বাগদা,1 জুন : কাজ দেওয়ার নাম করে যুবতিকে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল বছর চল্লিশের এক ব্যক্তিকে । উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার ঘটনা । অভিযুক্তের নাম সঞ্জীব বিশ্বাস ওরফে অপূর্ব। তার বাড়ি ওই এলাকায় । বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার শিন্দ্রাণী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে এক পরিচিত যুবকের মাধ্যমে অপূর্বের সঙ্গে আলাপ হয় ২৫ বছরের রেখা (নাম পরিবর্তিত)-র । রেখার কাছে অপূর্ব নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দেয়। ভারত -নেপাল সীমান্তে তার একটি ক্লিনিক আছে বলেও জানায় সে । সেখানে ওই যুবতিকে কাজের প্রস্তাব দেয় অপূর্ব। যুবতির পরিবারের সঙ্গেও কথা বলে । অপূর্বর দেওয়া চাকরির প্রস্তাব রাজি হয়ে যান তিনি । ওই যুবতির অভিযোগ, এরপর তাঁকে নেপাল সীমান্ত লাগোয়া আলিগড়বা নিয়ে যায় অপূর্ব । সেখানে তাঁকে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখে । শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন । বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করলে জুটত মারধর । কিছুদিন এভাবে চলার পর নির্যাতিতাকে অপূর্ব নেপালের হাড়িয়া এলাকায় নিয়ে যায় । অভিযোগ, সেখানে অপূর্ব ও তার বন্ধুদের লালসার শিকার হন রেখা । গণধর্ষণের ছবি মোবাইলে ভিডিয়ো করে রাখে অভিযুক্তরা । হুমকি দিতে থাকে মুখ খুললেই ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার ।
বেশ কিছুদিন ধরে পালানোর চেষ্টা করছিলেন রেখা । অবশেষে গত ১৯ মার্চ সফল হন । পালিয়ে বাড়ি ফিরলেও পিছু ছাড়েনি অপূর্বের অত্যাচার । যুবতির অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় হুমকির ফোন । অপূর্ব নেপালে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে রেখাকে । কথা না শুনলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন । এমনকী ধর্ষণের ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় ।
এখানেই শেষ নয় । চলতি মাসের ৯ তারিখ অপূর্ব কয়েকজন দুষ্কৃতী নিয়ে ওই যুবতির বাড়িতে চড়াও হয় । যুবতির অভিযোগ, তাঁকে তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা করে অপূর্ব ও তার সহযোগিরা । এরপরই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে যুবতির । পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে চিঠি দেন তিনি । সেই অভিযোগ ভিত্তিতে অপূর্বকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।