ETV Bharat / state

House Wife Burnt to Death: চারমাসের গর্ভবতী বধূকে পুড়িয়ে খুন ! দুর্ঘটনা বলে দাবি শ্বশুরবাড়ির

এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁরই শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে (House Wife Burnt to Death) ৷ পুরুলিয়া (Purulia) জেলার কেন্দা থানা এলাকার ঘটনা ৷

murder allegation against in laws in a House Wife Burnt to Death case
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Jan 26, 2023, 7:44 PM IST

পুরুলিয়া, 26 জানুয়ারি: চারমাসের গর্ভবতী বধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ (House Wife Burnt to Death) ! কাঠগড়ায় মৃতার শাশুড়ি ও দেওর ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার কেন্দা থানা এলাকায় ৷ ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতার বাবা ৷ তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দা থানার পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতা বধূর নাম সুচিত্রা মণ্ডল ৷ তাঁর বাবা নিরঞ্জন মণ্ডল জেলার মানবাজার থানা এলাকার পড়শ্যা গ্রামের বাসিন্দা ৷ তিনি জানিয়েছেন, সুচিত্রা তাঁর ছোট মেয়ে ৷ 2021 সালের এপ্রিল মাসে মেয়ের বিয়ে দেন তিনি ৷ পাত্র কেন্দা থানা এলাকার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা অবনী মণ্ডল ৷ কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন ! নিরঞ্জনের দাবি, তাঁর মেয়েকে সর্বক্ষণ শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগ্রহ করা হত ৷ এমনকী, সুচিত্রাকে তাঁর বাপের বাড়িতেও যেতে দেওয়া হত না ৷

আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে বধূ খুন, হাত কেটে লাশ জলে ভাসিয়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা

এই অবস্থায় গত 9 জানুয়ারি নিরঞ্জন খবর পান, তাঁর মেয়ের গায়ে আগুন লেগেছে ৷ এই ঘটনার সময় সুচিত্রার স্বামী অবনী বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে ৷ কারণ, তিনি কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন ৷ নিরঞ্জনের দাবি, সুচিত্রার শাশুড়ি মুরুলিবালা মণ্ডল ও দেওর তারক মণ্ডলই এই পৈশাচিক কাণ্ড ঘটিয়েছেন ৷ মৃতার বাবার আরও অভিযোগ, এই ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান তিনি ৷ কিন্তু, তাঁকে তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি ৷ পরবর্তীতে নিরঞ্জন জানতে পারেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য সুচিত্রাকে রাঁচি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু, সেখানে সুচিত্রার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি ৷ উলটে রাঁচিতেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷

এই অবস্থায় মৃতার বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করলেও দুর্ঘটনার তত্ত্ব খাড়া করেছেন সুচিত্রার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, মৃত্যুর আগে সুচিত্রা কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানিয়ে গিয়েছেন, অসাবধানতাবশত তাঁর গায়ে আগুন লেগে যায় ! এই ঘটনা যখন ঘটে, তখন সেই ঘরে কেউ ছিলেন না বলেও নাকি দাবি করেছেন সুচিত্রা ! কিন্তু, নিরঞ্জন একথা মানতে নারাজ ৷ তাঁর দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা এখন ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন !

এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ কেউ দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই আইন অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে ৷"

পুরুলিয়া, 26 জানুয়ারি: চারমাসের গর্ভবতী বধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ (House Wife Burnt to Death) ! কাঠগড়ায় মৃতার শাশুড়ি ও দেওর ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার কেন্দা থানা এলাকায় ৷ ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতার বাবা ৷ তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দা থানার পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতা বধূর নাম সুচিত্রা মণ্ডল ৷ তাঁর বাবা নিরঞ্জন মণ্ডল জেলার মানবাজার থানা এলাকার পড়শ্যা গ্রামের বাসিন্দা ৷ তিনি জানিয়েছেন, সুচিত্রা তাঁর ছোট মেয়ে ৷ 2021 সালের এপ্রিল মাসে মেয়ের বিয়ে দেন তিনি ৷ পাত্র কেন্দা থানা এলাকার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা অবনী মণ্ডল ৷ কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন ! নিরঞ্জনের দাবি, তাঁর মেয়েকে সর্বক্ষণ শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগ্রহ করা হত ৷ এমনকী, সুচিত্রাকে তাঁর বাপের বাড়িতেও যেতে দেওয়া হত না ৷

আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে বধূ খুন, হাত কেটে লাশ জলে ভাসিয়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা

এই অবস্থায় গত 9 জানুয়ারি নিরঞ্জন খবর পান, তাঁর মেয়ের গায়ে আগুন লেগেছে ৷ এই ঘটনার সময় সুচিত্রার স্বামী অবনী বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে ৷ কারণ, তিনি কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন ৷ নিরঞ্জনের দাবি, সুচিত্রার শাশুড়ি মুরুলিবালা মণ্ডল ও দেওর তারক মণ্ডলই এই পৈশাচিক কাণ্ড ঘটিয়েছেন ৷ মৃতার বাবার আরও অভিযোগ, এই ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান তিনি ৷ কিন্তু, তাঁকে তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি ৷ পরবর্তীতে নিরঞ্জন জানতে পারেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য সুচিত্রাকে রাঁচি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু, সেখানে সুচিত্রার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি ৷ উলটে রাঁচিতেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷

এই অবস্থায় মৃতার বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করলেও দুর্ঘটনার তত্ত্ব খাড়া করেছেন সুচিত্রার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, মৃত্যুর আগে সুচিত্রা কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানিয়ে গিয়েছেন, অসাবধানতাবশত তাঁর গায়ে আগুন লেগে যায় ! এই ঘটনা যখন ঘটে, তখন সেই ঘরে কেউ ছিলেন না বলেও নাকি দাবি করেছেন সুচিত্রা ! কিন্তু, নিরঞ্জন একথা মানতে নারাজ ৷ তাঁর দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা এখন ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন !

এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ কেউ দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই আইন অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.