পুরুলিয়া, 15 মে : টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণার ঘটনায় আরও এক মহিলাকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতের নাম অভিনন্দা দাশগুপ্ত। তার বাড়ি কলকাতার গরফা থানা এলাকায়। শনিবার রাতে কলকাতার গরফা থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে অভিনন্দা দাশগুপ্ত নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। রবিবার অভিযুক্ত মহিলাকে জেলা আদালতে তোলা হলে 14 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক (1 more accused arrested in Purulia monetary cheating case) ৷
কেন্দা থানার কুদা গ্রামের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন মাহাতো প্রতারণার শিকার হন ৷ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান, মোবাইলের টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে অনাশভিশন কনসালট্যান্সি প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছে ৷ 2013 সালে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে ফোন করে বলা হয়, এক বহুজাতিক সংস্থা তাঁর জমিতে মোবাইল টাওয়ার বসাতে আগ্রহী ৷ তার জন্য তাঁকে লোভনীয় একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয় ৷ তাঁর ছেলেকে মাসিক 6 হাজার টাকার চাকরি দেওয়ার কথাও বলা হয় ৷ ওই অনাশভিশন কনসালট্যান্সি প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে প্রথমে চিত্তরঞ্জনের থেকে প্রথমেই জমির কাগজপত্র নিয়ে নেওয়া হয় । তারপর 5টি ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করিয়ে নেওয়া হয় ৷ চিত্তরঞ্জনের বেশ কয়েকটি পলিসি করা ছিল, তার কাগজপত্রও হাতিয়ে নেওয়া হয় ৷ এসবের পরও ছেলের চাকরি এবং টাওয়ার বসানোর জন্য তৎপরতা না দেখে ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলেন চিত্তরঞ্জন ৷ পাশাপাশি তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবরও নিতে শুরু করেন ৷ তার মধ্যেই টাওয়ার বসানোর কাজ এগোনোর জন্য চিত্তরঞ্জনের থেকে এবার টাকা চাওয়া হয় ৷ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এনইএফটি করে 4 লক্ষ 24 হাজার টাকা দেন তিনি ৷ তবে তাতেও কাজের কাজ কিছু না হওয়ায় থানার দ্বারস্থ হন চিত্তরঞ্জন ৷ পরে বুঝতে পারেন, সব মিলিয়ে প্রায় 40 লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে 40 লক্ষ টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার 20
সেই ঘটনায় কেন্দা থানায় গত ফেব্রুয়ারি মাসের 17 তারিখ লিখিত অভিযোগ করেন চিত্তরঞ্জন মাহাতো । সেই ঘটনায় সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়। সিআইডি কলকাতার সল্টলেক থেকে গত 12 মে 20 জনকে গ্রেফতার করে। 13 মে তাদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 14 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। গতকাল রাতে কলকাতার গরফা থানা এলাকা থেকে অভিনন্দা দাশগুপ্ত নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। রবিবার তাকে জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকেও 14 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।