পটাশপুর, 8 ডিসেম্বর : স্কুলের সামনেই উদ্ধার হল যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ (Youth Body found) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানা এলাকায় ৷ নিহত যুবকের নাম বাপি নায়েক (30) ৷ তিনি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন ৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের ৷
আরও পড়ুন : Man Killed Son in law : জামাইকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, বেপাত্তা অভিযুক্ত শ্বশুর
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে স্থানীয় বিশ্বনাথপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ঘাসের উপর বাপির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা ৷ তাঁর শরীরে গুলির ক্ষত রয়েছে ৷ এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পটাশপুর থানার পুলিশ ৷ তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বাপির পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র ৷ সংসার টানতে তাই রিকশা চালাতেন ওই যুবক ৷ এলাকায় ভাল ছেলে বলেই পরিচিতি ছিল তাঁর ৷ পরিশ্রম করে পরিবারের জন্য টাকা উপার্জন করতেন বাপি ৷ মঙ্গলবার রাতে গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন গ্রামের কিছু মানুষ ৷ কিন্তু, সেই মুহূর্তে কেউ আর বাড়ি থেকে বেরিয়ে কী ঘটেছে দেখার চেষ্টা করেননি ৷ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটেছিল এই ঘটনা ৷ গ্রামবাসীর অনুমান, সেই সময়েই বাপিকে গুলি করে খুন করা হয় ৷
আরও পড়ুন : Hooghly Murder : হুগলিতে বাবা-মা সহ মেয়েকে কুপিয়ে খুন, আটক আত্মীয়
প্রাথমিকভাবে পুলিশও মনে করছে, কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথেই আততায়ীর মুখোমুখি হন বাপি ৷ তবে কী কারণে এই খুন, সেটা স্পষ্ট নয় ৷ কারণ, বাপির সঙ্গে এলাকায় কারও কোনও বিবাদ ছিল না ৷ তিনি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না ৷ তবে এই এলাকার খুব কাছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সীমানা পেরিয়ে মাঝেমধ্যেই দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে পড়ে ৷ চুরি, ছিনতাই করতে এপারে আসে তারা ৷ বাসিন্দাদের অনুমান, কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় হয়তো এমনই কোনও দুষ্কৃতী বা দুষ্কৃতীদলের সামনে পড়ে গিয়েছিলেন বাপি ৷ সেই কারণেই তাঁকে প্রাণ খোয়াতে হয় ৷