পুরুলিয়া, 18 জুন: এক নির্দল প্রার্থীর হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে। পুরুলিয়া 2 নম্বর ব্লকের রাঘবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোঙাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পরীক্ষিৎ রজক ৷ তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৷ রবিবার পরীক্ষিৎ রজক অভিযোগ করেন যে, তাঁর গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ মাহাতো যিনি শাসকদলের জেলা পরিষদের প্রার্থীর স্বামী, তিনি ফোন করে হুমকি দিয়েছেন, ভোট দিতে গেলে তাঁর হাত কেটে নেওয়া হবে। এই হুমকি দেওয়া একটি অডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত। এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন পরীক্ষিৎ রজক।
দেওয়াল লিখন করতে গেলে তাঁকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হবে। এই হুমকির পর থেকেই চরম আতঙ্কে রয়েছেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, পরীক্ষিৎ রজক কুড়মি সমাজের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন রাঘবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের 12 নম্বর আসনে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, গতকাল পুরুলিয়া 2 নম্বর ব্লকের 23 নম্বর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদ প্রার্থী লতিকা মাহাতোর স্বামী দিলীপ মাহাতো তাঁকে ফোন করে হুমকি দেন।
যেহেতু পরীক্ষিৎবাবু কুড়মি সমাজের সমর্থন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাই এদিন তিনি কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাতোর দ্বারস্থ হয়েছেন। অজিত প্রসাদ মাহাতো এদিন বলেন, "এটি অতি জঘন্য কাজ। এর বিরুদ্ধে পথে নামব আমরা। আমরা পরীক্ষিৎ রজকের সঙ্গে রয়েছি। একজন তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর স্বামীর এই ধরনের মুখের ভাষা! তৃণমূলের কি এটাই সংস্কৃতি?
একজন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হিসেবে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে হাত কেটে নেওয়া হবে বলে? এখন কোথায় গেল নির্বাচনী আচরণ বিধি?" ঘটনার প্রতিবাদ করা হবে বলেও জানিয়েছেন অজিত প্রসাদ মাহাতো। অন্যদিকে, এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, "এই ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন চাই।"
আরও পড়ুন: ঘরের লড়াই বাইরে, জেলা অফিসের বাইরে ধস্তাধস্তি তৃণমূলের