হলদিয়া, 4 ফেব্রুয়ারি: দিন দিন নোভেল কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে । ইতিমধ্যেই এতে আক্রান্ত হয়েছে কেরালার তিন বাসিন্দা । এছাড়া আরও তিনজনের শারীরিক পরীক্ষা বাকি রয়েছে । এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের একাধিক বিমানবন্দরে বিশেষ থার্মাল স্ক্রিনিং চালু হয়েছে । সঙ্গে কোরোনা আক্রান্তদের জন্য একাধিক জায়গায় চালু হয়েছে আইসোলেশন বিভাগ । আর এবার আইসোলেশন বিভাগ চালু হল হলদিয়া বন্দর হাসপাতালে। গতকাল হলদিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে চারটি বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন বিভাগ তৈরি করা হয়েছে ।
বন্দর সূত্রে খবর, প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি দেশি-বিদেশি জাহাজ এই বন্দর দিয়ে চলাচল করে । এর জন্য একাধিক বিদেশি নাবিকসহ কর্মীকে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কিছুদিনের জন্য থাকতে হয় । কাজ শেষে ফিরে যান তাঁরা। তাঁদের মাধ্যমে যাতে কোরোনা ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে তাই কেন্দ্রীয় জাহাজ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশমতো এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ ।
হলদিয়া বন্দরে আসা নাবিক এবং কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য মোট পাঁচটি থার্মোস্ট্যাগ মেশিন আনানো হয়েছে । এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল টিমও তৈরি করেছে । তারা জাহাজেই শারীরিক তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করছে । স্বাভাবিকের তুলনায় শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলেই তাদের চিহ্নিতকরণ করে বন্দরের আইসোলেশন বিভাগে পাঠানো হচ্ছে । হলদিয়ায় আসা মোট 31টি জাহাজের 750 জন নাবিক ও কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে ।
কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে রুখতে হলদিয়া বন্দরে আইসোলেশন বিভাগ চালু প্রসঙ্গে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের সেফটি কমিটির সদস্য প্রদীপ বিজলি জানিয়েছেন, "সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । বন্দরে আসা নাবিক ও কর্মীদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সবরকম সতর্কতামূলক আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।" হলদিয়া বন্দরের জেনেরাল ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, এখনও পর্যন্ত জাহাজে আসা কোনও কর্মীরই শরীরে কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি । কোনও রোগী এলে তার দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা শুরু হবে বন্দরের আইসোলেশন বিভাগে ।