পুরুলিয়া, ১৮ মার্চ : বিয়ের বছরখানেকের মধ্যে অতিরিক্ত পণের দাবিতে এক যুবতিকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহির বগড়া গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রিয়া সরকার (২০)। যুবতির মা রেবা বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে সাঁওতালডিহি থানার পুলিশ গতকাল বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ওই যুবতির স্বামী রাকেশ সরকার ও দেওর মুকেশ সরকারকে। তবে অপর দুই অভিযুক্ত শাশুড়ি বিভারানি সরকার ও আরেক দেওর রাজেন সরকার পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
বছরখানেক আগে রিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বগড়া গ্রামের যুবক রাকেশ সরকারের। রেবা বিশ্বাস বলেন, বিয়ের সময় নগদ আড়াই লাখ টাকা, চার ভরি সোনার গহনা পণ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও রাকেশ আরও অতিরিক্ত পণের দাবি করে। শ্বশুরবাড়ি থেকে রিয়াকে চাপ দিতে শুরু করে। রিয়া অবশ্য বেশ কয়েকবার নিজের বাড়িতে সে কথা জানিয়েছিল। কিন্তু এত টাকা পণ দেওয়ার সামর্থ্য তাঁর বাড়ির লোকজনের ছিল না। আর সেই কথা জানার পর থেকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। তবে এইভাবে যে তাঁদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হবে এটা ভাবতেও পারেননি তিনি।
শনিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়িতে ওই যুবতিকে প্রথমে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান তাঁর আত্মীয়রা। তাঁরাই তাঁকে নিয়ে যান পাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পাড়া ব্লকের BDO অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে।
ওই যুবতির আত্মীয়দের অভিযোগ, রিয়ার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের মেয়েকে যে খুন করা হয়েছে সেটা একদম পরিষ্কার।