পুরুলিয়া, 13 সেপ্টেম্বর : পুরুলিয়ার মানবাজার মহকুমার বরাবাজার ব্লক এলাকায় রমরমিয়ে অবৈধ পাথর খাদানের ব্যবসা চালানোর অভিযোগ ৷ দিনে রাতে ওই এলাকার পাথর খাদানগুলিতে ডিনামাইট ফাটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ বরাবাজার ব্লকের লটপদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তালাডি, সরবেরিয়া, ধারগ্রাম, সহ একাধিক গ্রামে চলছে এই অবৈধ পাথর খাদানের কারবার ৷ কোটি কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রায় দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই অবৈধ কারবার চলে আসছে ৷ প্রশাসনের তরফে এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
বরাবাজার ব্লক এলাকার অধিকাংশ জমি পাথুরে ৷ বিশেষ করে লটপদা থেকে তালাডি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কয়েকশো একর সরকারি খাস জমি পড়ে রয়েছে ৷ এছাড়াও রয়েছে বন দফতরের জমি ৷ প্রায় দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে মাফিয়ারা সেই সব জমি অধিগ্রহণ করে পাথর উত্তোলন করার অবৈধ ব্যবসা ফেঁদে বসেছে । চোরাপথে ডিনামাইট নিয়ে আসছে মাফিয়ারা ৷ তারপর পাথর ফাটিয়ে সেগুলি পাচার করা হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৷ এমনকি ভিন রাজ্যেও সেই পাথর পাচার চলছে ৷
আরও পড়ুন :Asansol Landslide: আসানসোল কোলিয়ারিতে ধস, ক্ষতিগ্রস্ত 15টি বাড়ি
বাম আমল থেকে চলে আসা এই অবৈধ পাথর খাদান প্রথমে স্থানীয় লোকজন শুরু করে বলে অভিযোগ ৷ সেই সব বেআইনি খাদানের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে হাত পরিবর্তন হতে হতে বর্তমানে ভিন রাজ্যের পাথর মাফিয়াদের হাতে চলে গেছে ৷ বর্তমানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এই বেআইনি পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে ৷ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি এই পাথর খাদান বন্ধ করতে জেলায় জেলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন । সেই নির্দেশ মতো পুরুলিয়ায় টাস্ক ফোর্স তৈরি হলেও বরাবাজার ব্লকে এখনও পর্যন্ত টাস্ক ফোর্সের দেখা পাওয়া যায়নি ৷ এর জেরে অবৈধ পাথর খাদানের ব্যবসার আরও রমরমা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : TET-High Court : উত্তীর্ণদের চাকরি দিন; পর্ষদের সভাপতিকে বিচারপতি
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘ 20 বছরের বেশি সময় ধরে বরাবাজার এলাকায় অবৈধ পাথর খাদানের ব্যবসা চলছে ৷ অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহার করে ক্রেসারের পাথর ভাঙ্গার কাজ চলছে নিত্যদিন ৷ ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটনা হচ্ছে ৷ অথচ কেউ কিছু বলেও না ৷ যদিও এ বিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ জেলার এসডিওদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক হয়েছে টাস্ক ফোর্সের ৷ কোন এলাকায় কত বেআইনি খাদান রয়েছে, তা সকলের কাছে রিপোর্ট আকারে জানতে চাওয়া হয়েছে ৷ যেখানে যেখানে বেআইনি পাথর খাদান বা ক্রেসার রয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি অভিযান চালিয়ে সব বন্ধ করা হবে ৷’’