ETV Bharat / state

চোখের সামনে প্রেমিকার মৃত্যু, 8 মাসের মাথায় আত্মঘাতী যুবক

অরিতের পরিবারের তরফে জানা গেছে, শ্রাবণীর মৃত্যুর পর অরিতের জীবন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল । একা একা থাকত । বেশি কথা বলত না । অরিতের এই মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে সঙ্গ দিত । তাতে একটু কাজও হয়েছিল । কিন্তু অরিৎ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারল না ৷

Ariet Das
অরিত দাস
author img

By

Published : Dec 6, 2019, 8:29 PM IST

বারাসত,6 ডিসেম্বর : প্রেমিকার মৃত্যুর 8 মাসের মাথায় আত্মঘাতী হলেন যুবক । কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি প্রেমিকার মৃত্যু । মনের কষ্ট আর চেপে রাখতে না পেরে দিন যত যাচ্ছিল ততই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন তিনি । শেষে প্রেমিকার মৃত্যুর 8 মাসের মাথায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করলেন যুবকও । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অরিৎ দাস (27) । মর্মান্তিক ঘটনাটি বারাসত পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লি এলাকার ।
আজ দুপুরে নিজের ঘর থেকেই অরিতের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পরে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠানো হয় । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি । তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে । তাতে অরিৎ লিখেছেন, ও একা আছে । খুব কষ্ট হচ্ছে । মিঠুর জন্যই আমি চলে যাচ্ছি । মা ও বোন তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো । বারাসতেই বাড়ি অরিৎ ও তাঁর প্রেমিকা শ্রাবণী পালের ৷ দু'জনের প্রেম ছিল সেই স্কুল জীবন থেকে । পরবর্তীতে তাঁরা স্নাতক হন । 2018 সালেই একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের রিলেসেনশিপ ম্যানেজারের চাকরিও পেয়েছিলেন অরিৎ । দুই পরিবারের লোকজনই জানত তাঁদের প্রেমের কথা । তাতে অমত ছিল না কারও । সামনের বছরের তাঁদের বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল ।
অরিতের পরিবারের তরফে জানা গেছে, শ্রাবণীর মৃত্যুর পর অরিতের জীবন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল । একা একা থাকত । বেশি কথা বলত না । অরিতের এই মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে সঙ্গ দিত । তাতে একটু কাজও হয়েছিল । অরিতের বোন রিমি দাস বলেন, "অফিস থেকে ফিরে একা একা বসে দাদা শুধু কাঁদত । আর বলত ওকে ছাড়া আমার খুব কষ্ট হয় । স্বপ্নে মিঠুকে দেখতে পাই । আমি আর মা ওকে বোঝাতাম । কিন্তু তাতে একটু ঠিক হয়েছিল বোধ হয় । হতাশাটা পুরোপুরি কাটিয়ে ফেলতে পারেনি অরিৎ ।
অরিত দাসের মা স্বপ্না দাস বলেন, "শ্রাবণীর মৃত্যুর পরেও আমার ছেলে ওদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত । কিন্তু পরে তাঁরাও খুব একটা পছন্দ করতেন না বলে অরিৎও যেত না । কিন্তু ছেলে হতাশা থেকেই নিজেকে শেষ করে দিল ।"
শ্রাবণীর মামা অসীম পাল বলেন, "খুব দুঃখজনক ঘটনা । ওদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল । সম্ভবত চোখের সামনে প্রেমিকার মর্মান্তিক মৃত্যু অরিৎকে বিচলিত করে দিয়েছে । এটা কারও পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় ।" আমরাও শুনে খুব দুঃখ পেয়েছি । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।

বারাসত,6 ডিসেম্বর : প্রেমিকার মৃত্যুর 8 মাসের মাথায় আত্মঘাতী হলেন যুবক । কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি প্রেমিকার মৃত্যু । মনের কষ্ট আর চেপে রাখতে না পেরে দিন যত যাচ্ছিল ততই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন তিনি । শেষে প্রেমিকার মৃত্যুর 8 মাসের মাথায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করলেন যুবকও । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অরিৎ দাস (27) । মর্মান্তিক ঘটনাটি বারাসত পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লি এলাকার ।
আজ দুপুরে নিজের ঘর থেকেই অরিতের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পরে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠানো হয় । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি । তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে । তাতে অরিৎ লিখেছেন, ও একা আছে । খুব কষ্ট হচ্ছে । মিঠুর জন্যই আমি চলে যাচ্ছি । মা ও বোন তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো । বারাসতেই বাড়ি অরিৎ ও তাঁর প্রেমিকা শ্রাবণী পালের ৷ দু'জনের প্রেম ছিল সেই স্কুল জীবন থেকে । পরবর্তীতে তাঁরা স্নাতক হন । 2018 সালেই একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের রিলেসেনশিপ ম্যানেজারের চাকরিও পেয়েছিলেন অরিৎ । দুই পরিবারের লোকজনই জানত তাঁদের প্রেমের কথা । তাতে অমত ছিল না কারও । সামনের বছরের তাঁদের বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল ।
অরিতের পরিবারের তরফে জানা গেছে, শ্রাবণীর মৃত্যুর পর অরিতের জীবন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল । একা একা থাকত । বেশি কথা বলত না । অরিতের এই মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে সঙ্গ দিত । তাতে একটু কাজও হয়েছিল । অরিতের বোন রিমি দাস বলেন, "অফিস থেকে ফিরে একা একা বসে দাদা শুধু কাঁদত । আর বলত ওকে ছাড়া আমার খুব কষ্ট হয় । স্বপ্নে মিঠুকে দেখতে পাই । আমি আর মা ওকে বোঝাতাম । কিন্তু তাতে একটু ঠিক হয়েছিল বোধ হয় । হতাশাটা পুরোপুরি কাটিয়ে ফেলতে পারেনি অরিৎ ।
অরিত দাসের মা স্বপ্না দাস বলেন, "শ্রাবণীর মৃত্যুর পরেও আমার ছেলে ওদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত । কিন্তু পরে তাঁরাও খুব একটা পছন্দ করতেন না বলে অরিৎও যেত না । কিন্তু ছেলে হতাশা থেকেই নিজেকে শেষ করে দিল ।"
শ্রাবণীর মামা অসীম পাল বলেন, "খুব দুঃখজনক ঘটনা । ওদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল । সম্ভবত চোখের সামনে প্রেমিকার মর্মান্তিক মৃত্যু অরিৎকে বিচলিত করে দিয়েছে । এটা কারও পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় ।" আমরাও শুনে খুব দুঃখ পেয়েছি । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
Intro:জীবনে একসাথে পথ চলার অঙ্গীকার করেছিলেন দু-জনে। কিন্তু মর্মান্তিক বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রেমিকার।চোখের সামনে সেদিন প্রেমিকাকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মরতে দেখেছিলেন। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না প্রেমিক। কুরে কুরে খাচ্ছিল তাকে।দিন যত যাচ্ছিল ততই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিল সে। শেষে প্রেমিকার মৃত্যুর ৮ মাসের মাথায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিকও। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম অরিত দাস(২৭)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বারাসাত পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লী এলাকায়।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসতঃ- জীবনে একসাথে পথ চলার অঙ্গীকার করেছিলেন দু-জনে।কিন্তু মর্মান্তিক এক বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রেমিকার।চোখের সামনে সেদিন প্রেমিকাকে যন্ত্রণায় ছটফট করে মরতে দেখেছিলেন।সেই যন্ত্রণা কুরে কুরে খাচ্ছিল প্রেমিককে।দিন যত যাচ্ছিল ততই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিল সে।শেষে, প্রেমিকার মৃত্যুর আট মাসের মাথায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিকও।পুলিশ জানিয়েছে,মৃতের নাম অরিত দাস(২৭)।মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বারাসাত পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লী এলাকায়।শুক্রবার দুপুরে নিজের ঘর থেকেই অরিতের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।পরে,দেহ ময়না তদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হয়।প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান,গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে।তার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে।তাতে অরিত লিখেছেন,ও একা অাছে। খুব কষ্ট হচ্ছে।মিঠুর জন্যই আমি চলে যাচ্ছি।মা ও বোন তোমরা অামাকে ক্ষমা করে দিও।

বারাসতেই বাড়ি অরিত দাস ও তার প্রেমিকা শ্রাবণী পাল ওরফে মিঠুর।দু- জনের প্রেম ছিল সেই স্কুল লাইফ থেকে।পরবর্তীতে দু-জনেই স্নাতক হন।২০১৮ সালেই একটি বেসরকারি ব্যাংকের রিলেশিপ ম্যানেজার হিসেবে চাকরিও পেয়েছিলেন অরিত।দুই পরিবারের লোকজনই জানতেন তাদের প্রেমের কথা।তাতে অমত ছিল না কারোর। আগামী ২০২০ সালের শুরুতেই অরিত আর শ্রাবণীর বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু অাট মাস আগে এক বাইক দুর্ঘটনায় প্রেমিকার মৃত্যুতে শুধু বদলে গেল একসাথে তাদের চলার পথ।

অরিত দাসের বাড়ি বারাসত পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লি এলাকায়।বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন।মা স্বপ্না দাস ও একমাত্র বোন রিমি দাসকে নিয়েই ছিল তার সংসার।অরিতের সাধ ছিল শ্রাবণী ওরফে মিঠুকে বিয়ে করে নিয়ে আসবেন তার জীবনে।কিন্তু আচমকাই বাইক দুর্ঘটনায় সব কিছু ওলোট পালট হয়ে গেল অরিতের জীবনটা।প্রেমিকার মৃত্যুর পর থেকেই হতাশা অরিতকে গ্রাস করে ফেলেছিল।একা একা থাকতেন।বেশি কথা বলতেন না। অরিতের এই মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরেই পরিবারের সদস্যরা তাকে সঙ্গ দিতেন।তাতে একটু কাজও হয়েছিল।অরিতের বোন রিমি দাস বলেন, অফিস থেকে ফিরে একা একা বসে দাদা শুধু কাদত।বলত ওকে ছাড়া আমার খুব কষ্ট হয়।রাতে ঘুমােতে পারি না। স্বপ্নে মিঠুকে দেখতে পাই।আমি আর মা ওকে বোঝাতাম।কিন্তু তাতে একটু ধাতস্থ হয়েছিল বোধ হয়।কিন্তু হতাশাটা পুরোপুরি কাটিয়ে ফেলতে পারেনি অরিত।


অরিত দাসের মা স্বপ্না দাস বলেন, শ্রাবণীর মৃত্যুর পরেও আমার ছেলে ওদের বাড়িতে অাসা যাওয়া করত।কিন্তু পরে তারাও খুব একটা পছন্দ করতেন না বলে অরিতও যেত না।কিন্তু ছেলে হতাশা থেকেই নিজেকে শেষ করে দিল।

অরিত দাসের প্রেমিকা শ্রাবণীর মামা অসিম পাল বলেন,খুব দুঃখজনক ঘটনা।ওদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল।সম্ভবত চোখের সামনে প্রেমিকার মর্মান্তিক মৃত্যু অরিতকে বিচলিত করে দিয়েছে।এটা কারোর পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।আমরাও শুনে খুব দুঃখ পেয়েছি।Conclusion:প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমিকার মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে অরিত। সুইসাইড নোটে সেই কথাই উল্লেখ করেছে সে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.