কলকাতা, 6 নভেম্বর : কোরোনা পরিস্থিতির জেরে ছট পুজোয় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এই বছর করতে হবে ছট পুজো। পুণ্যার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে গঙ্গার ঘাটগুলিতে । কোরোনা সংক্রমণ রুখতে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে এমনটাই আবেদন জানিয়েছেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
আজ KMDA ,পোর্ট ট্রাস্ট ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “ছট পুজো করতে আসা পুণ্যার্থীদের প্রত্যেকেরই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। পুজোর দিন ভিড় সামালাতে অতিরিক্ত ঘাট তৈরি করবে KMDA। KMDA ও কলকাতা পৌরনিগম ৪৪টি ঘাটে ছট পুজোর ব্যবস্থা করছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ১৬টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে।” সেইসঙ্গেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যতগুলি গঙ্গার ঘাট আছে সেগুলিতে ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও আজ জানিয়েছেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম বলেন, কোনও ঘাটে অতিরিক্ত ভিড় হলে পুণ্যার্থীদের অন্য ঘাটে সরিয়ে নিয়ে যাবে পুলিশ। তার জন্যও ব্যবস্থা থাকবে গাড়ির।
তিনি আরও জানান, "গঙ্গার ঘাটগুলোতে মাইকিং করা হবে। প্রত্যেকটি ঘটে ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত আলোর । প্রতিটি ঘাটে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। এবছর যেহেতু রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছট পুজো করা যাবে না সেহেতু হিন্দিভাষী মানুষরা যাতে নিজেদের কাছাকাছি এলাকাতেই ছট পুজো করতে পারে সেই দিকেই নজর রাখা হচ্ছে। প্রত্যেকটি ঘাটের পাশেই ব্যবস্থা করা হবে বায়ো-টয়লেটের। মহিলাদের পোশাক পরিবর্তন করার জন্য আলাদা জায়গা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গেও এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের। পোর্ট ট্রাস্ট তাদের ১০ নম্বর গেট খুলে খুলে দেবে ছট পুজোর জন্য। সেখানে একটি জলাশয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গার ঘাটে এসে ছট পুজো করতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে।" কলকাতা হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবে সেই নির্দেশ অনুসারে কাজ হবে বলেও আজ জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ।