুগত্য পরিবর্তন করে । নৈহাটিতে তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলের নেতাদের পাশে নুর আলমকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে। দেবগ্রামে গত তিন বছর ধরে সে ওই বেআইনি বাজি কারখানা চালাচ্ছে । ২৯ জন কর্মী কাজ করেন ওই কারখানায় । তবে শুক্রবার নমাজ পড়ার জন্য কারখানায় মাত্র পাঁচ শ্রমিক কাজে এসেছিলেন । নুর আলমের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "দলের কেউ এই কাজে থাকলে তাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না । আইন আইনের পথে চলবে । পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ।"

উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর 12টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয় নৈহাটির দেবক গ্রামে । বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, গঙ্গার ওপারে হুগলিতেও তা অনুভূত হয় । বিস্ফোরণের জেরে উড়ে যায় কারখানাটির ছাদ । গুরুতর জখম হন একাধিক । তাঁদের ব্যারাকপুর, নৈহাটি ও কল্যাণীর হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরে তাদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে । একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক । স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । একবছর আগেও ওই কারখানায় বিস্ফোরণ হয় । সেবার মৃত্যু হয়েছিল ছয় জনের । এবার বিস্ফোরণের পর থেকে কারখানার মালিক পলাতক । তার বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে পুলিশ ।

Intro:নৈহাটিঃ তৃণমূলের ছত্রছায়াতেই বেড়ে উঠেছিল বেআইনি বাজি কারখানার মালিক নুর আলম

নৈহাটিঃ বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে চার জনের মৃত্যুর পর উঠছে নানা প্রশ্ন। কাঠগড়ায় যেমন পুলিশ। শাসকদল তৃণমূলও পারছে না দায় এড়াতে। নৈহাটির বাসিন্দারা বলছেন, তৃণমূলের ছত্রছায়াতেই বেড়ে উঠেছিল বেআইনি ওই বাজি কারখানার মালিক নুর আলম। শাসকদলের নেতাদের আশীর্বাদের হাত তার মাথার উপর থাকায় পুলিশ কখনও তাকে ছুঁতে পারেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির দেবগ্রামে মোট সাতটা বড় বাজি কারখানা রয়েছে। ওই সাতটা বাজি কারখানার কোনওটারই সরকারি অনুমতি নেই। তার বাইরে কম-বেশি দু'শো বাড়িতে বাজি তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠেছে মামুদপুর পঞ্চায়েত অফিসের ঢিলছোড়া দূরত্বে গোটা গ্রামজুড়ে কী করে চলে এমন বেআইনি কাজ? বিশেষ করে বাজির মতো বিপজ্জনক বিস্ফোরক নিয়ে কালো কারবার? স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রত্যেকটা বেআইনি বাজি কারখানার সঙ্গে পুলিশের মাসোহারার চুক্তি রয়েছে। মাস গেলে পুলিশকর্তাদের কাছে পৌঁছে যায় টাকা। তাই, সব জেনেও পুলিশ এতদিন চোখ বন্ধ করে ছিল। সেই সঙ্গে রয়েছে শাসকদলের নেতাদের আশীর্বাদ। দলের কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতাদের 'অনুদান'-এর একটা উৎস এই দেবগ্রামের বাজিপাড়া। স্বাভাবিকভাবে শাসকদলের অলিখিত সমর্থনে চলছে ওই বেআইনি বাজি কারখানাগুলো। শুক্রবার নুর আলমের কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম একজন এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নুর আলম বাম জমানায় সিপিএমের ছত্রছায়ায় থাকলেও পরিবর্তনের হাওয়ায় তৃণমূলের ছাতার তলায় ঢুকে পড়ে। নৈহাটিতে তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতাদের পাশে নুর আলমকে দেখা গিয়েছে। দেবগ্রামে গত তিন বছর ধরে সে ওই বেআইনি বাজি কারখানা চালাচ্ছে। মোট ২৯ জন কর্মী কাজ করেন ওই বাজি কারখানায়। শুক্রবার নমাজের কারণে অনেকে কাজে আসেননি। পাঁচ জন কাজ করছিলেন। বাজি বিস্ফোরণে তাঁরা সবাই ঝলসে যান। হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু। ঘটনার পর চম্পট দিয়েছে বেআইনি ওই বাজি কারখানার মালিক নুর আলম। পুলিশ অবশ্য দুর্ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা রুজু করেছে। তৃণমূল নেতাদের মদতে তার বেড়ে ওঠা প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'দলের কেউ হলেও তাকে ছাড়া হবে না। আইন আইনের পথেই চলবে। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।' ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, 'ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে। কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হত তা তদন্ত করা হচ্ছে।' পুলিশ এতদিন কেন ব্যবস্থা নেয়নি সে প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, 'সবই তদন্ত করা হচ্ছে।'Body:নৈহাটিঃ তৃণমূলের ছত্রছায়াতেই বেড়ে উঠেছিল বেআইনি বাজি কারখানার মালিক নুর আলম

