পুরুলিয়া, 7 জুন: রাজস্থানের কোটায় পুরুলিয়ার পড়ুয়ার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ তাঁর গ্রাম নোয়াডি ৷ বাঘমুন্ডির নোয়াডি গ্রামের ভোলানাথ কুইরির ছেলে পরিতোষ কুইরি ৷ ডাক্তারির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কোটায় থেকে পড়াশোনা করছিলেন ৷ সেখানে তাঁর ঘরের বাইরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল 18 বছরের পরিতোষকে ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ৷ ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাই কোটার মহাবীর নগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ভোলানাথ কুইরি এবং তাঁর পরিবার ৷
এ দিন ভোলানাথ কুইরির বাড়িতে গেলে দেখা যায় সেখান তালা ৷ জানা গিয়েছে, সপরিবার কোটার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ৷ তবে, পরিতোষের মৃত্যুতে কোনও রহস্য আছে কিনা বা পরিবার কিছু সন্দেহ করছে কিনা, তা জানা যায়নি ৷ তবে, ভিনরাজ্যে পরিতোষের মৃত্যু হলেও, স্থানীয় থানায় এ নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি পরিবার ৷ এমনকী বিষয়টি তাঁরা জানাননি পুলিশকে ৷
ভোলানাথ কুইরি পেশায় প্রান্তিক চাষী ৷ তাঁর এক ছেলে এবং দুই মেয়ে ৷ পরিতোষ রাজস্থানে থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ আর ভোলানাথের এক মেয়ে রাঁচিতে পড়াশোনার জন্য থাকেন ৷ এ দিন সকালে পরিতোষের বন্ধু আনন্দ তাঁকে প্রথম অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান ৷ জানা গিয়েছে, আনন্দ এবং পরিতোষের পরিচয় হয়েছিল কোচিং সেন্টারে ৷ যেখানে তাঁরা নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ সেই পরিচয় থেকেই দু’জনে কোটার মহাবীর নগর 2 এলাকায় একটি মেসে থাকতে শুরু করেন ৷ দু’জনের ঘর আলাদা ছিল ৷
আরও পড়ুন: রাজস্থানে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, আচমকা রহস্যজনক মৃত্যু পুরুলিয়ার ছাত্রের
আজ সকালে পরিতোষের সঙ্গে আনন্দর কথা হয় ৷ আনন্দ তাঁর বাবা-মাকে ছাড়তে গিয়েছিলেন ৷ ফিরে এসে দেখেন ঘরের বাইরে পড়ে আছেন পরিতোষ ৷ আনন্দ মেসের মালিককে ফোন করে ডাকেন ৷ তাঁরা স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিতোষকে ৷ সেখান থেকে অন্য একটি হাসপাতালে ৷ কিন্তু, সেখানে চিকিৎসক পরিতোষকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা ৷ তবে, ময়নাতদন্ত না হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ দেহ আপাতত হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ পরিবারের সদস্যরা পৌঁছলে তবেই ময়নাতদন্ত করা হবে ৷