পুরুলিয়া, 27 মার্চ: এবার মহিলা পুলিশ কর্মী স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগ দায়ের শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে (Teacher husband accused of torturing Police wife) । পণের দাবিতে বা অন্য কোনোও কারণে বধূ নির্যাতনের ঘটনা তো এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। তবে মহিলা কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত স্ত্রীকে নির্যাতন করেছেন পেশায় শিক্ষক স্বামী ! এটা যেন নতুন সংযোজন। পুরুলিয়া জেলার জয়পুর থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা রবিবার পুরুলিয়া সদর মহিলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন ৷ তিনি শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন (Husband Torturing Wife) ৷
তিনি জানিয়েছেন, 2011 সালে তাঁর বিয়ে হয় কোটশিলা থানা এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক এক ব্যক্তির সঙ্গে । বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁদের একটি কন্যা সন্তান হয়। অভিযোগ, তারপর থেকেই মহিলার ওপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন তাঁর স্বামী । 2014 সালে তার ফের কন্যা সন্তান হয় । এরপর 2017 সালে ওই মহিলা লেডি কনস্টেবল হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদান করার পর অত্যাচারের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। তাঁর স্বামী প্রতিদিন তাঁকে মারধর করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 2019 সালে তাঁর একটি পুত্র সন্তানও হয় বলে জানান ওই নির্যাতিতা।
বর্তমানে তিনি বেলগুমা পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন ৷ কাজের সূত্রে তিনি ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছেন বলে জানান । স্বামী ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে একটি স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন । কিন্তু ওই বধূর দাবি, তাঁর স্বামী মাঝেমধ্যেই মহিলার ভাড়া বাড়িতে এসে তাঁকে মারধর করেন এবং গাড়ি কেনার জন্য 5 লাখ টাকা দাবি করেন ৷ তা না-দিতে পারায় গত বৃহস্পতিবার রাত 10 টা নাগাদ স্বামী মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে প্রাণে মারার জন্য গলা টিপে ধরেছিলেন বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন ওই বধূ ।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস লাগিয়ে মদ্যপ বাবাকে খুনের অভিযোগ, পলাতক ছেলে
এমনকি তার নাক, বুক ও মুখে কিল, চড়, ঘুঁষি মারেন বলে অভিযোগ। নিজেকে বাঁচাতে ওই বধূ এবং তাঁর বাচ্চারা চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন ৷ তা দেখে অভিযুক্ত পালিয়ে যান বলে দাবি নির্যাতিতার। অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি।