তারকেশ্বর, 17 জানুয়ারি : অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন ৷ সেখান সুবিচার না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন হুগলির তারকেশ্বরের এক গৃহবধূ ৷ ছেলেমেয়েদের নিয়ে এক কাপড়ে স্বামীর ঘর ছেড়েছেন ৷ সহায় সম্বলহীন গার্হস্থ্য হিংসার শিকার সেই গৃহবধূ আজ তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন ৷ উদ্দেশ্য, নিজের রক্ত বিক্রি করে অর্থ জোগাড় করা ৷ যাতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা চালাতে পারেন ৷ যা নিয়ে হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে হইচই পড়ে যায় ৷
হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা মধুমিতা পাল ৷ বছর দশেক আগে পুরশুড়া থানার ভাঙামোড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ পালের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ৷ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ৷ ওই গৃহবধূর দাবি অনুযায়ী, বিয়ের পর থেকেই বাপেরবাড়ি থেকে টাকাপয়সা আনার জন্য চাপ দিত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ৷ গত তিনবছর ধরে অত্যাচারের মাত্রা ছাড়ায় ৷ তিনমাস আগে এক কাপড়ে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মধুমিতা পাল ৷ স্বামীর বিরুদ্ধে পাণ্ডুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তারপর শুরু হয় অন্য লড়াই ৷
আরও পড়ুন : woman's dead body recovered: খাটের নিচে অর্ধনগ্ন বধূর দেহ, আড়াই বছরের মেয়ের কান্নায় জানলেন প্রতিবেশীরা
গৃহবধূর অভিযোগ, প্রথমে তিনি পুরশুড়া থানায় অভিযোগ করেন ৷ সেখান থেকে তাঁকে পাণ্ডুয়া থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্বামী দিলীপ পালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ ৷ বারবার থানার দ্বারস্থ হয়েও কোনও ফল পাননি বলেই অভিযোগ তাঁর ৷ পাণ্ডুয়া থানার মুহুরির পরামর্শে আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ মামলা চালাতে অর্থের প্রয়োজন ৷ সন্তানদের বাপের বাড়িতে রেখে অর্থ জোগাড়ের কাজে নেমেছেন মধুমিতা ৷ অর্থ জোগাড়ের পথে না পেয়ে আজ তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল রক্ত বিক্রি করতে আসেন তিনি ৷ হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে কোনওমতে বাড়ি পাঠান ৷