পুরুলিয়া, 14 ডিসেম্বর: সংসদে হামলার চেষ্টার যে ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে নীলাক্ষ আইচের কোনও সম্পর্ক রয়েছে ? সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ৷ কারণ, ওই ঘটনার মূলচক্রী হিসেবে যাঁর নাম উঠে আসছে, সেই ললিত ঝা ঘটনার ভিডিয়ো প্রথম পাঠান নীলাক্ষ আইচকে ৷ কেন নীলাক্ষ আইচকে পাঠানো হল ওই ভিডিয়ো, সেই প্রশ্নের উত্তরই মেলেনি ৷
তবে এই নীলাক্ষ আইচ কে ? কী কাজ করেন তিনি ? কীভাবে ললিত ঝায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ গড়ে উঠল, সেই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কোনও তথ্য মেলেনি ৷ শুধু পাওয়া গিয়েছে একটি ফেসবুক পোস্ট ৷ যে পোস্টটি নীলাক্ষ আইচের প্রোফাইল থেকে একটি গ্রুপে করা করা হয় ৷ ওই পোস্টে সাম্যবাদী সুভাষ সভার ব্যানারে পুরুলিয়ার দুঃস্থ শিশুদের বিনামূল্যে পড়ানোর ব্যবস্থা করার কথা বলা হয় ৷
ওই পোস্টে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে নাম রয়েছে নীল আইচের ৷ সঙ্গে যে ছবিটি দেওয়া হয়েছে, সেটি এক যুবকের ৷ অথচ নীল আইচের মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে যিনি ফোন ধরেন, তিনি নিজেকে নীলাক্ষর বাবা হিসেবে পরিচয় দেন ৷ তিনিও নিজের নাম নীল আইচ বলে দাবি করেন ৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘ছেলে এখন বাড়িতে নেই । ললিত ঝা-এর সঙ্গে ছেলের কী সম্পর্ক, তা ওই ভালো বলতে পারবে ।’’ ছেলের ফোন নম্বরও দিতে চাননি তিনি । ফলে এখানেও ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ ফেসবুক পোস্টে নীল আইচের ছবিটি যুবকের ৷ অথচ নীল আইচ বলছেন তিনি নীলাক্ষর বাবা ৷
সূত্রের খবর, নীলাক্ষ একটি এনজিও চালায় ৷ সেই এনজিও-র হয়েই কিছুদিন কাজ করেছিলেন ললিত ৷ সেই সূত্রের দু’জনের পরিচয় ৷ দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই ঘটনার তদন্ত করছে ৷ সংসদের হামলার চেষ্টার জন্য যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের থেকে আরও দু’জনের খোঁজ মেলে ৷ সেই দু’জনের একজনকে পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ৷ দ্বিতীয়জন ললিত ঝা পলাতক ৷
তাঁর সন্ধান করছে দিল্লি পুলিশ ৷ ললিত কয়েকবছর কলকাতার বড়বাজার এলাকায় ভাড়া ছিলেন ৷ সেই কারণে কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে দিল্লি পুলিশ ৷ তদন্তকারীদের অনুমান, ললিত ধরা পড়লেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে ৷ এখন দেখার নীলাক্ষর থেকে ললিতের বিষয়ে তদন্তকারীরা পান কি না !
আরও পড়ুন: