পুরুলিয়া, 13 ডিসেম্বর: পুরুলিয়া (purulia news) পৌরসভা ও এমইডি দফতরের টালবাহানার জেরে কোটি কোটি টাকায় তৈরি হওয়া নিকাশি পাম্প স্টোরেজ প্ল্যান্টের (sewage pump storage plant) কাজ দীর্ঘ চার বছর ধরে বন্ধ । এর জেরে দীর্ঘদিন ধরে দূষিত হয়ে চলেছে সাহেব বাঁধ সরোবরের জল (Saheb Bandh lake)। নিত্যদিন নোংরা আবর্জনা এবং নর্দমার জল প্রবেশ করছে এই সরোবরে (Purulia Saheb Bandh lake water pollution)। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরুলিয়া পৌরসভার প্রশাসক নবেন্দু মাহালি । অবশেষে পুরুলিয়া পৌরসভার (Purulia municipality) পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট । তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন এমইডি-র চেয়ারম্যান এবং বিশেষ টিম । এতদিন ধরে কোটি কোটি টাকার তৈরি হওয়া স্টোরেজ প্ল্যান্টে জল পরিশোধনের কাজ বন্ধ থাকায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুরুলিয়া পৌরসভা ও এমইডি দফতর ।
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া পৌরসভা এলাকায় জলের অন্যতম উৎস হল সাহেব বাঁধ জাতীয় সরোবর । পুরুলিয়ার বেশিরভাগ এলাকায় এই জল সরবরাহ করা হয় । তাছাড়াও এই সরোবর শহরের অন্যতম পর্যটনস্থলও । অথচ সরকারি উদাসীনতায় দূষিত হচ্ছে সাহেব বাঁধ জাতীয় সরোবরের জল । সরোবরের বেশ কয়েকটি পাড় থেকে অবিরত প্রবেশ করছে নোংরা আবর্জনা এবং নর্দমার জল ।
আরও পড়ুন: Fake employees in Purulia Municipality : পুরুলিয়া পৌরনিগমে 100 ভুয়ো কর্মীর হদিশ
যদিও এই জলকে দূষণমুক্ত করতে এমইডি দফতরের পক্ষ থেকে সাহেব বাঁধের পাড়ে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে 2015-16 অর্থবর্ষে তৈরি করা হয় সোয়েজ পাম্প স্টোরেজ প্ল্যান্ট । উদ্দেশ্য ছিল, এই প্ল্যান্ট থেকে নর্দমা এবং নোংরা জল পরিশোধিত করে পুনরায় সাহেব ঝিলে প্রবেশ করানো । সেইমতো প্ল্যান্টের কাজও শুরু হয় । সেই প্ল্যান্ট চালানোর দায়িত্বভার পায় একটি ঠিকাদার সংস্থা । পরে 2018 সালের অক্টোবর মাসে ঠিকাদার সংস্থার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় নোংরা জল পরিশোধনের কাজ ।
পুরুলিয়া পৌরসভা এবং বিশেষ করে এমইডি দফতরের টালবাহানার জেরে দীর্ঘদিন ধরেই নোংরা আবর্জনা এবং নর্দমার জল সাহেব ঝিলে প্রবেশ করে জল দূষণ হয়ে চলেছে । একথা স্বীকার করেছেন প্ল্যান্ট দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা । পুরুলিয়া পৌরসভার দায়িত্বভার পাওয়ার পর প্রশাসক নবেন্দু মাহালি উদ্যোগ নেওয়ার পর আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের এক বিশেষ টিম । যদিও এতদিন ঢিলেমির কারণে সাহেব বাঁধের জল দূষণ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর প্রশাসক নবেন্দু মাহালিও । অন্যদিকে নিয়মিত বেতনের অভাবে প্ল্যান্ট চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্ল্যান্ট দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা ।
আরও পড়ুন : Purulia Bullfighting : পুরুষ মোষের ‘কাড়া লড়াই’ দেখতে ভিড় পুরুলিয়ার চাকরা গ্রামে