ETV Bharat / state

কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হলদিয়া বন্দরে চালু আইসোলেশন বিভাগ

author img

By

Published : Feb 4, 2020, 12:36 PM IST

কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হলদিয়া বন্দরে চালু আইসোলেশন বিভাগ। ইতিমধ্যেই হাজারেরও বেশি নাবিক ও কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে ।

isolation-ward in haldia
হলদিয়া বন্দরে আইসোলেশন বিভাগ

হলদিয়া, 4 ফেব্রুয়ারি: দিন দিন নোভেল কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে । ইতিমধ্যেই এতে আক্রান্ত হয়েছে কেরালার তিন বাসিন্দা । এছাড়া আরও তিনজনের শারীরিক পরীক্ষা বাকি রয়েছে । এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের একাধিক বিমানবন্দরে বিশেষ থার্মাল স্ক্রিনিং চালু হয়েছে । সঙ্গে কোরোনা আক্রান্তদের জন্য একাধিক জায়গায় চালু হয়েছে আইসোলেশন বিভাগ । আর এবার আইসোলেশন বিভাগ চালু হল হলদিয়া বন্দর হাসপাতালে। গতকাল হলদিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে চারটি বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন বিভাগ তৈরি করা হয়েছে ।

clinical test on ship
জাহাজেই চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বন্দর সূত্রে খবর, প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি দেশি-বিদেশি জাহাজ এই বন্দর দিয়ে চলাচল করে । এর জন্য একাধিক বিদেশি নাবিকসহ কর্মীকে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কিছুদিনের জন্য থাকতে হয় । কাজ শেষে ফিরে যান তাঁরা। তাঁদের মাধ্যমে যাতে কোরোনা ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে তাই কেন্দ্রীয় জাহাজ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশমতো এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ ।

using thermostag machine
থার্মোস্ট্যাগ মেশিনে পরীক্ষা

হলদিয়া বন্দরে আসা নাবিক এবং কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য মোট পাঁচটি থার্মোস্ট্যাগ মেশিন আনানো হয়েছে । এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল টিমও তৈরি করেছে । তারা জাহাজেই শারীরিক তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করছে । স্বাভাবিকের তুলনায় শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলেই তাদের চিহ্নিতকরণ করে বন্দরের আইসোলেশন বিভাগে পাঠানো হচ্ছে । হলদিয়ায় আসা মোট 31টি জাহাজের 750 জন নাবিক ও কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে ।

হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে আইসোলেশন বিভাগ

কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে রুখতে হলদিয়া বন্দরে আইসোলেশন বিভাগ চালু প্রসঙ্গে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের সেফটি কমিটির সদস্য প্রদীপ বিজলি জানিয়েছেন, "সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । বন্দরে আসা নাবিক ও কর্মীদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সবরকম সতর্কতামূলক আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।" হলদিয়া বন্দরের জেনেরাল ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, এখনও পর্যন্ত জাহাজে আসা কোনও কর্মীরই শরীরে কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি । কোনও রোগী এলে তার দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা শুরু হবে বন্দরের আইসোলেশন বিভাগে ।

হলদিয়া, 4 ফেব্রুয়ারি: দিন দিন নোভেল কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে । ইতিমধ্যেই এতে আক্রান্ত হয়েছে কেরালার তিন বাসিন্দা । এছাড়া আরও তিনজনের শারীরিক পরীক্ষা বাকি রয়েছে । এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের একাধিক বিমানবন্দরে বিশেষ থার্মাল স্ক্রিনিং চালু হয়েছে । সঙ্গে কোরোনা আক্রান্তদের জন্য একাধিক জায়গায় চালু হয়েছে আইসোলেশন বিভাগ । আর এবার আইসোলেশন বিভাগ চালু হল হলদিয়া বন্দর হাসপাতালে। গতকাল হলদিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে চারটি বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন বিভাগ তৈরি করা হয়েছে ।

clinical test on ship
জাহাজেই চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বন্দর সূত্রে খবর, প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি দেশি-বিদেশি জাহাজ এই বন্দর দিয়ে চলাচল করে । এর জন্য একাধিক বিদেশি নাবিকসহ কর্মীকে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কিছুদিনের জন্য থাকতে হয় । কাজ শেষে ফিরে যান তাঁরা। তাঁদের মাধ্যমে যাতে কোরোনা ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে তাই কেন্দ্রীয় জাহাজ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশমতো এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ ।

using thermostag machine
থার্মোস্ট্যাগ মেশিনে পরীক্ষা

হলদিয়া বন্দরে আসা নাবিক এবং কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য মোট পাঁচটি থার্মোস্ট্যাগ মেশিন আনানো হয়েছে । এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল টিমও তৈরি করেছে । তারা জাহাজেই শারীরিক তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করছে । স্বাভাবিকের তুলনায় শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলেই তাদের চিহ্নিতকরণ করে বন্দরের আইসোলেশন বিভাগে পাঠানো হচ্ছে । হলদিয়ায় আসা মোট 31টি জাহাজের 750 জন নাবিক ও কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে ।

হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে আইসোলেশন বিভাগ

কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে রুখতে হলদিয়া বন্দরে আইসোলেশন বিভাগ চালু প্রসঙ্গে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের সেফটি কমিটির সদস্য প্রদীপ বিজলি জানিয়েছেন, "সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । বন্দরে আসা নাবিক ও কর্মীদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সবরকম সতর্কতামূলক আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।" হলদিয়া বন্দরের জেনেরাল ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, এখনও পর্যন্ত জাহাজে আসা কোনও কর্মীরই শরীরে কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি । কোনও রোগী এলে তার দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা শুরু হবে বন্দরের আইসোলেশন বিভাগে ।

Intro:হলদিয়া,৩ ফেব্রুয়ারি: করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ভারতকেও গ্রাস করছে। ইতিমধ্যেই দুই ভারতীয় এর মধ্যে সেই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর তারপর থেকেই বিমানবন্দর গুলির পাশাপাশি প্রতিটি ডাকে চলছে বিশেষ নজরদারি। প্রতিটি যাত্রীকেই স্ক্রীনিং বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদের বেরোতে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই সর্তকতা জারি হয়েছে হলদিয়া বন্দরেও। হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এবার চারটি বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন বিভাগ চালু করা হলো।Body:বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া বন্দরে প্রতিদিনই গড়ে চার থেকে পাঁচটি দেশি ও বিদেশি জাহাজ পণ্য নিয়ে আসা-যাওয়া করে। যাতে একাধিক বিদেশি নাবিক ও কর্মী কাজে লিপ্ত থাকেন। জাহাজ বন্দরে নোঙ্গর করার পর তারা শিল্পাঞ্চলে কিছুদিনের জন্য বসবাস করেন। পরে জাহাজ খালি হলে পুনরায় ফিরে যান। তাই তাদের মাধ্যমে কোনভাবেই যাতে করোনা ভাইরাস দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে কারণেই কেন্দ্রীয় জাহাজ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশে মেনে এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই মোট পাঁচটি থার্মোস্ট্যাগ মেশিন আনানো হয়েছে জাহাজে আশা কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য। বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই একটি মেডিকেল টিম তৈরি করেছে। যারা সমস্ত কর্মীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। স্বাভাবিকের তুলনায় শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকলেই তাদের চিহ্নিত করন করে বন্দরের মধ্যে তৈরি হওয়া আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রোগীদের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই হলদিয়া বন্দরে আসা মোঠ 31 টি জাহাজের 750 জন নাবিক ও কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে ।গতকালই আইসোলেশন বিভাগের উদ্বোধন হওয়ায় হলদিয়া বন্দরে বিদেশীদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মত বন্দর কর্তৃপক্ষের।Conclusion:এ বিষয়ে বন্দরের কর্মী তথা হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের সেফটি কমিটির সদস্য প্রদীপ বিজলী জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস রুখতে ইতিমধ্যেই বন্দরে তরফে বিশেষ সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বন্দরে আসা সমস্ত জাহাজের নাবিক ও কর্মীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে নতুন ভাবে গঠিত হওয়া প্রশিক্ষিত মেডিকেল টিম। হলদিয়া বন্দরে প্রচুর পরিমাণের বিদেশি জাহাজ আসা-যাওয়া করে। তাদের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেই সমস্ত রকম সতর্কতামূলক আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকালই আইসোলেশন বিভাগ চালু করা হয়েছে। কারো মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লেই সেখানে ফাঁকা জায়গায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

এ বিষয়ে হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস ঠেকাতে হলদিয়া বন্দর সমস্ত রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে। এখনো পর্যন্ত জাহাজে করে বন্দরে আসা কোন কর্মীরই শরীর থেকে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে আইসোলেশন বিভাগের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ।কোন সংক্রামক রোগী এলে দ্রুততার সাথে তার চিকিৎসা শুরু করা হবে বন্দরের মধ্যে থাকা আইসোলেশন বিভাগে। ফলে সহজেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখে দেয়া সম্ভব হবে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.