ETV Bharat / state

পড়ুয়া নেই, ফাঁকা ক্লাসে সময় কাটান শিক্ষকরা

পুরুলিয়ার 14 নম্বর ওয়ার্ডের নীলকুঠিডাঙার উর্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া নেই । মাস্টারমশাইরা নিয়ম করে স্কুলে আসেন, সারাদিন চুপচাপ বসে থেকে বিকেল হতেই চলে যান ।

শূন্য ক্লাসরুম
author img

By

Published : Aug 30, 2019, 11:30 PM IST

Updated : Aug 30, 2019, 11:40 PM IST

পুরুলিয়া, 30 অগাস্ট : খাতা-কলমে পড়ুয়ার সংখ্যা চার । কিন্তু, বাস্তব বলছে অন্য কথা । দীর্ঘদিন ক্লাসরুম শূন্য । মাস্টারমশাইরা নিয়ম করে স্কুলে আসেন, সারাদিন চুপচাপ বসে থেকে বিকেল হতেই চলে যান । সরকারি খাতায় নথিভুক্ত থাকলেও পুরুলিয়ার 14 নম্বর ওয়ার্ডের নীলকুঠিডাঙার উর্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাটা ঠিক এমনই ।

হাওয়ারি মসজিদ কমিটির একটি ঘরে কোনও অস্থায়ীভাবে চলছে স্কুলটি । একটিমাত্র ঘর, সেখানেই ক্লাসরুম, সেখানেই অফিসঘর । অভিযোগ, বারবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা সত্ত্বেও তৈরি হয়নি কোনও শৌচালয় । স্কুলে নেই মিড ডে মিলের কোনও পরিকাঠানো । ফলে ধীরে ধীরে শুন্যে এসে দাঁড়ায় পড়ুয়া সংখ্যা ।

school
মসজিদের একটি ঘরেই চলছে স্কুল

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আব্বাস বলেন, "মিড ডে মিলের পরিকাঠামো না থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানোর পরই বন্ধ হয়ে যায় অর্থ বরাদ্দ । কমে যায় পড়ুয়ার সংখ্যাও । এখন আমরা সময় মতো স্কুলে আসি । সারাদিন কাটানোর পর বিকেল চারটে বাজলেই বাড়ি চলে যাই ।"

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আব্বাসের বক্তব্য

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "স্কুলের পরিকাঠামোর কোনও ঠিক নেই । ঠিকমতো পড়াশোনাও হয় না । তাই কোনও অভিভাবকই ছেলে-মেয়েদের এই স্কুলে ভরতি করান না ।"

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক আলোক মহাপাত্র বলেন, "ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম রয়েছে বলে শুনেছি । কিছুদিনের মধ্যেই একজন শিক্ষককে অন্য স্কুলে বদলি করে দেওয়া হবে । পড়ুয়ারা না আসলে অপর শিক্ষককেও বদলি করে দেওয়া হবে ।"

পুরুলিয়া, 30 অগাস্ট : খাতা-কলমে পড়ুয়ার সংখ্যা চার । কিন্তু, বাস্তব বলছে অন্য কথা । দীর্ঘদিন ক্লাসরুম শূন্য । মাস্টারমশাইরা নিয়ম করে স্কুলে আসেন, সারাদিন চুপচাপ বসে থেকে বিকেল হতেই চলে যান । সরকারি খাতায় নথিভুক্ত থাকলেও পুরুলিয়ার 14 নম্বর ওয়ার্ডের নীলকুঠিডাঙার উর্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাটা ঠিক এমনই ।

হাওয়ারি মসজিদ কমিটির একটি ঘরে কোনও অস্থায়ীভাবে চলছে স্কুলটি । একটিমাত্র ঘর, সেখানেই ক্লাসরুম, সেখানেই অফিসঘর । অভিযোগ, বারবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা সত্ত্বেও তৈরি হয়নি কোনও শৌচালয় । স্কুলে নেই মিড ডে মিলের কোনও পরিকাঠানো । ফলে ধীরে ধীরে শুন্যে এসে দাঁড়ায় পড়ুয়া সংখ্যা ।

school
মসজিদের একটি ঘরেই চলছে স্কুল

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আব্বাস বলেন, "মিড ডে মিলের পরিকাঠামো না থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানোর পরই বন্ধ হয়ে যায় অর্থ বরাদ্দ । কমে যায় পড়ুয়ার সংখ্যাও । এখন আমরা সময় মতো স্কুলে আসি । সারাদিন কাটানোর পর বিকেল চারটে বাজলেই বাড়ি চলে যাই ।"

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আব্বাসের বক্তব্য

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "স্কুলের পরিকাঠামোর কোনও ঠিক নেই । ঠিকমতো পড়াশোনাও হয় না । তাই কোনও অভিভাবকই ছেলে-মেয়েদের এই স্কুলে ভরতি করান না ।"

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক আলোক মহাপাত্র বলেন, "ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম রয়েছে বলে শুনেছি । কিছুদিনের মধ্যেই একজন শিক্ষককে অন্য স্কুলে বদলি করে দেওয়া হবে । পড়ুয়ারা না আসলে অপর শিক্ষককেও বদলি করে দেওয়া হবে ।"

Intro:পুরুলিয়া : শিক্ষক আছে, ছাত্র নেই l স্কুল ভবন আছে, নেই কিচেন সেড, হয় না মিডডেমিল l এমনকি কোনো জাতীয় দিবসও উদযাপন হয় না স্কুলে l আজব চলছে স্কুল l অথচ সরকারি খাতায় জ্বলজ্বল করে নথিভুক্ত রয়েছে পুরুলিয়া শহরের 14 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত নীলকুঠিডাঙ্গা এলাকার হাওয়ারি মহল্লা উর্দু প্রাথমিক বিদ্যালয় l Body:হাওয়ারি মসজিদ কমিটির একটি কক্ষে কোনো ভাড়া ছাড়াই অস্থায়ীভাবে স্কুলটি বর্তমান l দুই শিক্ষক মাঝে মধ্যেই আসেন স্কুলে l তাঁদের দাবি খাতায় কলমে বর্তমানে চারজন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে স্কুলে l অথচ স্কুলে গিয়ে দেখা যায় কোনো পড়ুয়াই নেই l ঘড়ির হাতে সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষকেরা l শিক্ষকরা স্কুলে আসেন, চুপচাপ বসে বসে সময় পার কাটান, সময় শেষ হলেই তালা লাগিয়ে বাড়ি চলে যান l

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আব্বাস এবং মনোহর জাভেদ স্কুলে পড়ুয়া কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জানান, "বার বার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বলা সত্ত্বেও শৌচালয় গড়ে ওঠেনি বিদ্যালয়ে l একটি মাত্র কক্ষ, সেখানেই অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম এবং পাঠদান করতে হয় l মিডডেমিল রান্নার কোনো পরিকাঠামো না থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়, তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় অর্থ বরাদ্দ l তাই ধীরে ধীরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমে যায় l এখন আমরা সময় মতো স্কুলে এসে কোনোরকমে সময়টা পার করি l 4 টা বাজলেই ব্যাগপত্র গুটিয়ে বাড়ি চলে যাই l" তাঁদের দাবি, "স্কুলটিকে আশপাশের স্কুলের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হোক l বসে বসে সময় কাটানোর থেকে ওটাই ভালো হবে l"
Conclusion:এলাকাবাসীরা জানান, "স্কুলের পরিকাঠামোর কোনো ঠিক নেই l তাছাড়া এখানে ঠিকমতো পড়াশোনাও হয় না l তাই কোনো অভিভাবক তাঁদের ছেলেমেয়েদের আর এই স্কুলে ভর্তি করান না l"

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক আলোক মহাপাত্র জানান, "সেখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম রয়েছে l তাই কিছুদিনের মধ্যেই একজন শিক্ষককে অন্য স্কুলে বদলি করে দেওয়া হবে l আর একজন শিক্ষক আগে পরিস্থিতি দেখবেন, যদি ওই চারজন পড়ুয়া স্কুলে আসে এবং পড়ুয়াদের সংখ্যা যদি বাড়ে তাহলে ভালো, নাহলে ওই ছাত্র-ছাত্রীদের এবং শিক্ষককেও অন্য স্কুলের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে l"
Last Updated : Aug 30, 2019, 11:40 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.