পুরুলিয়া, 3 জানুয়ারি: প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পুরুলিয়া জেলার পর্যটন এলাকাগুলিতে দূষণ বাড়ছে । একদিকে জেলাশাসক বলছেন ডিজে বক্স বাজানো, প্লাস্টিক বা থার্মোকলের পাতা ব্যবহার না করার জন্য সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে । অথচ বাস্তবে পিকনিকের এলাকাগুলি নোংরা-আবর্জনার আস্তাকুঁড়েতে পরিণত হয়েছে । পুরুলিয়ার পর্যটন স্থান, বিশেষ করে কাঁসাই নদীর চারপাশ আবর্জনায় পরিপূর্ণ । যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে থার্মোকলের পাতা, প্লাস্টিকের গ্লাস ও বোতল, মদের বোতল, এবং উচ্ছিষ্ট খাবার । সেই সব আবর্জনা গিয়ে মিশছে নদীর জ্বলে । ফলে দূষিত হচ্ছে জল । নদীর ধারে থাকা ডাস্টবিন থাকলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না । প্রশাসনের নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও দু'দিন ধরে বেজেই চলেছে তারস্বরে ডিজে। প্লাস্টিক ও থার্মোকলের জিনিস ব্যবহার করছেন পিকনিক করতে আসা মানুষ জন । ডিজে বাজনায় নাজেহাল অন্যান্য পিকনিক দলের সদস্যরাও । আবর্জনার স্তুপে তিলধারণেরও জায়গা নেই কংসাবতী নদীর ধারে । গুরুত্বপূর্ণ ওই পর্যটন স্থানগুলিতে নজরদারি নেই পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের ।
পিকনিক করতে আসা এক ব্যক্তি বিপ্লব ব্যানার্জি জানান, "পিকনিক স্থলগুলিতে ডিজে বক্সে কান একেবারে ঝালাপালা হয়ে গিয়েছে । অথচ তা দেখার কেউ নেই । আবার গতকাল নতুন বছরের পিকনিকের পর আজ কোথাও পিকনিক করার মতো পরিষ্কার জায়গাই নেই l যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে থার্মোকলের পাতা, প্লাস্টিক, ভাঙা কাঁচের বোতল । প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি থাকলে এরকম হত না l" আবার কংসাবতী নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হারু মাহাতো জানান, "গতকাল থেকে নদীঘাটগুলিতে বেজেই চলেছে ডিজে বক্স । কিন্তু কাকে বলব ? পিকনিকে আসা লোকজনেরা ব্যবহৃত পাতা, গ্লাস, উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে নদীর ধারে । অথচ দেখার কেউ নেই l"
জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানান, "পিকনিক এলাকাগুলিতে লাগাতার সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে । নিয়মের বাইরে কোনও কিছু হয়নি । ডিজে বক্স বাজানোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । তাই আগের তুলনায় ডিজে বক্স বাজানো কমেছে । কিছু কিছু জায়গায় বক্স ব্যবহার হয়েছে । তবে একদিনে তো সব বন্ধ করা সম্ভব নয় । শীঘ্রই পর্যটন এলাকাগুলি পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"