নৈহাটিঃ বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে চার জনের মৃত্যুর পর উঠছে নানা প্রশ্ন। কাঠগড়ায় যেমন পুলিশ। শাসকদল তৃণমূলও পারছে না দায় এড়াতে। নৈহাটির বাসিন্দারা বলছেন, তৃণমূলের ছত্রছায়াতেই বেড়ে উঠেছিল বেআইনি ওই বাজি কারখানার মালিক নুর আলম। শাসকদলের নেতাদের আশীর্বাদের হাত তার মাথার উপর থাকায় পুলিশ কখনও তাকে ছুঁতে পারেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির দেবগ্রামে মোট সাতটা বড় বাজি কারখানা রয়েছে। ওই সাতটা বাজি কারখানার কোনওটারই সরকারি অনুমতি নেই। তার বাইরে কম-বেশি দু'শো বাড়িতে বাজি তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠেছে মামুদপুর পঞ্চায়েত অফিসের ঢিলছোড়া দূরত্বে গোটা গ্রামজুড়ে কী করে চলে এমন বেআইনি কাজ? বিশেষ করে বাজির মতো বিপজ্জনক বিস্ফোরক নিয়ে কালো কারবার? স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রত্যেকটা বেআইনি বাজি কারখানার সঙ্গে পুলিশের মাসোহারার চুক্তি রয়েছে। মাস গেলে পুলিশকর্তাদের কাছে পৌঁছে যায় টাকা। তাই, সব জেনেও পুলিশ এতদিন চোখ বন্ধ করে ছিল। সেই সঙ্গে রয়েছে শাসকদলের নেতাদের আশীর্বাদ। দলের কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতাদের 'অনুদান'-এর একটা উৎস এই দেবগ্রামের বাজিপাড়া। স্বাভাবিকভাবে শাসকদলের অলিখিত সমর্থনে চলছে ওই বেআইনি বাজি কারখানাগুলো। শুক্রবার নুর আলমের কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম একজন এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নুর আলম বাম জমানায় সিপিএমের ছত্রছায়ায় থাকলেও পরিবর্তনের হাওয়ায় তৃণমূলের ছাতার তলায় ঢুকে পড়ে। নৈহাটিতে তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতাদের পাশে নুর আলমকে দেখা গিয়েছে। দেবগ্রামে গত তিন বছর ধরে সে ওই বেআইনি বাজি কারখানা চালাচ্ছে। মোট ২৯ জন কর্মী কাজ করেন ওই বাজি কারখানায়। শুক্রবার নমাজের কারণে অনেকে কাজে আসেননি। পাঁচ জন কাজ করছিলেন। বাজি বিস্ফোরণে তাঁরা সবাই ঝলসে যান। হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু। ঘটনার পর চম্পট দিয়েছে বেআইনি ওই বাজি কারখানার মালিক নুর আলম। পুলিশ অবশ্য দুর্ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা রুজু করেছে। তৃণমূল নেতাদের মদতে তার বেড়ে ওঠা প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'দলের কেউ হলেও তাকে ছাড়া হবে না। আইন আইনের পথেই চলবে। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।' ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, 'ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে। কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হত তা তদন্ত করা হচ্ছে।' পুলিশ এতদিন কেন ব্যবস্থা নেয়নি সে প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, 'সবই তদন্ত করা হচ্ছে।'Conclusion:নৈহাটিঃ তৃণমূলের ছত্রছায়াতেই বেড়ে উঠেছিল বেআইনি বাজি কারখানার মালিক নুর আলম

