ময়না, 6 মে: ময়নার বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। শনিবার দুপুরে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল নন্দন মণ্ডল ও সুজয় মণ্ডল। নন্দন মণ্ডল গা-ঢাকা দিয়ে একটি ইটভাটায় লুকিয়ে ছিল। এদিন ময়না থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ওই ইটভাটার চারিদিকে ঘিরে ফেলে। তারপর তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। নন্দনকে জিজ্ঞাসা করার পর সুজয় মণ্ডল নামে আরেকজন অভিযুক্তের খবর পায় পুলিশ। তারপর তাকেও গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
বিজেপি নেতা বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে গত সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বাড়ির অদূরে নিশৃংসভাবে মেরে ফেলে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে ময়না-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ও পুরো রাজ্য। এরপরে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় গত বুধবার গভীর রাতে তৃণমূল নেতা মিলন ভৌমিকের তার মেয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তমলুক জেলা আদালতে ওই তৃণমূল নেতাকে তোলা হলে তমলুক জেলা আদালতের বিচারক তাকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য
তবে এখনও পর্যন্ত বিজেপি নেতা বিজয় কৃষ্ণ ভূঁইয়ার খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, নন্দন মণ্ডল ও সুজয় মণ্ডলকে আগামিকাল তমলুক জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হবে। তবে আদালতে অভিযুক্তদের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, "যাইহোক পুলিশের ভূমিকায় সাধারণ মানুষ খুব খুশি। কারণ দেরিতে হলেও আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করছে। তবে আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। তার পাশাপাশি এলাকায় ব্যাপক হারে বোমা মজুত রয়েছে। তৃণমূলের লোকেরা এলাকায় বোমা পাঠাচ্ছে। তার জন্য আমরা এনআইএ তদন্তের দাবিও জানাচ্ছি।" যদিও এই বিষয়ে ময়নার প্রাক্তন বিধায়ক সংগ্রাম দোলুই বলেন, "পুলিশ আইন মোতাবেক তার কাজ করছে। আমি চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিক।"