মালদা, 13 সেপ্টেম্বর : স্বামী টোটোচালক৷ কোরোনা আবহে তাঁর উপার্জন কমেছে অনেকটাই ৷ কিন্তু লকডাউনে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকায় স্ত্রীর উঠেছিল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের নেশা ৷ এনিয়ে স্বামীর কাছে প্রতিদিনই জেদ ধরতেন তিনি৷ কিন্তু অভাবের সংসারে স্বামী তাঁকে দামি মোবাইল ফোন কিনে দিতে পারেননি ৷ তাই স্বামীর উপর অভিমানে আজ বিকেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন স্ত্রী বলে অভিযোগ পরিবারের ৷
শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের জন্য এই আত্মহত্যার ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা পৌরসভার মঙ্গলবাড়ি সংলগ্ন সারদা কলোনিতে ৷ এই ঘটনায় আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ ৷
মৃতার নাম কৃষ্ণা প্রামাণিক৷ বয়স ২৭৷ স্বামী দীনেশ প্রমাণিক টোটো চালিয়ে সংসার চালান৷ তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে৷ সারদা কলোনিতে একটি ভাড়াবাড়িতে তাঁরা বসবাস করেন৷ লকডাউন শুরুর পর থেকেই কৃষ্ণাদেবী স্বামীর কাছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনে দেওয়ার বায়না ধরেছিলেন৷ কিন্তু কোরোনা আবহে দীনেশবাবুর উপার্জন এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ মার্চ মাসেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, কোরোনা তাঁর সামনে বড় আর্থিক সমস্যা তৈরি করতে চলেছে৷ তিনি সেকথা স্ত্রীকে বুঝিয়েও বলেন৷ কিন্তু স্বামীর কোনও কথায় কান দিতে রাজি ছিলেন না কৃষ্ণাদেবী ৷ এনিয়ে গতকালও তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়৷
প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও টোটো নিয়ে বেরিয়ে যান দীনেশবাবু ৷ বিকেল 4টে নাগাদ খাবার খেতে বাড়িতে যান তিনি৷ দেখেন, শোওয়ার ঘরে ঝুলছে স্ত্রীর দেহ৷ তাঁর চিৎকারে ছুটে আসে পড়শিরা৷ সবাই মিলে কৃষ্ণাদেবীকে শাড়ির ফাঁস থেকে নামিয়ে তড়িঘড়ি মালদা মেডিকেলে নিয়ে যায়৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
খবর পেয়ে মেডিকেলে আসেন কৃষ্ণাদেবীর বাবা বাদল সূত্রধর ৷ এই ঘটনায় জামাইয়ের কোনও দোষ দেখতে পাচ্ছেন না তিনি ৷ সাফ জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জেদই তাঁর মেয়েকে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিয়েছে ৷ তিনি বলেন, “আজ সকালেও আমাকে মেয়ে ফোন করেছিল৷ দীনেশ তাকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দিচ্ছে না বলে অভিমান করছিল৷ আমি ওকে সাফ বলেছিলাম, এই সময় এমন অবাস্তব বায়না করলে চলবে না৷ জামাই আমাকে আগেই গোটা ঘটনা জানিয়েছিল৷ একটা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের দাম 8 থেকে 10 হাজার টাকা৷ আমি মেয়েকে বলে দিয়েছিলাম, অবাস্তব দাবি জামাই পূরণ করতে পারবে না৷ এখন টোটো চালিয়ে দিনে 200 টাকা রোজগার হয় না৷ তার উপর একে-তাকে টাকা দিতে হয়৷ টোটো চালিয়ে সংসার চালানোই এখন সমস্যার৷ বাড়িতে দুটো বাচ্চা রয়েছে ৷ মোবাইলের জেদের জন্যই আমার মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ৷”
স্বামী অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনে না দেওয়ায় আত্মঘাতী গৃহবধূ - আত্মঘাতী গৃহবধূ
