কলকাতা 10 নভেম্বর : ছট পুজোতেও করা যাবে না কোনও শোভাযাত্রা। ঘাটে যেতে পারবেন প্রতি পরিবার থেকে মাত্র দুইজন করে। বাজানো যাবে না DJ । ঢাকা বা কোনও ছোটো বাদ্যযন্ত্র বাজানো যেতে পারে। খোলা যানবাহনে জলাশয়ে যেতে পারবেন পুজোয় অংশগ্রহণকারীরা। সুভাষ সরোবর আর রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিষিদ্ধ। রাজ্যকে নিরন্তর প্রচার চালানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। KMDA সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছে তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশ না দিলে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ কঠোরভাবে মানতে হবে। কলকাতা পৌরনিগম স্থানীয় পৌর প্রতিনিধিদের দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালাবে। প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট কোনও ফোন নম্বর দিতে হবে বাজি সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য। 12 নভেম্বরের মধ্যে এই সমস্ত কাজ করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আতশবাজি ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
পাশাপাশি কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনগুলিতে লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রণের বিষয় রাজ্যের উপর ছেড়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রেলকে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। পুজোর ছুটি শেষে আদালতের কাজকর্ম শুরু হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের DG-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে আরও জানায়, ভিড় সামলাতে কোনও অসুবিধা হলে রাজ্য সরকার আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করবে । রাজ্যকে সর্বতোভাবে আদালতের নির্দেশ বলবৎ করার চেষ্টা করতে হবে বায়ুদূষণ রোখার জন্য। কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও কার্তিক পুজোর দিনগুলিতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা কয়েকটি স্টেশনে বন্ধ রাখার দাবিতে এবং ছট পুজোতে গঙ্গার ঘাটগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত একগুচ্ছ নির্দেশ দিল আজ।