পুরুলিয়া, 21 সেপ্টেম্বর : ছেলেধরা গুজবে আতঙ্ক পুরুলিয়ায় ৷ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে একের পর এক ভিডিয়ো ৷ আতঙ্ক এতটাই যে স্কুল, কলেজ, টিউশানে যেতে ভয় পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও অনুপস্থিতির হার চোখে পড়ার মতো ৷ শঙ্কিত অভিভাবকরাও ৷ শেষমেশ জনগণকে সচেতন করতে প্রচারে নেমেছে পুলিশ-প্রশাসন ৷ আয়োজন করা হচ্ছে সেমিনারের ৷ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা যেন গুজবে কান না দেন ৷
আজ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে পুরুলিয়া মফঃস্বল থানায় একটি সেমিনারের আয়োজন করে পুলিশ ৷ গুজবে কান না দেওয়ার বার্তা প্রদানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথাও বলছেন পুলিশ আধিকারিকরা ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াচ্ছে ৷ এর জেরে আতঙ্কিত ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা ৷ তাঁরা একা বাড়ির বাইরে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন ৷ কিন্তু তা আদৌ সত্য নয় ৷ অনেক জায়গায় অপরিচিত ব্যক্তিদের ধরে রাখা হচ্ছে৷ মারধর করা হচ্ছে ৷ আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি, আদতে তারা ছেলেধরা নয় ৷ আমাদের এবং আশপাশের থানায়ও এনিয়ে কোনও রিপোর্ট পড়েনি ৷ সেটা বোঝাতেই আজ একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের বোঝানো হয় ছেলেধরা গুজবে কান দেবেন না ৷ যদি কোনও সমস্যা হয় সরাসরি পুলিশে খবর দেবেন ৷
তবে সেমিনারের পর অনেকটা স্বস্তি পেয়েছে ছাত্রছাত্রীরা ৷ এই বিষয়ে খেয়া মাঝি নামে এক ছাত্রীর কথায়, "খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম ৷ বাড়ির লোকজন চিন্তিত ছিল ৷ পাশের বাড়ির লোকজনও খুব ভয় খাইয়ে দিয়েছিল ৷ এদিক ওদিকের নানা ঘটনার কথা বলছিল ৷ ভয়ে মা-বাবাও আমাদের বেরোতে দিচ্ছিল না ৷ সেমিনার থেকে বেরিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার হল ৷ বাড়ি গিয়ে অন্যদেরও বলব যে, তারা যেন গুজবে কান না দেয় ৷"
স্থানীয় স্কুলের শিক্ষিকা চন্দ্রাণী পাল বলেন, "কয়েকদিন বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উপস্থিতি কম ছিল ৷ তবে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা সচেতন ৷ গুজব ছড়িয়েছে ৷ তার প্রভাবও অল্পবিস্তরও পড়েছে ৷ তবে এই সেমিনারের পর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা আরও বেড়েছে ৷"
আপাতত অনেকটাই আশ্বস্ত ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরাও ৷ আবার তারা নিশ্চিন্তে স্কুলে যাবে বলে জানিয়েছে ৷