ETV Bharat / state

Civic Police Arrest: বালি পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার সিভিক কর্মী

author img

By

Published : Apr 27, 2023, 9:34 PM IST

বালি পাচারের সময় ট্রাক্টর আটক করেছিলেন এক গ্রামীণ পুলিশ ৷ সেইসময় তাঁক মারধর করে গাড়িগুলিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এক সিভিক কর্মী ৷ সেকথা থানায় জানাতেই গ্রেফতার করা হয় ওই সিভিক কর্মীকে ৷

Civic Police Arrest
বালি পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার সিভিক কর্মী

পুরুলিয়া, 27 এপ্রিল: ফের একবার কাঠগড়ায় সিভিক কর্মী। বালি পাচার হচ্ছিল দু'টি ট্রাক্টরে। আর সেই ট্রাক্টরগুলি আটক করেছিলেন সেই সময় ট্রাফিক ডিউটিতে থাকা একজন গ্রামীণ পুলিশ। অভিযোগ সেই সময় একজন সিভিক কর্মী ঘটনাস্থলে এসে গাড়িগুলিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং ওই গ্রামীণ পুলিশকে মারধর করে। গ্রামীণ পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে পুরুলিয়া মফস্বল থানার পুলিশ ওই সিভিককে গ্রেফতার করেছে। বুধবার তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক 14 দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷

পুরুলিয়া মফস্বল থানার রাঘবপুর অঞ্চলের ধুরহী গ্রামের বাসিন্দা পেশায় গ্রামীণ পুলিশ সন্দীপ কুমার মাহাতোর অভিযোগ, রবিবার দুপুর 2টো নাগাদ তিনি যখন ডিয়ার পার্কের কাছে ট্রাফিক ডিউটি করছিলেন সেই সময় পলাশকোলা মোড় দিক থেকে দু'টি বালিবোঝাই ট্রাক্টর ডুবকি গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। সেইসময় থানায় থাকা অফিসারের নির্দেশ মতো গাড়িগুলোকে তিনি আটকান বলে জানিয়েছেন সন্দীপ। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তিনি গাড়িগুলি আটকানোর পর পিড়রা অঞ্চলের সিভিক কর্মী অসিত মাহাতো ঘটনাস্থলে এসে গাড়িগুলি ছেড়ে দিতে বলেন।

সন্দীপ কুমার মাহাতো গাড়িগুলি ছাড়তে রাজি না-হওয়ায় তাকে পিছন দিকে থেকে ধরে কিল, চড়, ঘুষি মারেন ও তার পরেনের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন সন্দীপ কুমার মাহাতো। এই বিষয়ে মঙ্গলবার পুরুলিয়া মফস্বল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সিভিক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ৷ এই ঘটনায় বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, "সারা রাজ্যজুড়ে কাটমানি খাওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সিভিক কর্মীরা ভাবছে আমরাই বা পিছনে কেন? বালি পাচারের টাকার ভাগ কে খাবে সিভিক না গ্রামীণ পুলিশ সেই নিয়ে ওদের ঝামেলা।"

আরও পড়ুন: সিভিক ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল, বাংলায় চলছেটা কী ?

এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পুরুলিয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, "সিভিক কর্মীদের প্রথম থেকেই বিজেপি সহ্য করতে পারছে না। এই নিয়ে তারা এর আগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।" জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "ওই সিভিক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে ।" যখন সিভিক কর্মীদের কাজের এক্তিয়ার নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, যার জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত তখন পুরুলিয়ার এই ঘটনা যেন সিভিক বিতর্কে নতুন সংযোজন।

পুরুলিয়া, 27 এপ্রিল: ফের একবার কাঠগড়ায় সিভিক কর্মী। বালি পাচার হচ্ছিল দু'টি ট্রাক্টরে। আর সেই ট্রাক্টরগুলি আটক করেছিলেন সেই সময় ট্রাফিক ডিউটিতে থাকা একজন গ্রামীণ পুলিশ। অভিযোগ সেই সময় একজন সিভিক কর্মী ঘটনাস্থলে এসে গাড়িগুলিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং ওই গ্রামীণ পুলিশকে মারধর করে। গ্রামীণ পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে পুরুলিয়া মফস্বল থানার পুলিশ ওই সিভিককে গ্রেফতার করেছে। বুধবার তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক 14 দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷

পুরুলিয়া মফস্বল থানার রাঘবপুর অঞ্চলের ধুরহী গ্রামের বাসিন্দা পেশায় গ্রামীণ পুলিশ সন্দীপ কুমার মাহাতোর অভিযোগ, রবিবার দুপুর 2টো নাগাদ তিনি যখন ডিয়ার পার্কের কাছে ট্রাফিক ডিউটি করছিলেন সেই সময় পলাশকোলা মোড় দিক থেকে দু'টি বালিবোঝাই ট্রাক্টর ডুবকি গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। সেইসময় থানায় থাকা অফিসারের নির্দেশ মতো গাড়িগুলোকে তিনি আটকান বলে জানিয়েছেন সন্দীপ। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তিনি গাড়িগুলি আটকানোর পর পিড়রা অঞ্চলের সিভিক কর্মী অসিত মাহাতো ঘটনাস্থলে এসে গাড়িগুলি ছেড়ে দিতে বলেন।

সন্দীপ কুমার মাহাতো গাড়িগুলি ছাড়তে রাজি না-হওয়ায় তাকে পিছন দিকে থেকে ধরে কিল, চড়, ঘুষি মারেন ও তার পরেনের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন সন্দীপ কুমার মাহাতো। এই বিষয়ে মঙ্গলবার পুরুলিয়া মফস্বল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সিভিক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ৷ এই ঘটনায় বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, "সারা রাজ্যজুড়ে কাটমানি খাওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সিভিক কর্মীরা ভাবছে আমরাই বা পিছনে কেন? বালি পাচারের টাকার ভাগ কে খাবে সিভিক না গ্রামীণ পুলিশ সেই নিয়ে ওদের ঝামেলা।"

আরও পড়ুন: সিভিক ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল, বাংলায় চলছেটা কী ?

এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পুরুলিয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, "সিভিক কর্মীদের প্রথম থেকেই বিজেপি সহ্য করতে পারছে না। এই নিয়ে তারা এর আগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।" জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "ওই সিভিক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে ।" যখন সিভিক কর্মীদের কাজের এক্তিয়ার নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, যার জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত তখন পুরুলিয়ার এই ঘটনা যেন সিভিক বিতর্কে নতুন সংযোজন।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.