ETV Bharat / state

নেই বাড়ির ব্যবস্থা, গাছে খাটিয়া বেঁধে কোয়ারেন্টাইন 7 যুবকের - পুরুলিয়া

গ্রামের কাছে একটি গাছে সাতটি খাটিয়া বেঁধে যুবকদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ৷ আলাদা করে খাবারের সরঞ্জামও রেখে দেওয়া হয় ৷ গ্রামে আলাদা করে কোনও বাড়ির ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামবাসীরাই এক অভিনব উদ্যোগ নেন ৷

গাছে খাটিয়া বেঁধে কোয়ারেন্টাইন 7 যুবকের
গাছে খাটিয়া বেঁধে কোয়ারেন্টাইন 7 যুবকের
author img

By

Published : Mar 28, 2020, 8:01 PM IST

Updated : Mar 28, 2020, 8:26 PM IST

পুরুলিয়া, 28 মার্চ : গাছের ডালে কোয়ারেন্টাইন ৷ শুনতে অদ্ভুত হলেও এমনই ঘটনা দেখা গেল পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের গেড়ুয়া অঞ্চলের ভাঙিডি গ্রামে ৷ কোরোনা সংক্রমণ রুখতে গ্রামের ভিতর আলাদা কোনও বাড়ির ব্যবস্থা না থাকায় এই অভিনব পন্থা, জানালেন গ্রামবাসীরা ৷

দেশে কোরোনা আতঙ্ক শুরু হতেই চেন্নাইয়ের কাজ ছেড়ে পুরুলিয়ার এই গ্রামে ফিরে আসেন সাত যুবক ৷ রবিবার খড়গপুর স্টেশনে নেমে গাড়ি করে সোমবার গ্রামে পৌঁছান তাঁরা ৷ কিন্তু ভিনরাজ্য থেকে আসায় গ্রামে ঢুকতে দেননি স্থানীয়রা ৷ তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর 14দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷

গ্রামে আলাদা করে কোনও বাড়ির ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামবাসীরাই এক অভিনব উদ্যোগ নেন ৷ গ্রামের কাছে একটি গাছে সাতটি খাটিয়া বেঁধে ওই যুবকদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ৷ বট গাছের ডালে নিরাপদ দূরত্বে সাতটি খাটিয়া বাঁধা হয়েছে ৷ তার উপর পাতা হয়েছে বিছানা ৷ পোকামাকড়, মশা থেকে বাঁচতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে মশারিও ৷ গাছের অন্য ডালে ঝুলিয়ে রাখা চাল, ডাল, আলু, কাঁচা সবজি-সহ অন্য খাদ্যদ্রব্য ৷ গাছের নিচেই রয়েছে উনুন ৷ রয়েছে প্রয়োজনীয় বাসন ৷

ওই সাত যুবক প্রতিদিন গাছের নিচে রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করেন ৷ আবার গাছে নিজেদের বিছানাতে শুয়ে বিশ্রাম নেন ৷ কোনও কিছুর প্রয়োজন হলে গ্রামবাসীরাই দিয়ে যাচ্ছেন ৷ তাঁরা জানান, "তাদের জন্য আলাদা কোন বাড়ির ব্যবস্থা নেই ৷ আর এলাকা জঙ্গলে ঘেরা ৷ ফাঁকা জায়গায় যেকোনও সময় হাতির হানা বা সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটতে পারে ৷ তাই গাছের ডালেই তাদের বাসা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে l"

জানা যায়, ওই এলাকায় প্রায়ই হাতির হানার ঘটনা ঘটে ৷ এর আগেও গাছের ডালে মাচা বেঁধে হাতির গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখতেন গ্রামবাসীরা ৷ তাই ওই যুবকদের থাকার জন্য গাছের থেকে নিরাপদ আর কিছুই নেই বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা l

বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই মণ্ডল বলেন, "আমরা খবর পেয়েছি সাতজন যুবক গাছে আশ্রয় নিয়েছেন ৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনও এক আবাসনে স্থানান্তর করা হবে ৷"

পুরুলিয়া, 28 মার্চ : গাছের ডালে কোয়ারেন্টাইন ৷ শুনতে অদ্ভুত হলেও এমনই ঘটনা দেখা গেল পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের গেড়ুয়া অঞ্চলের ভাঙিডি গ্রামে ৷ কোরোনা সংক্রমণ রুখতে গ্রামের ভিতর আলাদা কোনও বাড়ির ব্যবস্থা না থাকায় এই অভিনব পন্থা, জানালেন গ্রামবাসীরা ৷

দেশে কোরোনা আতঙ্ক শুরু হতেই চেন্নাইয়ের কাজ ছেড়ে পুরুলিয়ার এই গ্রামে ফিরে আসেন সাত যুবক ৷ রবিবার খড়গপুর স্টেশনে নেমে গাড়ি করে সোমবার গ্রামে পৌঁছান তাঁরা ৷ কিন্তু ভিনরাজ্য থেকে আসায় গ্রামে ঢুকতে দেননি স্থানীয়রা ৷ তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর 14দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷

গ্রামে আলাদা করে কোনও বাড়ির ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামবাসীরাই এক অভিনব উদ্যোগ নেন ৷ গ্রামের কাছে একটি গাছে সাতটি খাটিয়া বেঁধে ওই যুবকদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ৷ বট গাছের ডালে নিরাপদ দূরত্বে সাতটি খাটিয়া বাঁধা হয়েছে ৷ তার উপর পাতা হয়েছে বিছানা ৷ পোকামাকড়, মশা থেকে বাঁচতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে মশারিও ৷ গাছের অন্য ডালে ঝুলিয়ে রাখা চাল, ডাল, আলু, কাঁচা সবজি-সহ অন্য খাদ্যদ্রব্য ৷ গাছের নিচেই রয়েছে উনুন ৷ রয়েছে প্রয়োজনীয় বাসন ৷

ওই সাত যুবক প্রতিদিন গাছের নিচে রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করেন ৷ আবার গাছে নিজেদের বিছানাতে শুয়ে বিশ্রাম নেন ৷ কোনও কিছুর প্রয়োজন হলে গ্রামবাসীরাই দিয়ে যাচ্ছেন ৷ তাঁরা জানান, "তাদের জন্য আলাদা কোন বাড়ির ব্যবস্থা নেই ৷ আর এলাকা জঙ্গলে ঘেরা ৷ ফাঁকা জায়গায় যেকোনও সময় হাতির হানা বা সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটতে পারে ৷ তাই গাছের ডালেই তাদের বাসা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে l"

জানা যায়, ওই এলাকায় প্রায়ই হাতির হানার ঘটনা ঘটে ৷ এর আগেও গাছের ডালে মাচা বেঁধে হাতির গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখতেন গ্রামবাসীরা ৷ তাই ওই যুবকদের থাকার জন্য গাছের থেকে নিরাপদ আর কিছুই নেই বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা l

বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই মণ্ডল বলেন, "আমরা খবর পেয়েছি সাতজন যুবক গাছে আশ্রয় নিয়েছেন ৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনও এক আবাসনে স্থানান্তর করা হবে ৷"

Last Updated : Mar 28, 2020, 8:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.