ETV Bharat / state

বুদ্ধ পূর্ণিমায় শিকার উৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত আদিবাসী সংগঠনের

কোরোনার আতঙ্কে আগামীকাল বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে অযোধ্যা পাহাড়ে অনুষ্ঠিত হওয়া হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী শিকার উৎসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল আদিবাসী সংগঠন "ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল" । পুলিশ-প্রশাসন ও বন বিভাগের নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়ে শুধুমাত্র বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তি মিলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রথা অনুযায়ী পুজো করা হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ।

বুদ্ধ পূর্ণিমায় শিকার উৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত আদিবাসী সংগঠনের
বুদ্ধ পূর্ণিমায় শিকার উৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত আদিবাসী সংগঠনের
author img

By

Published : May 6, 2020, 10:00 PM IST

পুরুলিয়া, 6 মে : দেশজুড়ে কোরোনা আতঙ্ক । বন্ধ স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত । সাধারণ মানুষ আজ গৃহবন্দী । বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নারাজ কেউই । কোরোনা আতঙ্কে জমায়েত এড়াতে বন্ধ সব সম্প্রদায়ের পুজো অর্চনা । বাড়িতে বসেই পুজো অর্চনা করছেন সকলেই । আর তাই কোরোনার আতঙ্কে আগামীকাল বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে অযোধ্যা পাহাড়ে অনুষ্ঠিত হওয়া হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী শিকার উৎসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল আদিবাসী সংগঠন "ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল" ।

পুলিশ-প্রশাসন ও বন বিভাগের নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়ে শুধুমাত্র বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তি মিলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রথা অনুযায়ী পুজো করা হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে । পুরুলিয়া জেলা পুলিশ ও বন বিভাগ বাঘমুন্ডি এলাকায় ঢোল ধামসা নিয়ে আদিবাসীদের শিকারে না যাওয়ার জন্য প্রচারও চালাচ্ছে । সচেতন করছেন সাধারণ মানুষকেও ।

পুলিশ ও বন বিভাগ বাঘমুন্ডি এলাকায় ঢোল ধামসা নিয়ে আদিবাসীদের শিকারে না যাওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে
পুলিশ ও বন বিভাগ বাঘমুন্ডি এলাকায় ঢোল ধামসা নিয়ে আদিবাসীদের শিকারে না যাওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে

প্রত্যেক বছর বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বাঘমুন্ডি ব্লকের অযোধ্যা পাহাড়ে অনুষ্ঠিত হয় আদিবাসিদের শিকার উৎসব । জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদিবাসীদের এই শিকার উৎসব ঠেকাতে নেওয়া হয় একাধিক উদ্যোগ । বুদ্ধ পূর্ণিমার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতি বছর শিকার বন্ধের নির্দেশে প্রচার চালানো হয় । বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন গোটা পাহাড়জুড়ে পুলিশি প্রহরা থাকে । তবুও পুলিশ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে প্রতি বছর শিকার উৎসব পালন করেন আদিবাসীরা । শিকারের সংখ্যাটা কমলেও শিকার কিন্তু বন্ধ হয়নি কোনও বছর ।

আদিবাসী সংগঠনের তরফে দেওয়া চিঠি
আদিবাসী সংগঠনের তরফে দেওয়া চিঠি

এই উৎসবে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং আরও অন্যান্য রাজ্য থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আদিবাসী শিকারির দল যোগদান করে থাকে । এই দিনে তির-ধনুক, কুঠার, বল্লম নিয়ে গোটা অযোধ্যা পাহাড়ে দাপিয়ে বেড়ায় আদিবাসীরা । বনবিড়াল, হরিণ, শুকর, ময়ূর-সহ বিভিন্ন পশুপাখিদের শিকার করে সেই শিকার দেবদেবীদের অর্পণ করার পর রান্না করে সকলেই সেই মাংস খেয়ে থাকেন । এছাড়াও এই দিনটিতে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়ে থাকে । দূর দূরান্ত থেকে বহু পর্যটকও ভিড় জমান এই উৎসবে । কিন্তু এবছর কোরোনার জেরে দেশজুড়ে জারি হওয়া লকডাউনে বাইরের জেলা বা বাইরের রাজ্য থেকে কোনও আদিবাসী শিকারিরা আসতে পারবেন না অযোধ্যায় । তাছাড়া পুরুলিয়ার আদিবাসীদের একটা আতঙ্ক রয়েছে । তাই এবার শুধু সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাছাই করা কয়েকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ শুধু পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । বন্ধ থাকবে শিকার ।

