ETV Bharat / state

মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে "জয়শ্রীরাম" স্লোগান দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের !

author img

By

Published : Jun 9, 2019, 7:47 PM IST

Updated : Jun 9, 2019, 8:01 PM IST

পুরুলিয়ার সার্কিট হাউজ়ে মন্ত্রী মলয় ঘটকের সামনেই "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি দিলেন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর । যদিও মলয়বাবুর সাফ কথা তিনি তেমন কিছু শোনেননি তাই কোনও মন্তব্য করবেন না ।

মলয় ঘটক

পুরুলিয়া, 9 জুন : এ যেন 'অবাক কাণ্ড' ! দলীয় পর্যালোচনা বৈঠক শেষে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সামনেই "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি দিলেন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর । আজ পুরুলিয়ার সার্কিট হাউজ়ে নির্বাচন পরবর্তী দলীয় পর্যালোচনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন মলয়বাবু ।

বৈঠক শেষ হলে বাইরে বেরিয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস এবং 23 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ দাগা "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি দেন । স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েন মলয়বাবু-সহ বৈঠকে উপস্থিত জেলা সভাপতি, সভাধিপতি সহ অন্যান্যরা । উল্লেখ্য, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি শুনে বার বার মেজাজ হারিয়েছেন । জগদ্দলে গাড়ি থেকে নেমে তিনি বলেন, "কার বুকে পাটা আছে সামনে আয় । এসে বল । সাহস কত, মাথায় ফেট্টি বেঁধে আমাকে গালাগাল করছে ।" সেইসঙ্গে উক্ত ব্যক্তিদের "চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার" হুমকিও দেন তিনি । তারপর থেকেই দলের উপর সারির নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল স্তরের কর্মী-সমর্থকদের 'উত্যক্ত' করতে রাজ্যজুড়ে BJP কর্মী-সমর্থকরা "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি দিতে শুরু করেছেন । "জয়শ্রীরাম"-রাজনৈতিক নাকি ধর্মীয় স্লোগান তা নিয়েও দু'পক্ষের মধ্যে বাগযুদ্ধ কিছু কম হয়নি । যেখানে রাজ্যজুড়ে "জয়শ্রীরাম" শুনলেই মারমুখী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা, সেখানে আজ পুরুলিয়ার সার্কিট হাউজ়ে উলটো সুর শোনা গেল ।

ভিডিয়োয় দেখুন

তৃণমূল কাউন্সিলরদের মুখে "জয়শ্রীরাম" শুনে প্রতিবাদ জানান ঘটনাস্থানে উপস্থিত অন্যান্য তৃণমূল নেতা কর্মীরা । উত্তেজনা ছড়ায় । দুই কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস ও প্রদীপ দাগা বলেন, "অন্যায় তো কিছু করিনি । "জয়শ্রীরাম" কোনও দলীয় ডাক নয় । রাম হিন্দুদের দেবতা । তৃণমূল করি বলে কি "জয়শ্রীরাম" বলব না ?" তবে উল্লেখ্য, "জয়শ্রীরাম"-এর পাশাপাশি "জয় হিন্দ", "জয় বাংলা" স্লোগানও দেন ওই দুই কাউন্সিলর ।

তবে এই বিষয়ে মলয়বাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অবশ্য সাংবাদিকদের সামনে কিছু বলতে চাননি । তাঁর সাফ কথা, "যেটা জানি না , যেটা শুনিনি, সে সম্পর্কে আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না ।"

পুরুলিয়া, 9 জুন : এ যেন 'অবাক কাণ্ড' ! দলীয় পর্যালোচনা বৈঠক শেষে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সামনেই "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি দিলেন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর । আজ পুরুলিয়ার সার্কিট হাউজ়ে নির্বাচন পরবর্তী দলীয় পর্যালোচনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন মলয়বাবু ।

বৈঠক শেষ হলে বাইরে বেরিয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস এবং 23 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ দাগা "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি দেন । স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েন মলয়বাবু-সহ বৈঠকে উপস্থিত জেলা সভাপতি, সভাধিপতি সহ অন্যান্যরা । উল্লেখ্য, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি শুনে বার বার মেজাজ হারিয়েছেন । জগদ্দলে গাড়ি থেকে নেমে তিনি বলেন, "কার বুকে পাটা আছে সামনে আয় । এসে বল । সাহস কত, মাথায় ফেট্টি বেঁধে আমাকে গালাগাল করছে ।" সেইসঙ্গে উক্ত ব্যক্তিদের "চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার" হুমকিও দেন তিনি । তারপর থেকেই দলের উপর সারির নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল স্তরের কর্মী-সমর্থকদের 'উত্যক্ত' করতে রাজ্যজুড়ে BJP কর্মী-সমর্থকরা "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি দিতে শুরু করেছেন । "জয়শ্রীরাম"-রাজনৈতিক নাকি ধর্মীয় স্লোগান তা নিয়েও দু'পক্ষের মধ্যে বাগযুদ্ধ কিছু কম হয়নি । যেখানে রাজ্যজুড়ে "জয়শ্রীরাম" শুনলেই মারমুখী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা, সেখানে আজ পুরুলিয়ার সার্কিট হাউজ়ে উলটো সুর শোনা গেল ।

ভিডিয়োয় দেখুন

তৃণমূল কাউন্সিলরদের মুখে "জয়শ্রীরাম" শুনে প্রতিবাদ জানান ঘটনাস্থানে উপস্থিত অন্যান্য তৃণমূল নেতা কর্মীরা । উত্তেজনা ছড়ায় । দুই কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস ও প্রদীপ দাগা বলেন, "অন্যায় তো কিছু করিনি । "জয়শ্রীরাম" কোনও দলীয় ডাক নয় । রাম হিন্দুদের দেবতা । তৃণমূল করি বলে কি "জয়শ্রীরাম" বলব না ?" তবে উল্লেখ্য, "জয়শ্রীরাম"-এর পাশাপাশি "জয় হিন্দ", "জয় বাংলা" স্লোগানও দেন ওই দুই কাউন্সিলর ।

তবে এই বিষয়ে মলয়বাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অবশ্য সাংবাদিকদের সামনে কিছু বলতে চাননি । তাঁর সাফ কথা, "যেটা জানি না , যেটা শুনিনি, সে সম্পর্কে আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না ।"

Intro:পুরুলিয়া : দলিয় পর্যালোচনার বৈঠক শেষে তৃণমূল কাউন্সিলারদের মুখে উঠে এলো "জয় শ্রী রাম" ধ্বনি l ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন পর্যালোচনা বৈঠকের মধ্যমনি আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরুলিয়ায় এসে সার্কিট হাউসে নির্বাচন পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন মলয়বাবু। এদিন বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো, জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, পৌরপ্রধান শামীম দাদ খান, তৃণমূলের কাউন্সিলারগণ সহ বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রী ও পদাধিকারীরা। বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়েই পুরুলিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিভাস রঞ্জন দাস এবং ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রদীপ দাগা "জয় শ্রী রাম" ধ্বনি দেন। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা সভাপতি, জেলা সভাধিপতি সহ অন্যান্যরা l কিছু তৃণমূল নেতা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোয় ওই দুই কাউন্সিলারের সঙ্গে বচসা বাধে l এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে lBody:কাউন্সিলার বিভাস রঞ্জন দাস, কাউন্সিলার প্রদীপ দাগা বলেন, "অন্যায় তো কিছু করিনি। "জয় শ্রী রাম" কোনো দলীয় ডাক নয় l এটা সকল হিন্দুদের দেবতা l তৃণমূল করি বলে কি "জয় শ্রী রাম" বলবো না?" ঘটনার ব্যাপারে মলয় ঘটক সাংবাদিকদের সামনে কিছুই বলতে চাননি l তবে ওই দুই তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুরুলিয়া পৌরসভার বেশ কিছু তৃণমূল কাউন্সিলার। তৃণমূলের দুই কাউন্সিলারের "জয় শ্রী রাম" ধ্বনি নিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন এধরনের কোন ধ্বনি তিনি শুনতে পাননি। Conclusion:অন্যদিকে জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর মন্ত্রিত্ব পদ খারিজ করে দিয়ে দফতর বিহীন মন্ত্রী করে দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই । তবে মলয়বাবু অবশ্য দলের আভ্যন্তরীণ ক্ষোভকে প্রশমিত করে দলিয় সংগঠনকে মজবুত করার কথা বলেন।
Last Updated : Jun 9, 2019, 8:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.