পুরুলিয়া, 7 নভেম্বর : অনুগামীদের বিজয়া সম্মিলনীতে সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী । পাশাপাশি আজকের সম্মিলনী থেকেই শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের শকুন ও হায়নার সঙ্গে তুলনা করে তাঁদের হাত থেকে পুরুলিয়াকে উদ্ধার করে নেওয়ার হুঙ্কার দিলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা । পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় শুভেন্দু অনুগামীদের বিজয়া সম্মেলন । উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা পরিষদ সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাত, রঘুনাথপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যা সহ জেলার শাসক দলের বহু বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মী ।
সম্মিলনীতে শুভেন্দু অনুগামীদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়লেও শাসক দলের মন্ত্রী, বিধায়কদের দেখা গেল না । আজকের বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা । একদা জেলার বর্ষীয়ান নেতা হিসাবে পরিচিত প্রাক্তন জেলা পরিষদ সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাত বলেন, "আড়াই বছর ধরে পুরুলিয়ায় কোনও উন্নয়ন হয়নি । শুধু পার্সেন্টেজে উন্নয়ন হয়েছে । আমরা এটা সহ্য করব না । আগামী 6 মাসের মধ্যে এই শকুনদের হাত জেলাকে উদ্ধার করব । আপনারা আবার যোগ্য সম্মান পাবেন । আমরা কলকাতার মানুষের কথায় চলব না । জেলার নেতারা চেয়ারে বসে ভাবছেন বিশাল কিছু । কিন্তু এই হায়নাদের কাছ থেকে জেলাকে উদ্ধার করব ।"
সম্মিলনীর শেষে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আমাদের সকলকে এগিয়ে যেতে হবে । ভালো কাজ করতে হবে । মানুষের কাজ করতে হবে । এই বিশ্বাসকে আমি মর্যাদা দিয়ে চলব । ভবিষ্যতেও একসঙ্গে থাকব । আমরা একই পরিবারের সদস্য ।"
শুভেন্দু অনুগামীদের এই বিজয়া সম্মিলনীর পোস্টারকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল পুরুলিয়ায় । গেরুয়া রঙের পোস্টার ও আমন্ত্রণপত্রে রাজস্থানি পাগড়ি পরা শুভেন্দুর ছবিকে ঘিরে শুরু হয়েছিল চাপানউতোর ।