পুরুলিয়া, 6 মে : দেশজুড়ে কোরোনা আতঙ্ক । বন্ধ স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত । সাধারণ মানুষ আজ গৃহবন্দী । বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নারাজ কেউই । কোরোনা আতঙ্কে জমায়েত এড়াতে বন্ধ সব সম্প্রদায়ের পুজো অর্চনা । বাড়িতে বসেই পুজো অর্চনা করছেন সকলেই । আর তাই কোরোনার আতঙ্কে আগামীকাল বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে অযোধ্যা পাহাড়ে অনুষ্ঠিত হওয়া হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী শিকার উৎসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল আদিবাসী সংগঠন "ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল" ।

পুলিশ-প্রশাসন ও বন বিভাগের নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়ে শুধুমাত্র বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তি মিলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রথা অনুযায়ী পুজো করা হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে । পুরুলিয়া জেলা পুলিশ ও বন বিভাগ বাঘমুন্ডি এলাকায় ঢোল ধামসা নিয়ে আদিবাসীদের শিকারে না যাওয়ার জন্য প্রচারও চালাচ্ছে । সচেতন করছেন সাধারণ মানুষকেও ।

পুলিশ ও বন বিভাগ বাঘমুন্ডি এলাকায় ঢোল ধামসা নিয়ে আদিবাসীদের শিকারে না যাওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে
পুলিশ ও বন বিভাগ বাঘমুন্ডি এলাকায় ঢোল ধামসা নিয়ে আদিবাসীদের শিকারে না যাওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে

প্রত্যেক বছর বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বাঘমুন্ডি ব্লকের অযোধ্যা পাহাড়ে অনুষ্ঠিত হয় আদিবাসিদের শিকার উৎসব । জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদিবাসীদের এই শিকার উৎসব ঠেকাতে নেওয়া হয় একাধিক উদ্যোগ । বুদ্ধ পূর্ণিমার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতি বছর শিকার বন্ধের নির্দেশে প্রচার চালানো হয় । বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন গোটা পাহাড়জুড়ে পুলিশি প্রহরা থাকে । তবুও পুলিশ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে প্রতি বছর শিকার উৎসব পালন করেন আদিবাসীরা । শিকারের সংখ্যাটা কমলেও শিকার কিন্তু বন্ধ হয়নি কোনও বছর ।

আদিবাসী সংগঠনের তরফে দেওয়া চিঠি
আদিবাসী সংগঠনের তরফে দেওয়া চিঠি

এই উৎসবে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং আরও অন্যান্য রাজ্য থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আদিবাসী শিকারির দল যোগদান করে থাকে । এই দিনে তির-ধনুক, কুঠার, বল্লম নিয়ে গোটা অযোধ্যা পাহাড়ে দাপিয়ে বেড়ায় আদিবাসীরা । বনবিড়াল, হরিণ, শুকর, ময়ূর-সহ বিভিন্ন পশুপাখিদের শিকার করে সেই শিকার দেবদেবীদের অর্পণ করার পর রান্না করে সকলেই সেই মাংস খেয়ে থাকেন । এছাড়াও এই দিনটিতে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়ে থাকে । দূর দূরান্ত থেকে বহু পর্যটকও ভিড় জমান এই উৎসবে । কিন্তু এবছর কোরোনার জেরে দেশজুড়ে জারি হওয়া লকডাউনে বাইরের জেলা বা বাইরের রাজ্য থেকে কোনও আদিবাসী শিকারিরা আসতে পারবেন না অযোধ্যায় । তাছাড়া পুরুলিয়ার আদিবাসীদের একটা আতঙ্ক রয়েছে । তাই এবার শুধু সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাছাই করা কয়েকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ শুধু পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । বন্ধ থাকবে শিকার ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.