বাঘমুণ্ডি, 4 ডিসেম্বর: ঝরনার জলে ভাসছে প্রচুর পরিমাণে ওষুধের শিশি, ইনজেকশনের ভয়েল ৷ যা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ এলাকাবাসীর ৷ ঘটনাটি পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থানার অন্তর্গত বাঘমুন্ডি বলরামপুর জাতীয় সড়কের উপর মাঠা ডিগারডি সিআরপিএফ ক্যাম্পের সামনে থাকা একটি ছোট্ট জলাশয়ের। এর থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী । যার ফলে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা (Medicine injection floating in Hilly fountain water)। এই ঝনার জল পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করেন এলাকাবাসী ৷
মাঠা অঞ্চলের ধনুডি, আমটার, বাঁশিটার, ডিগারডি গ্রামের বাসিন্দারা জঙ্গলে গরু-ছাগল নিয়ে যান এই পথ দিয়ে ৷ তৃষ্ণার্ত হলে কখনও কখনও এই ঝরনার জল মানুষজন এবং গবাদি পশুরাও পান করে ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই জলপান করে মানুষ ও প্রাণীদের মধ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷
এই প্রসঙ্গেই, স্থানীয় ধনুডি গ্রামের বাসিন্দা সুনীল মাহাতো বলেন, "এখানে চারটি গ্রামের বাসিন্দা গবাদি পশু নিয়ে আসেন ৷ এই ঝরনার জল মানুষও পান করে ৷ এই জলাশয়ে ওষুধের শিশি ফেলে দেওয়াতে জলে বিষক্রিয়া হতে পারে ।" বাঘমুণ্ডি ব্লক এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র মাঝি বলেন, ‘‘কে বা কারা এগুলো ফেলেছে সেই বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত । হাসপাতালের ওষুধ নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে না-ফেলে অন্য জায়গায় কেন ফেলা হবে ? এই ঝরনার জল গবাদি পশু থেকে শুরু করে মানুষেরাও ব্যবহার করে ।"
আরও পড়ুন: একই পাত্রের সঙ্গে সোলাপুরে বিয়ের পিঁড়িতে যমজ বোন, দায়ের হল অভিযোগ
বাঘমুণ্ডি ব্লকের পাথরডি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার সোরেন কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, পুরুলিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, " বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি । প্রয়োজন হলে ওই এলাকার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককেও ডেকে পাঠানো হবে।"