পুরুলিয়া, 28 অক্টোবর: একদিকে রাজ্যে ঊর্ধমুখী হচ্ছে করোনা সংক্রমণ ৷ আর এরই মধ্যে আগামী 16 নভেম্বর থেকে রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা থেকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন তিনি । প্রশ্ন উঠছে, পুজো শেষে রাজ্যে যখন করোনার সংক্রমণ আবার ঊর্ধমুখী হতে শুরু করেছে ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিনেশন এখনও হয়নি, এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশিকা কতটা যুক্তিযুক্ত? যদিও পুরুলিয়া জেলার স্কুলগুলি জানিয়েছে, তারা প্রস্তুত রয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধির কথা বিশেষভাবে নজর রাখা এবং কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখার আবেদন জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷ করোনা সংক্রমণের কারণে 2020 সালের 16 মার্চ স্কুল,কলেজ-সহ রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তারপর থেকেই প্রায় দু'বছর ধরে তালাবন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজে ৷ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হতে না হতেই দুর্গাপুজোর পর সংক্রমণ আরও ঊর্ধমুখী হতে শুরু করেছে । এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক, তা ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন ৷
পুরুলিয়া জেলার বেশ কয়েকটি স্কুল ইতিমধ্যেই স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ৷ স্কুলগুলি ঘুরে দেখল ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি ৷ পুরুলিয়ার জয়পুর আরবিবি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশচন্দ্র কুমার বলেন, "আমরা স্কুল খোলার জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন সেইসব প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি ৷ স্কুল স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে ৷ স্কুল খোলার আগে আবারও একবার স্যানিটাইজেশন করা হবে ৷ "
আরও পড়ুন: কালীপুজোর আগে পুরুলিয়ায় শুরু নাকা চেকিং
ইতিমধ্যেই অভিভাবক প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলি ৷ অভিভাবক অম্বুজ হাজরা বলেন, "রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ৷ আমরা চাই স্কুল খুলুক ৷ স্বাভাবিক হোক পঠন-পাঠন ৷ " শিক্ষক-অভিভাবকদের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারাও ৷