কাঁথি, 29 অক্টোবর: বাড়ি থেকে নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে (Youth TMC Leader alleged in kidnapping of minor girl) ৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানার মশাগা গ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতার নাম আনন্দ দাস ৷
অভিযোগ, বিজয়া দশমীর দিন রাতে এগরা থানার এক নম্বর কাসবা অঞ্চলের তৃণমূলের যুব সভাপতি আনন্দ দাস তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় । নাবালিকাকে আগে থেকেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল ওই তৃণমূলের যুব নেতা ৷ 16 বছরের নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে 32 বছর বয়সি যুবকের বিয়ে করার বাসনায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন নাবালিকার পরিবার ।
রাতেই জোরপূর্বক নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় ৷ তখন বাধা দেন নাবালিকার বাবা । তারপর নাবালিকার বাবাকে তৃণমূল নেতার বাহিনীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ । শুধু তাই নয়, নাবালিকার পরিবারকে হুমকিও দেয় এই প্রভাবশালী নেতা বলে অভিযোগ । তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না পুলিশ ও আদালত ।
যদিও এই ঘটনায় মারিশদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার । অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গত শুক্রবার যুবনেতার বাড়িতে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে যায় । জানা গিয়েছে, পুলিশ আসার খবর পেয়ে আনন্দের পরিবারের লোকেরা ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় । নাবালিকার এখনও কোনও খোঁজ নেই ৷ নাবালিকার বাবা মা-সহ পরিবারের লোকেরা চরম দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে ।
বিজেপির অভিযোগ, যেখানে শাসকদলের নেতাদের হাতে নারী সুরক্ষিত নয়, সেখানে সরকার কতটা সুরক্ষা দেবে । আর তৃণমূলের কাজই হচ্ছে নারীদের অসম্মান করা । যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে জেলার শীর্ষ নেতৃত্বদের দাবি, বিষয়টি আমাদের জানা নেই । তবে আইন আইনের পথে চলবে । পুলিশ তার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে । দলের তরফ থেকেও খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে । দল এর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে ।
আরও পড়ুন: আবারও শিরোনামে দাসপুর, নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক
মারিশদা থানার পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা । অভিযুক্ত-সহ তাঁর পরিবার এখন পলাতক রয়েছে । পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ।