দেগঙ্গা, 22 অগাস্ট : বাজারের মধ্যে থেকে প্রায় 100 কেজি গাঁজা উদ্ধার করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা ।পুলিশের সামনেই কিছু মানুষ আবার সেখান থেকে গাঁজা লোপাটের চেষ্টাও করে । যদিও পুলিশি তৎপরতায় ব্যর্থ হয় সেই প্রচেষ্টা । উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা এলাকার ঘটনা । পুলিশ 50 কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করতে পারলেও বাকি গাঁজা আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায় । গাঁজা সরবরাহের অভিযোগে আটক করা হয়েছে এক কারবারিকে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল গাঁজার কারবার । প্রকাশ্যে সেই কারবার চললেও তা বন্ধ করতে পুলিশের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । এই নিয়ে এলাকার লোকজন বারবার বললেও কোনও লাভ হয়নি । শেষে তারাই আজ এই গাঁজার কারবার বন্ধ করার উদ্যোগ নেয় । দুপুরের দিকে বেড়াচাঁপা বাজারে গাঁজা সরবরাহ করতে আসলে এক কারবারিকে হাতেনাতে ধরে স্থানীয়রা । তার কাছ থেকে কয়েকটি বস্তায় মেলে বিপুল পরিমাণ গাঁজা । ওই কারবারিকে আটকে রেখে সেই গাঁজা নিয়ে এসে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয়রা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিশ । পুলিশের সামনেই কেউ কেউ আবার বস্তায় গাঁজা ভরে তা লোপাটের চেষ্টাও করে । তবে, পুলিশের তৎপরতায় সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে । পরে, প্রায় 50 কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায় । গাঁজা সরবরাহের এক কারবারিকেও আটক করেছে পুলিশ ।
এলাকার লোকজনের দাবি, "ওই কারবারির কাছ থেকে প্রায় ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল।তার মধ্যে আগুনে অর্ধেক পুড়ে নষ্ট হয়ে গেলেও বাকি অর্ধেক পুলিশ বাজেয়াপ্ত করতে পেরেছে। বিপুল পরিমাণ ওই গাঁজা নিয়ে আসা হয়েছিল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে।হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি"।
এ'বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল হুদা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বাজারের ভিতর গাঁজার কারবার চলায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল । বহুবার ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি । বরং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্য গাঁজা কারবারিরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে । তাই আমরাই উদ্যোগ নিই গাঁজার কারবার বন্ধ করতে । কোনওভাবেই এলাকার পরিবেশ নষ্ট হতে দেবো না ।”
এদিকে, এই গাঁজা কারবারের পিছনে কোনও আন্তঃরাজ্য পাচারচক্রের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, “জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক ওই কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে এই কারবারের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা ।”