নন্দীগ্রাম, 7 জানুয়ারি : "শহিদ মিনার ঘুষের পয়সায় তৈরি । আর আমি আন্দোলনকারীদের নিয়ে যাব না । গেলে আরও পাপ করা হয়ে যাবে ।" শুভেন্দু অধিকারীর তৈরি শহিদ মিনারকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান ।
শহিদ মিনার থেকে 100 মিটার দূরে রয়েছে শহিদ বেদি । সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, ফিরোজা বিবি, তৃণমূল নেতা আবু তাহের, জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি সহ অন্যরা । পরে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, "একটা শহিদ মিনার আছে । শহিদ মিনারটা তো পাপের পয়সা, ঘুষের পয়সা, ওই শহিদ মিনারে আর আমার শহিদ পরিবারকে নিয়ে যাব না । এ আন্দোলনকারীদের নিয়ে যাব না । এর আরও পাপ করা হয়ে যাবে ।"
তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, "যে শংকর সামন্ত গুলি করে ভরত মণ্ডল, বিশ্বজিৎ মাইতি, শেখ সেলিমকে হত্যা করল, তার মাঠে মিটিং করে এই সোনাচূড়ার মানুষকে হুমকি দিচ্ছে, শংকর সামন্তের জমি দখল করতে দেওয়া হয়নি । আমি শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে নেব । যিনি জেহাদ করছেন যে, নেতাগিরি করেছিলেন, তিনি একটা রাতও নন্দীগ্রামে কাটায়নি । সে ক্ষমতা ওর নেই । একটা প্রমাণ করেও দেখাতে পারবে না । এটাও প্রমাণ করতে পারবেন না যে তিনি আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে ছিল । মানুষ শহিদ হয়েছে । তার পরের দিন শহিদ বেদিতে মালা দিতে এসেছেন ।"
শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে তৈরি শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে নারাজ শেখ সুফিয়ান । তাঁর কথায়, "মীরজ়াফর-বেইমানের ঘুষের পয়সা, তোলাবাজির পয়সায় তৈরি শহিদ মিনারে যাব, এটা হতে পারে না । আমাদের যে শহিদ বেদি রয়েছে সেখানে গিয়ে আমরা মালা দেব, স্মরণ করব ।" শুভেন্দু অধিকারূ জলাতঙ্ক রোগী, মাথার ঠিক নেই বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি ।
তিনি আরও বলেন, "এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আমরা বাংলার পরিবর্তন করতে পেরেছি । নন্দীগ্রামে-সোনাচূড়ায় বসে সে আবার কী হুমকি দেবে !" শুভেন্দু অধিকারীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা নিয়ে বলেন, "রাতের অন্ধকারে সাড়ে 11 টায় চোরের মতো এসে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করছে, তার আবার বড় বড় গল্প শুনতে হবে !"