কাঁথি, ৩ মার্চ : ভূপতিনগরের খানজাতপুরের ঘটনায় পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার নগ্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছিল রঞ্জিত মণ্ডল। আর সেই কারণেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তাকে ডেকে এনেছিল ওই যুবতি। প্রথমে রঞ্জিতকে গলা টিপে খুন করা হয়। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে। এই খুনে ওই যুবতি,তার বাবা,মা ও ভাই যুক্ত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ৫ দিনের পুলিশ হেপাজত শেষে গতকাল ফের কাঁথি আদালতে তোলা হয়েছিল তাদের। ১৪ দিন জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
২৩ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে খানজাতপুরে উদ্ধার হয়েছিল রঞ্জিতের পোড়া মৃতদেহ। ঘটনার পর খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রঞ্জিতের বাবা শক্তিপদ মণ্ডল। আটক করে টানা ৪৮ ঘণ্টা জেরা শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি রঞ্জিতের দুই বন্ধু,প্রেমিকা সহ ছ'জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ওইদিন বন্ধু সমীর সিং ও অসিত দাসকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাকি চারজনকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেপাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ধৃত দুই বন্ধুর কোনও যোগ পায়নি পুলিশ।
দক্ষিণ বায়েন্দার বাসিন্দা রঞ্জিত ১৩ বছর ধরে বাড়ির ২০০ মিটার দূরে খানজাতপুরে মামারবাড়িতে বসবাস করছিল। বছর পাঁচেক আগে মামারবাড়ির গ্রামের এক যুবতির প্রেমে পড়ে। দিল্লিতে সোনার কারিগরের কাজ করত। রোজগারের টাকা সবই তুলে দিত প্রেমিকার হাতে। ছিল মেলামেশাও। কিন্তু মাসচারেক আগে ত্রিকোণ প্রেমে জটিলতা তৈরি হয় দু'জনের মধ্যে। কলেজছাত্রী ওই যুবতি অন্য একজনের প্রেমে পড়েছিল। তারপরও প্রেম টিকিয়ে রাখার অনেক চেষ্টাই করে রঞ্জিত। কিন্তু, ওই যুবতির কাছে আর গুরুত্ব পাচ্ছিল না। তাই প্রতারণার বদলা প্রতিহিংসায় মেটাতে চেয়েছিল।
কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাজনারায়ণ মুখার্জি বলেন, "ফেসবুকে প্রেমিকার অশ্লীল ছবি ছড়িয়েই খুন হয়েছে যুবক। যে কারণে এই খুন বলে স্বীকার করে নিয়েছে ধৃতরা।"