মোবাইল ফোনের জন্য এই আত্মহত্যার ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা পৌরসভার মঙ্গলবাড়ি সংলগ্ন সারদা কলোনিতে ৷ এই ঘটনায় আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ ৷
মালদা, 13 সেপ্টেম্বর : স্বামী টোটোচালক৷ কোরোনা আবহে তাঁর উপার্জন কমেছে অনেকটাই ৷ কিন্তু লকডাউনে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকায় স্ত্রীর উঠেছিল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের নেশা ৷ এনিয়ে স্বামীর কাছে প্রতিদিনই জেদ ধরতেন তিনি৷ কিন্তু অভাবের সংসারে স্বামী তাঁকে দামি মোবাইল ফোন কিনে দিতে পারেননি ৷ তাই স্বামীর উপর অভিমানে আজ বিকেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন স্ত্রী বলে অভিযোগ পরিবারের ৷
শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের জন্য এই আত্মহত্যার ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা পৌরসভার মঙ্গলবাড়ি সংলগ্ন সারদা কলোনিতে ৷ এই ঘটনায় আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ ৷
মৃতার নাম কৃষ্ণা প্রামাণিক৷ বয়স ২৭৷ স্বামী দীনেশ প্রমাণিক টোটো চালিয়ে সংসার চালান৷ তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে৷ সারদা কলোনিতে একটি ভাড়াবাড়িতে তাঁরা বসবাস করেন৷ লকডাউন শুরুর পর থেকেই কৃষ্ণাদেবী স্বামীর কাছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনে দেওয়ার বায়না ধরেছিলেন৷ কিন্তু কোরোনা আবহে দীনেশবাবুর উপার্জন এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ মার্চ মাসেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, কোরোনা তাঁর সামনে বড় আর্থিক সমস্যা তৈরি করতে চলেছে৷ তিনি সেকথা স্ত্রীকে বুঝিয়েও বলেন৷ কিন্তু স্বামীর কোনও কথায় কান দিতে রাজি ছিলেন না কৃষ্ণাদেবী ৷ এনিয়ে গতকালও তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়৷
প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও টোটো নিয়ে বেরিয়ে যান দীনেশবাবু ৷ বিকেল 4টে নাগাদ খাবার খেতে বাড়িতে যান তিনি৷ দেখেন, শোওয়ার ঘরে ঝুলছে স্ত্রীর দেহ৷ তাঁর চিৎকারে ছুটে আসে পড়শিরা৷ সবাই মিলে কৃষ্ণাদেবীকে শাড়ির ফাঁস থেকে নামিয়ে তড়িঘড়ি মালদা মেডিকেলে নিয়ে যায়৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
খবর পেয়ে মেডিকেলে আসেন কৃষ্ণাদেবীর বাবা বাদল সূত্রধর ৷ এই ঘটনায় জামাইয়ের কোনও দোষ দেখতে পাচ্ছেন না তিনি ৷ সাফ জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জেদই তাঁর মেয়েকে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিয়েছে ৷ তিনি বলেন, “আজ সকালেও আমাকে মেয়ে ফোন করেছিল৷ দীনেশ তাকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দিচ্ছে না বলে অভিমান করছিল৷ আমি ওকে সাফ বলেছিলাম, এই সময় এমন অবাস্তব বায়না করলে চলবে না৷ জামাই আমাকে আগেই গোটা ঘটনা জানিয়েছিল৷ একটা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের দাম 8 থেকে 10 হাজার টাকা৷ আমি মেয়েকে বলে দিয়েছিলাম, অবাস্তব দাবি জামাই পূরণ করতে পারবে না৷ এখন টোটো চালিয়ে দিনে 200 টাকা রোজগার হয় না৷ তার উপর একে-তাকে টাকা দিতে হয়৷ টোটো চালিয়ে সংসার চালানোই এখন সমস্যার৷ বাড়িতে দুটো বাচ্চা রয়েছে ৷ মোবাইলের জেদের জন্যই আমার মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ৷”