পুরুলিয়া, 8 মার্চ: জমি-জায়গা বিক্রি করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানা এলাকার নীলডি গ্রামের বাসিন্দা অনিমা মণ্ডল। গত বৈশাখ মাসে আদ্রা থানা এলাকার মেটাল শহরের বাসিন্দা বাপি মণ্ডলের সঙ্গে মেয়ে প্রীতিলতা মণ্ডলের বিয়ে দেন অনিমা দেবী। কিন্তু বিয়ের বছর ঘুরতে না-ঘুরতেই সেই মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আদ্রা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত বধূর মা (Housewife Murdered in Purulia)।
এদিন তিনি বলেন, "অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্রপক্ষের দাবি মতো আড়াই লাখ টাকা, দু'ভরি সোনা ও রুপোর গয়না ছাড়াও আসবাবপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু গত মাঘ মাসে মেয়ে এখানে একটি অনুষ্ঠানে এসে আমাকে জানায় যে, বিয়ের সময় দেওয়া জিনিসপত্র পছন্দ না-হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে। জামাই, তাঁর মা ও ঠাকুমার কথা মতো মেয়ের ওপর অত্যাচার করত। এমনকী আমার মেয়ের দেওর ও তাঁর শ্বশুর অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করত এবং প্রাণনাশের হুমকিও দিত।"
আরও পড়ুন: বধূকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার স্বামী ও দেওর
তিনি আরও বলেন, তবু আমি মেয়েকে বুঝিয়ে ছিলাম সংসার করতে। কিন্তু গতকাল আমি ওখানকার লোকের কাছ থেকে খবর পায় যে আমার মেয়েকে ওরা মেরে দিয়েছে। আমি সেখানে গিয়ে জানতে পারি মেয়েকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে আমি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। আমার মেয়েকে যারা এভাবে মেরে ফেলল আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অনুরোধ করছি।"
অভিযোগের ভিত্তিতে আদ্রা থানার পুলিশ বুধাবর ওই বধূর স্বামী বাপি মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার (District Superintendent of Police) অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি তদন্ত চলছে।