নৈহাটিঃ বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে চার জনের মৃত্যুর পর উঠছে নানা প্রশ্ন। কাঠগড়ায় যেমন পুলিশ। শাসকদল তৃণমূলও পারছে না দায় এড়াতে। নৈহাটির বাসিন্দারা বলছেন, তৃণমূলের ছত্রছায়াতেই বেড়ে উঠেছিল বেআইনি ওই বাজি কারখানার মালিক নুর আলম। শাসকদলের নেতাদের আশীর্বাদের হাত তার মাথার উপর থাকায় পুলিশ কখনও তাকে ছুঁতে পারেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির দেবগ্রামে মোট সাতটা বড় বাজি কারখানা রয়েছে। ওই সাতটা বাজি কারখানার কোনওটারই সরকারি অনুমতি নেই। তার বাইরে কম-বেশি দু'শো বাড়িতে বাজি তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠেছে মামুদপুর পঞ্চায়েত অফিসের ঢিলছোড়া দূরত্বে গোটা গ্রামজুড়ে কী করে চলে এমন বেআইনি কাজ? বিশেষ করে বাজির মতো বিপজ্জনক বিস্ফোরক নিয়ে কালো কারবার? স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রত্যেকটা বেআইনি বাজি কারখানার সঙ্গে পুলিশের মাসোহারার চুক্তি রয়েছে। মাস গেলে পুলিশকর্তাদের কাছে পৌঁছে যায় টাকা। তাই, সব জেনেও পুলিশ এতদিন চোখ বন্ধ করে ছিল। সেই সঙ্গে রয়েছে শাসকদলের নেতাদের আশীর্বাদ। দলের কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতাদের 'অনুদান'-এর একটা উৎস এই দেবগ্রামের বাজিপাড়া। স্বাভাবিকভাবে শাসকদলের অলিখিত সমর্থনে চলছে ওই বেআইনি বাজি কারখানাগুলো। শুক্রবার নুর আলমের কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম একজন এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নুর আলম বাম জমানায় সিপিএমের ছত্রছায়ায় থাকলেও পরিবর্তনের হাওয়ায় তৃণমূলের ছাতার তলায় ঢুকে পড়ে। নৈহাটিতে তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতাদের পাশে নুর আলমকে দেখা গিয়েছে। দেবগ্রামে গত তিন বছর ধরে সে ওই বেআইনি বাজি কারখানা চালাচ্ছে। মোট ২৯ জন কর্মী কাজ করেন ওই বাজি কারখানায়। শুক্রবার নমাজের কারণে অনেকে কাজে আসেননি। পাঁচ জন কাজ করছিলেন। বাজি বিস্ফোরণে তাঁরা সবাই ঝলসে যান। হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু। ঘটনার পর চম্পট দিয়েছে বেআইনি ওই বাজি কারখানার মালিক নুর আলম। পুলিশ অবশ্য দুর্ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা রুজু করেছে। তৃণমূল নেতাদের মদতে তার বেড়ে ওঠা প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'দলের কেউ হলেও তাকে ছাড়া হবে না। আইন আইনের পথেই চলবে। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।' ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, 'ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে। কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হত তা তদন্ত করা হচ্ছে।' পুলিশ এতদিন কেন ব্যবস্থা নেয়নি সে প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, 'সবই তদন্ত করা হচ্ছে।'
Last Updated : Jan 4, 2020, 11:56 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.