ETV Bharat / state

তৃণমূলের দাপটে বন্ধ হিমঘর খুলল ১০ দিন পর - problems

আজ কৃষি বিপণন মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের হস্তক্ষেপে পুলিশের মধ্যস্থতায় সরিয়ে দেওয়া হয় বাঁশ। চালু হয় হিমঘর।

বন্ধ হিমঘর
author img

By

Published : Mar 10, 2019, 9:07 PM IST

পাণ্ডুয়া (হুগলি), ১০ মার্চ : হিমঘরের গেটে বাঁশ দিয়ে দলীয় পতাকা লাগিয়ে বন্ধ রাখল তৃণমূল। অভিযোগ স্থানীয় আলু চাষিদের। ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার বোড়াগড়ির বৈদ্যনাথ হিমঘরে। আলুর মরশুমে হিমঘর বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ে আলু চাষিরা। আজ অবশ্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কোল্ড স্টোরেজ খুলে দেওয়া হয়।

বিগত ১০ দিন ধরে বন্ধ ছিল পাণ্ডুয়ার এই হিমঘরের গেট। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে আশপাশের বেরেলা কোঁচমালী, দেবীপুর সহ একাধিক গ্রামের আলু চাষিরা। প্রথমত, চাষিরা আলু মজুত করতে পারছিলেন না। দ্বিতীয়ত, ওই হিমঘরের মালিক সরকারি দামে আলু কিনতে পারছিলেন না। চাষিদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা হিমঘরের গেটে বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। হিমঘর মালিকের অভিযোগ, এলাকা থেকে কর্মী নিয়োগ করতে হবে এই বলে তাঁর উপর দলের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, হিমঘরের মালিককে কর্মী নিয়োগের কথা জানানো হয়েছিল। এলাকা থেকেই কর্মী নিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও কর্মী নিয়োগ করছেন না। তাই বাঁশ দিয়ে হিমঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

হিমঘর মালিক কৌশিক কুণ্ডুর অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা লাগিয়ে হিমঘর বন্ধ করে রেখেছিল। কৌশিকবাবু আরও বলেন, "কয়েকজন নেতা কর্মী আমাকে দিয়ে জোর করে কর্মী নিয়োগ করাতে চাইছেন। আমার উপর আর্থিক বোঝা চাপাচ্ছেন। সেটা কোনও মতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সেরকম হলে আমাকে সব কিছু বন্ধ করে দিতে হবে।"

হিমঘরের ম্যানেজার অরিন্দম ব্যানার্জি বলেন, "এই হিমঘরে ১ লাখের মতন আলু রাখা যায়। কোনও মতে আমরা হিমঘরের খরচ চালাচ্ছি। তার উপর তৃণমূলের পক্ষ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে এই সমস্যার সমাধান করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, তা না করে তৃণমূল নেতা, কর্মীরা পুরোপুরি হিমঘর বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের মালিকের বক্তব্য, এভাবে চলতে থাকলে সরকার নিয়ে নিক এই হিমঘর।"

আজ কৃষি বিপণন মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের হস্তক্ষেপে পুলিশের মধ্যস্থতায় সরিয়ে দেওয়া হয় বাঁশ। চালু হয় হিমঘর।

পাণ্ডুয়া (হুগলি), ১০ মার্চ : হিমঘরের গেটে বাঁশ দিয়ে দলীয় পতাকা লাগিয়ে বন্ধ রাখল তৃণমূল। অভিযোগ স্থানীয় আলু চাষিদের। ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার বোড়াগড়ির বৈদ্যনাথ হিমঘরে। আলুর মরশুমে হিমঘর বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ে আলু চাষিরা। আজ অবশ্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কোল্ড স্টোরেজ খুলে দেওয়া হয়।

বিগত ১০ দিন ধরে বন্ধ ছিল পাণ্ডুয়ার এই হিমঘরের গেট। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে আশপাশের বেরেলা কোঁচমালী, দেবীপুর সহ একাধিক গ্রামের আলু চাষিরা। প্রথমত, চাষিরা আলু মজুত করতে পারছিলেন না। দ্বিতীয়ত, ওই হিমঘরের মালিক সরকারি দামে আলু কিনতে পারছিলেন না। চাষিদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা হিমঘরের গেটে বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। হিমঘর মালিকের অভিযোগ, এলাকা থেকে কর্মী নিয়োগ করতে হবে এই বলে তাঁর উপর দলের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, হিমঘরের মালিককে কর্মী নিয়োগের কথা জানানো হয়েছিল। এলাকা থেকেই কর্মী নিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও কর্মী নিয়োগ করছেন না। তাই বাঁশ দিয়ে হিমঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

হিমঘর মালিক কৌশিক কুণ্ডুর অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা লাগিয়ে হিমঘর বন্ধ করে রেখেছিল। কৌশিকবাবু আরও বলেন, "কয়েকজন নেতা কর্মী আমাকে দিয়ে জোর করে কর্মী নিয়োগ করাতে চাইছেন। আমার উপর আর্থিক বোঝা চাপাচ্ছেন। সেটা কোনও মতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সেরকম হলে আমাকে সব কিছু বন্ধ করে দিতে হবে।"

হিমঘরের ম্যানেজার অরিন্দম ব্যানার্জি বলেন, "এই হিমঘরে ১ লাখের মতন আলু রাখা যায়। কোনও মতে আমরা হিমঘরের খরচ চালাচ্ছি। তার উপর তৃণমূলের পক্ষ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে এই সমস্যার সমাধান করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, তা না করে তৃণমূল নেতা, কর্মীরা পুরোপুরি হিমঘর বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের মালিকের বক্তব্য, এভাবে চলতে থাকলে সরকার নিয়ে নিক এই হিমঘর।"

আজ কৃষি বিপণন মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের হস্তক্ষেপে পুলিশের মধ্যস্থতায় সরিয়ে দেওয়া হয় বাঁশ। চালু হয় হিমঘর।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.